শশাঙ্ক আবার এসে পড়েছেন। গত দু’তিন বছর ধরেই আসেন, নববর্ষের দিনটিতে কিছু হৃদয়চিহ্ন এবং হাস্যমুখের ইমোটিকন কুড়িয়ে নিয়ে আবার ই-সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়ে পড়েন।  এ বছর দেখলাম তিনি দৃশ্যমান-ও হয়েছেন। আমিশ ত্রিপাঠীর পুরাণাশ্রিত কল্পকাহিনিগুলির চরিত্রগুলিকে শিক্ষানবিশ অ্যানিমেটরের হাতে তুলে দিলে যেরকমটি দেখাতে পারে সেরকমই দেখাচ্ছে বঙ্গদেশের প্রথম ‘স্বাধীন’ নৃপতিকে। তর্জনী তুলে জানাচ্ছেন ‘বঙ্গাব্দের প্রণেতা বঙ্গাধিপতি শশাঙ্ক’। মাধ্যমিকের পর শশাঙ্ককে নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন এরকম বাঙালি খুঁজে পেতে সময় লাগবে, তাই শশাঙ্ক সত্যিই বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন কিনা তা নিয়ে একটি দিন চায়ের কাপে তুফান উঠলে লাভের ঘরেই টিকচিহ্ন পড়া উচিত। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্যনিষ্ঠ আলোচনা দেখার সম্ভাবনা বছরের বাকি দিনগুলিতে শশাঙ্কর ফিরে আসার সম্ভাবনার মতনই ক্ষীণ। উপরন্তু যেসব হিন্দু জাতীয়তাবাদী বাঙালি শশাঙ্কের ছবিগুলি ভাইরাল করে তুলছেন (এই করোনার বাজারেও) তাঁরা সম্রাট আকবরকে বঙ্গাব্দপ্রণেতার সিংহাসন থেকে টেনে নামাতে যতটা উৎসাহী রাজা শশাঙ্কের স্তুতিগান গাইতে ততটা নয়।

old panjika
লেটার প্রেসে ছাপা পঞ্জিকা

হ্যাঁ, বাংলা সন কে চালু করেছিলেন সেই নিয়ে বিতর্ক গড়ে উঠেছে এই দুই ঐতিহাসিক চরিত্রকে ঘিরেই। সুলতান হোসেন শাহ, তৃতীয় দাবিদারের নামটি নিয়ে আলোচনা ক্রমশই কমছে। পেশাদার ঐতিহাসিকদের বক্তব্য ধরলে শশাঙ্ক এই প্রতিযোগিতার শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছেন। রমেশচন্দ্র মজুমদার মন্তব্য করেছিলেন, “বঙ্গরাজ্য শশাঙ্কের রাজ্যভুক্ত ছিল কিনা বলা যায় না”। গৌড় ও রাঢ় শশাঙ্কের অধীনে থাকলেও সমগ্র কর্ণসুবর্ণকে তিনি শাসন করতেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। আর সমতট অর্থাৎ আজকের পূর্ববঙ্গ যে অন্য শাসকের হস্তগত হয়েছিল তার সাপেক্ষেও প্রমাণ প্রচুর। মনে রাখা দরকার ‘বঙ্গ’ ছিল এই সমতটেরই অংশ। রমেশচন্দ্রর দেখানো পথ ধরেই আরেক খ্যাতনামা অধ্যাপক ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন শশাঙ্কর অধীনে স্বাধীন বঙ্গরাজ্য গড়ে উঠেছিল এ কথা প্রমাণ করার মতো কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। বঙ্গ যদি তাঁর রাজ্যগতই না হয়, শশাঙ্ক কেন বঙ্গাব্দ নাম রাখবেন? সাম্প্রতিক কালে শশাঙ্কর পক্ষে যাঁরা কলম ধরেছেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য নামটি হল সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায় আকবর বা হোসেন শাহ-ই, যে বঙ্গাব্দের প্রবর্তক এ তত্ত্ব নস্যাৎ করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন আইন-ই-আকবরিই হোক বা হোসেন শাহের নির্দেশনামা, কোনও দলিলদস্তাবেজেই বঙ্গাব্দ প্রবর্তনের উল্লেখ নেই। মজার ব্যাপার হল শশাঙ্ক নিজেও কিন্তু এ রকম কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ রেখে যান নি। কিন্তু সুনীলবাবু তাঁকে আত্মভোলা এক রাজা বলে অভিহিত করেছেন, যে সহানুভূতিটুকু আকবর বা হোসেন শাহ পাননি। একটি যুক্তিনিষ্ঠ প্রবন্ধে এই স্ববিরোধিতা সম্পর্কীয় আলোচনা প্রসঙ্গে শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছিলেন শশাঙ্কের পক্ষে যুক্তির থেকেও বেশি রয়ে গেছে একটি ধর্মীয় আবেগের বাতাবরণ। যে যুক্তির অভাবেই সম্ভবত ইতিহাসবিদ সুখময় মুখোপাধ্যায় লিখেছিলেন বঙ্গাব্দ প্রবর্তন নিয়ে যখন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাচ্ছেই না তখন বাঙালি শশাঙ্ককেই সে কৃতিত্বটুকু দেওয়া হোক!

আকবর এবং শশাঙ্কর পক্ষ নিয়ে যাঁরা লড়ে যাচ্ছেন তাঁদের অনেকেই একটা ব্যাপারে একমত – হাতে আসা সব দলিল দস্তাবেজই দেখায় হোসেন শাহ সর্বদাই হিজরী অব্দ ব্যবহার করেছেন। ইসলামিক ধর্মমতে তৈরি হওয়া চন্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে এই হিজরী অব্দের শুরু। গ্রেগরিয়ান বা খ্রিস্টান পঞ্জিকা অনুসারে হিজরী অব্দের শুরু হয় ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে, যে বছর হজরত মহম্মদ মক্কা ছেড়ে মদিনা চলে যান। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, শশাঙ্কর রাজ্যাভিষেক হয় ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দে। ২০২০ থেকে ৫৯৩ বিয়োগ করে দাঁড়ায় ১৪২৭, সুতরাং এই হিসেবটি সহজ। কিন্তু হোসেন শাহর রাজ্যপাট চলেছিল ১৪৯৪ থেকে ১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দ অবধি। আকবর আবার সিংহাসনে বসেন ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে (৯৬৩ হিজরী অব্দ)। তা হলে হোসেন শাহ বা আকবরের সময়কাল ধরে চললে বঙ্গাব্দের হিসেব মেলে কী করে?  আকবরকেই প্রবর্তক হিসাবে যাঁরা দেখেন তাঁদের এক দলের দাবি আকবরের আদেশে রাজজ্যোতিষী ৯৬৩ হিজরী অব্দকেই ৯৬৩ বঙ্গাব্দ ধরে গণনা শুরু করেন। ২০২০ থেকে ১৫৫৬ বিয়োগ করে দেখুন, ব্যবধান ৪৬৪ বছর। ১৪২৭ থেকে ৯৬৩ বাদ দিলেও একই উত্তর। হিসেব মিললেও মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, অধিকাংশ ইতিহাসবিদের মতে রাজস্ব আদায়ের জন্য আকবর এই রীতি শুরু করেছিলেন মসনদে আসীন হওয়ার বেশ কিছু পরে। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে। হোসেন শাহর ক্ষেত্রেও হিজরী অব্দ আর বঙ্গাব্দকে এক ধরেই গণনা করা হয়েছে। তাই আকবর আর হোসেন শাহর ক্ষেত্রে মূল তফাতটা দাঁড়িয়ে যায় হিজরীর কোন অব্দে বাংলা সালের সূচনা হয়েছে সেই ব্যাখ্যায়। তিন সম্ভাব্য প্রবর্তকের মধ্যে আকবরের দাবিটি জোরালো কারণ আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে হিজরী অব্দের বিলুপ্তি এবং তারিখ-ই-ইলাহী অব্দের প্রবর্তনের কথা লেখা আছে। এই তারিখ-ই-ইলাহী যে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থেই শুরু হয়েছিল সে কথাও জানা যায়। কিন্তু বঙ্গাব্দ শব্দটির খোঁজ সেখানেও নেই।

অতএব, বিতর্ক জারি থাকবেই। যুক্তির ঘাত-প্রতিঘাতকে ভবিষ্যতেও এড়ানো যাবে না। তাই প্রসঙ্গান্তরে যাওয়া যাক। ছাপানো বাংলা ক্যালেন্ডার এল কবে? অত্যুন্নত বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির যুগেও নয় নয় করে বহু বাঙালি বাড়িতেই আজও হালখাতা উপলক্ষে পাওয়া বাংলা ক্যালেন্ডার দেখা যাবেই। শুরুর দিনগুলোতে কিন্তু দেওয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারের দেখা পাওয়া যেত না। তখন সাল-তামামির সব হিসেব পাওয়ার জন্য দেখতে হত বাংলা পাঁজি। ১৮১৯ সালে প্রথম বার ছাপা হয় বাংলা পঞ্জিকা। প্রায় এই সময় থেকেই বটতলায় ছাপা বইয়ের ব্যবসাও প্রাণ পায়, শুরু হয় উডব্লকের প্রভূত ব্যবহার। যদিও উনিশ শতকের  আগে থেকেই বাঙালি ব্রাহ্মণরা হাতে লেখা পাঁজি বিক্রি করে জীবনধারণ করতেন। সেরকম কিছু কিছু পাঁজিতে ছবিও থাকত, হাতে আঁকাই। নবদ্বীপের পণ্ডিত সমাজের তৈরি পাঁজি যেত মুর্শিদাবাদের নবাব দরবার থেকে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি অবধি। এই ব্রাহ্মণদের একটি মূর্ত অবয়ব দেওয়ার জন্য ‘পথের পাঁচালি’-র হরিহর রায়ের কথা আপনারা ভাবতে পারেন। ছাপানো পাঁজি বাজারে এসে যাওয়ার পর চণ্ডীপাঠ, টোল শিক্ষণ ইত্যাদি পথে অর্থাগম ছাড়া উপায় ছিল না এই মানুষগুলির।

পঞ্জিকায় প্রকাশিত স্ট্রিট ডাইরেক্টরি

 

এসব পাঁজি ছাপা হত লেটারপ্রেস মেশিনে। প্রথম দিকের লেটারপ্রেস মেশিনও নেহাত ফেলনা ছিল না। বছর কুড়ির মধ্যে ওই মেশিনের ওপর নির্ভর করেই ছাপা হতে লাগল চিত্রসম্বলিত পাঁজি। ১৮৩৮ সালে শ্রীরামপুরের চন্দ্রোদয় প্রেস থেকে কৃষ্ণচন্দ্র কর্মকার বের করে ফেললেন ছবিওয়ালা ‘নতুন পাঁজি’। তবে ১৮১৯ সালের পাঁজিটি কে বার করেছিলেন তা নিয়ে দ্বিমত আছে। সর্বপ্রথম পাঁজিটি আমরা সংরক্ষণ করতে পারিনি। তাই নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, কিন্তু শোনা যায় শ্রীরামপুরের জনৈক রামহরি কাজটি সম্পন্ন করেন। বিশ্বকোষের অবশ্য দাবি, রামহরি নন, কুলটি নিবাসী শ্রী হলধর বিদ্যানিধি প্রথম বাংলা পাঁজিটি ছাপিয়েছিলেন। প্রকাশক ছিলেন কলকাতার স্যান্ডার্স কোম্পানি।

বাঙালি হিন্দুরা পাঁজি ছাপাতে শুরু করলেও প্রায় প্রথম থেকেই বাংলা পাঁজিতে খ্রিস্টাব্দ ও হিজরী অব্দের উল্লেখ থাকত। থাকত বৈষ্ণব, ইসলাম বা ক্রিশ্চান ধর্মের পর্বদিনগুলির উল্লেখ। যত দিন গড়িয়েছে বাংলার পাঁজি আরও বেশি করে ধর্মনিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে।

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেখা যাচ্ছে পাঁজিগুলি আজকের ‘ইয়েলো বুক’ বা ডিরেক্টরির কাজ-ও করছে। মানি অর্ডার অফিস থেকে শুরু করে মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী হোক বা দেশি উকিল, কার ঠিকানা সেখানে নেই! থাকত স্ট্রিট ডিরেক্টরি-ও। যদিও চারশ-পাঁচশ পৃষ্ঠার বইগুলির অধিকাংশ পাতাই বরাদ্দ হত জ্যোতিষচর্চা এবং পূজাপ্রণালীর জন্য। উনিশ শতকের মাঝামাঝি অবধি একাধিক ব্র্যান্ডের পাঁজি পাওয়া যেত, তবে পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখে ‘নবদ্বীপ পঞ্জিকা’ ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। ১৮৬৯ সালে এই নবদ্বীপ পঞ্জিকাই বদলে হয় গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা। দেড়শ বছর ধরে সে কাজে ভাঁটা পড়েনি। গুপ্ত প্রেসের কর্ণধার দুর্গাচরণ গুপ্ত সেই উনিশ শতকেই নিয়োগ করেছিলেন একাধিক পণ্ডিত ও গণৎকারকে, যাঁদের কাজ ছিল সূর্যসিদ্ধান্ত নিয়ামানুসারে বাংলা ক্যালেন্ডার তৈরি করা। হিন্দু পূজাপার্বণ সম্বন্ধীয় সমস্ত শুভক্ষণের হিসেব রাখতেন গুপ্ত প্রেসের এই কর্মীরাই।

‘পাঁজি’ বললে জ্যোতিষচর্চার দিকটিই  মনে ভেসে ওঠে। উনিশ এবং বিশ শতকের কিছু বাঙালি এই ধারণাটি বদলাতে বদ্ধপরিকর হয়েছিলেন। জ্যোতিষশাস্ত্রের বদলে জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে তাঁরা অধিক উৎসাহী ছিলেন, এবং বাংলা পাঁজির আধুনিক সংস্কারে এনাদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। সূর্যসিদ্ধান্তের নিয়মাবলী সুপ্রাচীন। বছর ষোলশ আগে যখন সূর্যসিদ্ধান্ত লেখা হচ্ছে তখন আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে কতটুকুই বা জানতাম আমরা? মাধ্যাকর্ষণ থেকে শুরু করে আহ্নিক গতি বা বার্ষিক গতি নিয়েও বিজ্ঞানভিত্তিক স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। আর্যভট্ট যখন আহ্নিক গতি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন সম্ভবত তার একশ বছর আগেই সূর্যসিদ্ধান্ত লেখা হয়ে গেছে। ফলে পণ্ডিতরা তখনও বুঝে উঠতে পারেন নি যে মহাবিষুব সংক্রান্তির সময়টি প্রতি বছর এক থাকে না। বিশ শতকের শুরুতেও যখন সূর্যসিদ্ধান্তভিত্তিক দিনক্ষণ ঠিক করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে প্রায়শই হতাশ হতে হত। পাঁজির সময়ের সঙ্গে গ্রহণ বা সংক্রান্তির আসল সময় মিলত না। এই সমস্যাগুলি ঘোচাতে এগিয়ে এসেছিলেন মাধব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী রাধা গোবিন্দ চন্দ্র-র মতন বাঙালিরা। তাঁদের নিরলস সাধনার ফলে পঞ্চাশের দশক থেকে ধীরে ধীরে পাঁজির দিনক্ষণ হয়ে ওঠে বিজ্ঞানভিত্তিক। রাধাগোবিন্দর পরামর্শ মতন ২১শে মার্চকে বলা হতে থাকে ‘মহাবিষুব দিন’, আগের নিয়ম মেনে ‘মহাবিষুব সংক্রান্তি’ নয়। কারণ সংক্রান্তির নির্দিষ্ট সময় বছর বছর বদলাতে থাকে।

রাধাগোবিন্দরা কিন্তু বাঙালিমানসে সম্পূর্ণভাবেই বিস্মৃত। শশাঙ্ককে বছর এক-দুই দিয়ে রেহাই দিয়ে রাধাগোবিন্দদের নিয়ে সামান্যতম চর্চাটুকু শুরু করা বোধহয় আমাদের নৈতিক কর্তব্য।

 

সূত্র-নির্দেশ

১। রমেশ্চন্দ্র মজুমদার, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস (মধ্যযুগ)’
২। সুনীল কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘বঙ্গাব্দের প্রবর্তক কে?’ (ওভারল্যান্ড পত্রিকা, ১৭-৪-১৯৯৯)
৩। শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘বঙ্গাব্দের প্রবর্তক ও সূচনাকাল, একটি সমীক্ষা’ (ইতিহাস অনুসন্ধান, খণ্ড ১৯, ২০০৫)
৪। সুখময় মুখোপাধ্যায় (শারদীয় এক্ষণ পত্রিকা, ১৪০০)
৫। ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ‘বাঙলা সন – বঙ্গ,  বাঙালা ও ভারত’
৬। Kajri Jain and Nicholas Thomas, ‘ Gods in the Bazaar: The Economies of Indian Calendar Art’ (2007)
৭। Apurva Kumar Chakraborty, ‘Origin and Development of Indian Calendrical Science’ (1975)
৮। Chandrima Pal, ‘A Bengali Almanac That’s Survived 150 Years of History is Now Counting Its Last Days’ (Scroll.in, 11-04-2017)
৯। Sudhindra Nath Biswas, Utpal Mukhopadhyay and Saibal Ray, ‘A Village Astronomer: Life and Works of R.G. Chandra’ (Arxiv. Org, 2011)

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ব্রিটেনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের অধ্যাপক। অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে বিশেষ আগ্রহ। বাংলা ও ভারতের বিভিন্ন সংবাপত্রে অর্থনীতি, রাজনীতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক একাধিক প্রবন্ধ লিখেছেন প্রবীরেন্দ্র। এছাড়াও লিখেছেন একাধিক কল্পবিজ্ঞান ও রহস্যকাহিনী। তাঁর প্রকাশিত বইগুলি হল 'বাইট বিলাস', 'ক্যুইজ্ঝটিকা', 'পরিচয়ের আড্ডায়', 'আবার ফেলুদা, আবার ব্যোমকেশ', এবং 'চার'।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *