আগুন, বই আর গোলাপ

আগের পর্বের লিংক: [] [] [] [] [] [] [] [] []

আমার এই আত্মজীবনীর জীবন থেকে জীবনে যাতায়াত ক্রমশ জটিল এবং অবিশ্বাস্য হয়ে উঠছে। তেমন সাহসি হলে বলতে পারতাম ঐন্দ্রজালিক হয়ে উঠছে। কারণ, কত যে স্মৃতি আর সত্তা ফিরে ফিরে আসছে থেকে থেকে যে এই আমি, যে লিখছে এই কথা, নিজেই নিজেকে দেখতে শুরু করেছি যেন অন্য কারও কাহিনির চরিত্র হিসেবে। দেখছি জীবন শুধু হারিয়ে ফেলার নয়, খুঁজে পাওয়ারও জায়গা। 

এই যেমন কত পুরনো লেখা কোত্থেকে না কোত্থেকে ফিরে ফিরে আসছে প্রায় অহৈতুকি কৃপায়। ‘আগুন, বই আর গোলাপ’ পর্বে কলেজ স্ট্রিট, কফি হাউজ আর বই নিয়ে লিখলাম ক’দিন আগে। তা দেখেই যেন তেত্রিশ বছর আগে অবিকল তাই নিয়ে লেখা একটা রচনা আপন আবেগে আত্মপ্রকাশ করল আলমারি, দেরাজ, ফাইলপত্তর থেকে। সে-সময়ে কলাম লিখেছি প্রতিমাসে ঢাকার এক নির্দিষ্ট মাসিকপত্রে, যার সম্পাদনা করতেন দুই তরুণ লেখক-লেখিকা নইমুল ইসলাম ও তসলিমা নাসরিন। পত্রিকার নিয়মিত দুটি কলামের একটি লিখছেন বাংলাদেশের প্রধান কবি শামসুর রহমান, তাঁর কলম ‘চড়াই উতরাই’। অন্যটি আমার, নাম ‘যা দেখছি, যা ভাবছি’। 

ফিরে পাওয়াটা কীরকম? না, যে-তরুণ তখন আমার লেখা নিয়ে ঢাকায় পাঠাত সেই সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় আমার লেখা ভালোবেসে মূল পাণ্ডুলিপি নিজের কাছে রেখে সেটির জেরক্স কপি বিদেশে পাঠাত। আর এতদিন পর আমার ‘জীবন থেকে জীবনে’ পড়তে পড়তে ওর মনে হয়েছে এই সব লেখা আমার জীবন ও হারিয়ে যাওয়া সেই সব সময়ের দলিল। এদের ফিরে আসা দরকার। লেখাগুলো পড়তে পড়তে আমি নিজেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম সেই সময়গুলোয়। সেই বিয়াল্লিশ বছর বয়সে যা দেখেছি, যা নিয়ে সেকালে লিখেছি, আজ এই লেখায় সেই সময় ও লেখায় ফিরে যাচ্ছি। আগুন, বই, গোলাপ সবই আছে। পড়তে থাকুন…

নকশাল আন্দোলনের সময় সেটা। আমরা ইউনিভার্সিটির ক্লাস পালিয়ে বসেছিলাম কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসে। হঠাৎ গদাম্ গদাম্ করে বোমা ফেলা শুরু হল। দুদ্দাড় করে বেশ কিছু ছেলেমেয়ে ঢুকে পড়ল কফি হাউসে। ওদের পিছন পিছন পুলিশ আসার সম্ভাবনা নেই, তবে ওই সংগ্রামী ছেলেমেয়েদের প্রতিপক্ষ যারা, তাদের কেউ কেউ যে সিঁড়ি ঠেলে দোতলায় উঠে আসবে না, তারই বা নিশ্চয়তা কী? আর উঠে এলে হাতাহাতি, টেবিল ভাঙাভাঙি, দু’একটা চাকুর ঝলসে ওঠাউঠিও যে দেখতে হবে না, তাও হলফ করে বলা যায়? আমি ছিলাম এক বান্ধবীকে নিয়ে গপ্পে মশগুল, ক্লাসে কী পড়ানো হচ্ছে তাও জানি না, রাস্তার বোমাবাজিও যে কাদের সঙ্গে কাদের ব্যাপার, তাও অজানা। বোমা নকশালরা ফেলল না সিপিএম, লক্ষ্য পুলিশ না অন্য কেউ, কোনও হদিশই নেই। শুধু ভয় আছে মার খাওয়ার আর ঝামেলায় পড়ার। নিজের জন্য ততটা উদ্বিগ্ন নই, যতটা সঙ্গী মেয়েটির জন্য। 

Naxal Movement
দুদ্দাড় করে বেশ কিছু ছেলেমেয়ে ঢুকে পড়ল কফি হাউসে

অতএব এসব ক্ষেত্রে অরাজনৈতিক ভীরুবক্ষ পুরুষরা যা করে আমি তাই করলাম। আমি মেয়েটিকে নিয়ে টেবিল ছেড়ে চম্পট দিলাম। কিন্তু পা চালিয়ে কফি হাউজের সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছে বুঝলাম আমাদের কপালে পালানো নেই। তখনও ছাত্রছাত্রী ও রাজনৈতিক কর্মীদের স্রোত উঠছে নীচ থেকে ওপরে। আর আমরা লটকে পড়েছি এক ত্রিশঙ্কু অবস্থায়! ন যযৌ, ন তস্থৌ। একটা ভিড়ের ধারা এসে পড়ল আমাদের ওপর। ধারা সামলে সোজা হয়ে চোখ খুলে কিছু দেখতে গিয়ে দেখলাম আমি কফি হাউসে নেই, সিঁড়ির মাথাতেও নেই, এক পাহাড় বইয়ের মধ্যে! যেদিকে তাকানো যায় শুধু বই, বই আর বই। হঠাৎ করে খেয়াল হল আমি প্রায় নিজের অজান্তেই সেঁধিয়ে গেছি কফি হাউসের বারান্দায় বিলিতি বইয়ের মস্ত বিপণি ‘রূপা অ্যান্ড কোং’-এ। দোকানটা যে আমার অপরিচিত জায়গা তাও নয়, তবে এরকম পরিস্থিতিতে, চাপে পড়ে, দিশেহারা হয়ে যে ওভাবে অত অত বইয়ের কোলে গিয়ে পড়ব কোনওদিন ভাবিনি।

যে-তরুণ তখন আমার লেখা নিয়ে ঢাকায় পাঠাত সেই সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় আমার লেখা ভালোবেসে মূল পাণ্ডুলিপি নিজের কাছে রেখে সেটির জেরক্স কপি বিদেশে পাঠাত। আর এতদিন পর আমার ‘জীবন থেকে জীবনে’ পড়তে পড়তে ওর মনে হয়েছে এই সব লেখা আমার জীবন ও হারিয়ে যাওয়া সেই সব সময়ের দলিল। এদের ফিরে আসা দরকার। 

বই এমনিতেই খুব শান্ত করে আমাকে, উত্তেজিত বিহ্বলও করে কখনও কখনও; কিন্তু সেদিন সেই প্রবল বিক্ষোভ থেকে ছিটকে এসে এক ভিন্ন মনোভাব ও অনুভূতিতে আশ্রয় পেয়েছিলাম আমি— লজ্জা! বই দেখতে এসে কখন, কী ভেবে জানি হাতে উঠিয়ে নিয়েছিলাম ফ্রানৎজ ফানো-র ‘দ্য রেচেড অফ দ্য আর্থ’, যার সুদীর্ঘ ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন জ্যঁ পল সার্ত্র। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সার্ত্রের ভূমিকাটা পড়তে থাকলাম, সঙ্গিনীও কী একটা বই হাতে নিয়ে অন্যত্র স্থির হয়ে দাঁড়িয়েছে ততক্ষণে। বইয়ের দোকানের কারোই তখন স্থানত্যাগ করার উপায় নেই, সবাই-ই কিছু না কিছু বই ঘাঁটাঘাঁটি করে সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বিপর্যয় তখন আমার; না পারছি বাইরের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গিয়ে মিশতে, না পারছি বক্ষ্যমান পুস্তক থেকে উদ্ধার পেতে। ফরাসি সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা লজ্জিত এক ফরাসি মনীষীর তীব্র প্রতিক্রিয়া পড়ছি আর ভেতরে ভেতরে লজ্জায় সিঁটকে যাচ্ছি। সম্ভবত সুবিধাবাদী সমাজের এক প্রত্যক্ষ নমুনা হিসেবে নিজেকেও চিনছি। 

Naxal Movement
এই প্রতিবাদ আমাদের সমাজে স্বাভাবিক ব্যবহার, স্বাভাবিক ধর্ম

কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বই পড়েছিলাম মনে নেই। মুদ্রিত ষাট পৃষ্ঠার ভূমিকাটি শেষ করে যখন বইটা যথাস্থানে রাখলাম, তখন বাইরে কে কাকে মারল বা মারছে, তা নিয়ে আমার আর বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা নেই। বান্ধবীকে ডাকলাম না, পাছে সে বাইরে যেতে নিষেধ করে। নীরবে পা চালিয়ে বাইরে রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম। নিজেকে বোঝালাম, যে এই সংগ্রামী ছাত্র যে আন্দোলনে শরিক হয়েছে তাতে সংলগ্ন হতে পারি বা না-পারি, ওদের থেকে এভাবে পালিয়ে গা বাঁচানো অমানবিক। ওরা আমায় মারলে মারবে, পুলিশ আমায় ধরলে ধরবে, কিন্তু আমি স্বাভাবিকভাবে রাস্তা ধরে হেঁটে যাব, কারণ সেটাই স্বাভাবিক কাজ, যে কোনও বিবেকবান মানুষের পক্ষে। আর সেভাবেই বোঝানো সম্ভব যে এই আন্দোলন, এই প্রতিবাদ আমাদের সমাজে স্বাভাবিক ব্যবহার, স্বাভাবিক কাজ, স্বাভাবিক ধর্ম। এই যুগের মধ্যে থাকতে হলে এই অনুভূতি আমাদের রপ্ত করতে হবে, নচেৎ এ যুগের, এই সমাজের আমরা কেউ না। 

আমি বেরিয়ে পড়ে কিন্তু এক সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে পড়লাম। বাতাসে বারুদের গন্ধ। কিন্তু বিস্ফোরণ, বারুদ কিছু নেই। রাস্তাঘাট শুনশান, জনমানব নেই। একটু আগেই যে কুরুক্ষেত্র ঘটে গেছে, জানার উপায় নেই। শান্ত, থমথমে পরিবেশটাকে কলেজপাড়ার পরিবেশ বলে ঠাওর করাই দুষ্কর তখন। আমি কিছুটা হেঁটে গেলাম, গিয়ে থেমে পড়লাম। তারপর ফিরে এসে বান্ধবীর কাছে টাকা ধার করে কিনে ফেললাম ফানো-র বইটা। সে বই আজও আমার বইয়ের তাকে গচ্ছিত আছে। কিন্তু আমার সেদিনকার সেই বইপাড়া ঠিক আর তেমনটা নেই। 

বিলিতি বই বইপাড়ায় ভয়ানক উচ্চমূল্য আজকাল। বইয়ের মধ্যে পেঙ্গুইনই আমাদের চিরসখা। প্রেসিডেন্সি কলেজের দারোয়ানের থেকে টাকা ধার করে কিংবা টিউশনির মাইনে থেকে পয়সা বাঁচিয়ে পাঁচ-দশ টাকার যে পেঙ্গুইন এক সময়ে কেনা যেত, আজ চাকরি করে তাদের দিকে হাত বাড়ানো দায়। সেদিনের সাত টাকার বইয়ের দাম পেঙ্গুইনেই আজ নিদেনপক্ষে সাতাশি। নয়তো সাতানব্বই, নতুবা একশো’ সাত।

College Street
মাত্র তো কুড়িটি বছর! এরই মধ্যে কলকাতা এমন পাল্টে গেল?

তাবৎ বিশ্বসাহিত্য আমরা পেঙ্গুইনের মাধ্যমে পেয়ে যেতাম বলে নিজেদের ঘোষণা করতাম পেঙ্গুইনের সন্তান বলে। করতাম কেন, আজও করব। হার্ডকভার বই কেনার সামর্থ্য আর হল কই? চিরদিন যে-টুকু যা বইয়ের স্বপ্ন দেখেছি, তার সবই পেঙ্গুইনের রোমাঞ্চকর পেপারব্যাক চেহারায়। মনোভঙ্গিটা শেষে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে হার্ডব্যাক বইকে কীরকম নিরেট পাথুরে লাগত, শুয়ে-বসে-কেদরে যেমন-তেমন অবস্থায় পড়া যায় না বলে ওই কঠিন-বাঁধাই বইগুলোকে আমরা এক ধরনের শ্রেণিশত্রু জ্ঞান করতাম। আর কমপ্লিট ওয়ার্কস গোছের ভারিক্কি বইকে মনে করতাম কবরস্থান। যেখান থেকে তন্নিহিত লেখকটিকে ত্রাণ করে কার সাধ্য! কমপ্লিট ওয়ার্কসে একমাত্র অনুমোদনসাপেক্ষ লেখক ছিলেন শেক্সপিয়র। 

মাত্র তো কুড়িটি বছর! এরই মধ্যে কলকাতা যে কী বীভৎস পাল্টে গেল তা কে বোঝাবে কাকে? ষাটের দশকে কি সত্তরের দশকের মাংসের দাম, মাছের মূল্য, চাল, ডাল, মূলো, কপি, সোনা, রুপো, হাঁড়ি, সাবান, জুতো, জামাকাপড়, চা ও সিগারেটের কিমৎ যে কত কত গুণ বাড়ল, তা আজকের ছেলেছোকরাদের বোঝাতে গেলে পকেট ক্যালকুলেটর লাগবে। বোঝাবার দরকারও নেই। খানাখন্দ ভিড়ে-ভরা শহরে ধাক্কাধাক্কি, গতরলড়াই করে ঝেড়ে উঠছে যারা, তাদের মনখারাপ করে দিয়ে কাজ নেই। তাই মনখারাপটা পুষে রাখি নিজের মধ্যে। 

বই এমনিতেই খুব শান্ত করে আমাকে, উত্তেজিত বিহ্বলও করে কখনও কখনও; কিন্তু সেদিন সেই প্রবল বিক্ষোভ থেকে ছিটকে এসে এক ভিন্ন মনোভাব ও অনুভূতিতে আশ্রয় পেয়েছিলাম আমি— লজ্জা! বই দেখতে এসে কখন, কী ভেবে জানি হাতে উঠিয়ে নিয়েছিলাম ফ্রানৎজ ফানো-র ‘দ্য রেচেড অফ দ্য আর্থ’, যার সুদীর্ঘ ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন জ্যঁ পল সার্ত্র। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সার্ত্রের ভূমিকাটা পড়তে থাকলাম

সেদিন যেমন— আমার ইংরেজি মিডিয়ম স্কুলে পড়া ক্লাস টু-এর শিশুকন্যাটির ইস্কুলের বইখাতার জন্য নগদ দেড়শো দুশো আড়াইশো খসে গেল। তারপর আর কফি হাউসে ঢুকে কফি খাওয়ারও কড়ি থাকে না। বেশ ভিখিরি ভিখিরি লাগে নিজেকে। আর কেবলই স্মরণে আসে বিপ্লবের ওই দিনগুলো যেদিন একরকম প্রাণ বাঁচাতেই বইয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলাম। আর সেই বই-ই আজ মারছে আমাকে। ভেতরে একটা অস্ফুট, বেদনাময় আর্তনাদ গুমরে গুমরে ওঠে— বিপ্লব! বিপ্লব! 

সেই মুহূর্তে নিজেকে চিনতেও পারি নিজে। ভুখা মানুষের জন্য বিপ্লব করছিল যারা সেদিন তাদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি, কারণ পেটে আমার দানার অভাব হয়নি। আজ কাগজের টানে, বইয়ের টানে, বিপ্লবের আহ্লাদি কল্পনা করছি। এই না হলে বাঙালি মধ্যবিত্ত! আমার জন্মের সময় ও স্থান সবই বোধহয় ভুল হয়ে গেছে। ধরা যাক এই শতকের গোড়ার দিকে প্যারিসে মধ্যবিত্তের স্বর্ণযুগে। শুধু আমার বাবা ও আমার মায়েরই থাকা চাই আমার বাবা ও মা। যে বাবা ছেলের খেলনা বলতে বুঝতেন শুধু বই, বই আর বই। আর যে মা আমায় পিতৃবিয়োগের পর, পরম শ্রদ্ধেয় কাকামশাইয়ের মৃত্যুর পর বড় সংসারের হাল ধরেছিলেন। আর প্রয়োজনে সম্পত্তি বিক্রি করেও আমায় ভাল ভাল জায়গায় পড়িয়েছিলেন। কোনওদিনই ইস্কুলের হোস্টেলে ছেলেকে দেখতে যাননি হাতে অন্তত একটি বই না নিয়ে। 

এসব ভাবলে এক এক সময় বড় কান্না আসে। চল্লিশের কোঠায় পা দিয়েই মনে হচ্ছে বড্ড বয়স হয়ে গেল। শহর বড় পাল্টেছে। আমার সব ভালো থাকা আস্তে আস্তে নিভে যাচ্ছে। আমি নিজের শহরেই পরদেশী হয়ে গেলাম।     (চলবে)

 

পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে ১৫ জুন ২০২২
*ছবি সৌজন্য: The Wire, Telegraph Online, Flickr.com

Sankarlal Bhattacharya Author

শংকরলাল ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট, কলকাতায়। ইংরেজি সাহিত্যে স্বর্ণপদক পাওয়া ছাত্র শংকরলাল সাংবাদিকতার পাঠ নিতে যান প্যারিসে। তৎপরে কালি-কলমের জীবনে প্রবেশ। সাংবাদিকতা করেছেন আনন্দবাজার গোষ্ঠীতে। লিখেছেন একশো ত্রিশের ওপর বই। গল্প উপন্যাস ছাড়াও রবিশংকরের আত্মজীবনী 'রাগ অনুরাগ', বিলায়েৎ খানের স্মৃতিকথা 'কোমল গান্ধার', হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিমালা 'আমার গানের স্বরলিপি'-র সহলেখক। অনুবাদ করেছেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা থেকে সত্যজিৎ রায়ের চিত্রনাট্য পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *