আমার সন্ন্যাস তুমি নাও, গেরুয়া-মাধুকরী–কমণ্ডলু-ধুনি
          কুবোপাখি, তার ঠোঁটে শতাব্দ নিথর
          তারার পতনশব্দ কান পেতে শুনি

আমার সন্ত্রাস ফিরে যাও ,আয়ুধ-অত্যাচার-গর্জন-ভয়
           শরীরছায়ায় রাখি যন্ত্রণা-আখর
           খুঁজেছি শ্রাবণমাঝে নিজস্ব আশ্রয়

হতাশা-দীর্ঘশ্বাস-আক্ষেপ-গ্লানি, আমার ক্লৈব্য মুছে দাও
             মিথ্যার পৃথিবীতে ভ্রমের পার্বণ
             বিবেকের স্বরে জেগে ভারভারা রাও

পঙক্তির অসাড়তা বোঝো না অবুঝ, পদ্যের ঘোর থেকে আমাকে ফেরাও
অশ্রুর বনিয়াদ, দ্রোহের নির্মাণ– পারো যদি এইভাবে কবিজন্ম দাও!

 

*ছবি সৌজন্য: Pixabay

সুমন চট্টোপাধ্যায় কৃষি-স্নাতক ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে কর্মরত। লেখালেখির সূচনা স্কুল ম্যাগাজিনের দিনগুলি থেকে। নিবন্ধ ও পদ্যের জগতে মৃদু চলাচলে শান্তি খুঁজে পান জীবনের ক্লান্ত মুহূর্তগুলিতে। হুগলি জেলার নবগ্রামের আজন্ম বাসিন্দা এবং প্রকাশে ও প্রত্যাখ্যানে সমান অভ্যস্ত সুমনের শখ একটাই: ‘সামান্যে’-র মধ্যে ‘অসামান্যে’র অন্বেষণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *