ফরাসি সংস্কৃতি আর প্রেম প্রায় সমার্থক, একথা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মানুষ বিশ্বাস করে।  এই ধারণা যদি সত্যিই অমূলক হত, বহুকাল ধরে জনমানসে তা এত ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী হত না। সৈয়দ মুজতবা আলী লিখেছেন, একটু হাসির উচ্ছিষ্ট কুড়োনোর জন্য লোকে কঁহা কঁহা মুলুক থেকে প্যারিসে ছুটে এসেছে। 

আঠেরো শতকে লেখা ভলতের-এর ‘কাঁদিদ’ (১৭৫৯) উপাখ্যানের একবিংশ পরিচ্ছেদে জাহাজ ফ্রান্সের উপকূলে পৌঁছলে, মারত্যাঁ জানায় যে এই সেই দেশ, যেখানে মানুষের সর্বপ্রধান কাজ হল প্রেম করা, দ্বিতীয় কাজ হল পরনিন্দা (হা ঈশ্বর! এদিক থেকে বাঙালিদের সঙ্গে মিল), আর তৃতীয় কাজ হল ‘শূন্যগর্ভ কথা বলা’। তৃতীয় কথাটা যে ভলতেরীয় ক্রোধের প্রকাশ ছাড়া কিছু নয়, তা অবশ্য বোঝা শক্ত নয়। ভলতের, দিদেরো, রুসো, ভিকতর য়্যুগো, রম্যাঁ রলাঁ, সার্ত্র, লেভি-স্ত্রোস, ফুকোর দেশ অন্তঃসারশূন্য চিন্তার দেশ, এটা ঘোর শত্রু, হিংসুটের ডিম ইংরেজরাও মানবে না। স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দও স্বীকার করেছেন, এই ফ্রাঁস ‘স্বাধীনতার আবাস’ আর ইউরোপীয় ‘সভ্যতা-গঙ্গার গোমুখ’। তাঁর ভাষায়, ‘এই অদ্ভুত ফরাসি চরিত্র প্রাচীন গ্রিক মরে জন্মেছে যেন।’ 

পাশ্চাত্যে বিদ্যাচর্চা আর শিল্পের রাজধানী যদি প্রেমের মহাতীর্থ হয়, সেইসঙ্গে ফ্রান্স যে পানীয়, ফ্যাশন, খাদ্যশিল্প ও সুগন্ধিরও শাহেনশাহ্‌ সেটাও মনে রাখতে হবে। অর্থাৎ প্রেমের বিকাশ ও প্রকাশের জন্য যেসব মালমশলা লাগে, পঞ্চশরের সব তীর, ফরাসি-ফরাসিনীদের নখদর্পণে। এ যেন প্রেমের দেবীর ষড়যন্ত্র। অবশ্য আপনি বলবেন, এসব তো বাইরের ব্যাপার, আসল হল মন। 

lovers in paris
ম্যসিয়ো আমি তোমারই


তরুণ বয়সে প্রথমবার ফরাসি দেশের সঙ্গে শুভদৃষ্টি হওয়ার পরই রাস্তাঘাটে বাসে মেট্রোতে মানবমানবীর অপূর্ব মুখচুম্বনের দৃশ্য দেখে মনে হয়েছিল স্বর্গে এসে পৌঁছেছি। আইসক্রিমওলাকে পয়সা দেওয়ার জন্য আমি ও আমার বন্ধুদের দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল, কারণ সে চুম্বনে ব্যস্ত ছিল। রদ্যাঁর বিশ্ববিখ্যাত চুম্বন-ভাস্কর্য যে আসলে একটা সংস্কৃতির জীবনচর্যার প্রতিফলন, 
সেটা বুঝতে অসুবিধে হয় না। আমি ভাষাচর্চা করি বলে, একথা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, ফরাসি প্রেমিকের তূণে যেসব অস্ত্রশস্ত্র আছে, তাতে যে কোনও নারীর বিগলিত না-হওয়াই কঠিন। আর ফরাসিনী যে প্রেমশাস্ত্রে অদ্বিতীয়া, সেটা বোঝাতে আমি স্বয়ং আলী সাহেবকে সাক্ষী মানছি। তাঁর ‘পঞ্চতন্ত্র’ কেতাবে তিনি লিখেছেন:

“জর্মন ভাষায় একটি গান আছে:

In Paris, in Paris, sind die
Maedels so suess
We sie fuestern “Monsieur,
Ich bin Dein,–

প্যারিসের মেয়েগুলি কি মিষ্টি!
যখন তারা কানের কাছে গুনগুনিয়ে বলে,
‘মঁসিয়ো আমি তোমারই।’
সবাই হেসে হেসে তাকায়, সবাই কথা বলবার
সময়, ‘তুমি’ বলে ডাকে
আর কানে কানে বলে, ‘তোমায় ছেড়ে
আর কারও কাছে যাব না।’
কিন্তু হায়, শুধু তোমাকেই না, আরো
পাঁচজনকে তারা ঐ রকমধারাই বলে।’

ফরাসি জীবনে প্রেমের অন্য সাক্ষী শিল্পসাহিত্য, বিশেষ করে কবিতা। তা নিয়ে আলোচনা করতে বসলে রাত কাবার হয়ে যাবে। বরঞ্চ দু’চারটি বন্দিশ পেশ করি। এসব অনুবাদনীয় নয়। যেমন, ষোড়শ শতকে পিয়ের দ্য রঁসার-এর ‘প্রেম’ কবিতাগুচ্ছে ইতালির পেত্রার্কা, অথবা ইংল্যান্ডে ওয়াট, সিডনি, স্পেনসার, শেকসপিয়রের (যার অন্যতম প্রধান অবলম্বন প্রেম) চেয়ে ভিন্ন এক আর্তি প্রেমিকার স্নায়ুকে প্রদীপ্ত করে, অগ্নিশিখার মতো।

মৃত্যুচুম্বন

ঠোঁট সরিয়ে নাও, আর নয়
অমন চুমু আর চাই না
আমার সত্তাপ্রাণ আনন্দে অজ্ঞান হয়ে যাবে।
আমি দেখতে পাচ্ছি মৃত্যুকুয়াশার ভেতর স্বপ্নের বেলাভূমি 
জলের ধারে সবুজ প্রান্তর
যেখানে শূন্য মাঠ জুড়ে যে সুরদেবতারা মরে গেছে
তাদের হারানো প্রেমিকারা হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে।
আহ্‌, তাদের চোখের আগুন গেছে নিভে
কী নিষ্প্রাণ ওদের চুমু আর হাসি!
তুমি ওভাবে চুমু খেলে 
আমিও ওদের মতো মরে যাব।  

(অনুবাদ: লেখক)

প্রেমিক না হলেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে লেখা চিঠি শেষ হয় না ‘Je vous (t’) embrasse’ (‘আমি তোমায় চুম্বন করি’) ছাড়া। ‘Baiser’ (চুমু) বা চলতি ‘Bises’ কথাটিও চলে, ‘baisers voles’, stollen kisses কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, ওই ‘baiser’ কথাটাই শারীরিক মিলনের (ইংরেজি চার অক্ষরের শব্দটির মতো) নিষিদ্ধ ক্রিয়াপদ।

একটি নিরীহ শব্দ তখন আর নিরীহ থাকছে না। ফরাসিতে যৌনতার শব্দাবলি যেন রামধনুর মতো সাতরঙে ছড়ানো, প্রতিটি আচরণ চিত্রকল্পময়। রোম্যান্স ভাষায় (অর্থাৎ লাতিনজাত ভাষায়) তা আরও সাঙ্গীতিক শোনায়, ইংরেজির মতো পুরুষ-ভাষায় (masculine language) যা কল্পনাতীত। শ্রোণী-চুম্বন হল গোলাপ-পাতা আঁকা।

ফরাসি কবিতায় আধুনিকতার দুঃসাহসিক উদ্গাতা বোদল্যের-এর অধিকাংশ কবিতাই প্রেমের, যার ওপর একদা আইনের খড়্গ পড়েছিল। বুদ্ধদেব বসুর বিখ্যাত অনুবাদেও পাঠক সেই অমঙ্গলময় নিরাপত্তাহীন স্বপ্নের স্বাদ পাবেন। 

আধুনিকতার অন্যতম পুরোহিত গিয়োম আপলিনের (১৮৮০-১৯১৮)-এর দুঃসাহসিক বাধাবন্ধহীন শারীরিক প্রেমের ‘লু-কে লেখা কবিতা’ অথবা ‘লু-কে লেখা চিঠিপত্র’ কোনও সামাজিক বাধাই মানেনি। তিনি দু’টি যৌন-উপন্যাসও লিখেছেন, যা এত উন্মুক্ত ও কাব্যিক, যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে হয়। 

নামহীন

স্বপ্ন দেখলাম আমি আমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাচ্ছি
তুমি আসোনি কিন্তু তোমার হাসির শব্দ শোনা গেল
তোমার ঠোঁট রক্তপায়ী বাদুড়ের 
আমার উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টির সামনে ঘুরপাক খাচ্ছে লাল লাল কফিন
আর আমি মরে যাচ্ছি তোমার হাসি শুনতে শুনতে

(অনুবাদ: লেখক)

চুম্বনচুম্বকের কবিতা প্রসঙ্গে বিশ শতকের আরও একটু পরে চলে আসি। ধরা যাক, জাক প্রেভের (১৯০০-১৯৭৭)-এর সেই অবিস্মরণীয় কবিতা ‘উদ্যান’ (Le jardin)। অরুণ মিত্রের অনুবাদে সেটি পেশ করি। 

হাজার হাজার বছরেও কুলোবে না
যদি বর্ণনা করতে যাই
চিরন্তন কালের সেই ছোট্ট মুহূর্তটা
যখন তুমি আমাকে চুমু খেলে
যখন আমি তোমাকে চুমু খেলাম
শীতের এক সকালের আলোয়
মঁসুরি পার্কের ভিতরে পারিতে
পারিতে
পৃথিবীর ওপর
পৃথিবী যা এক নক্ষত্র।

বিশ শতকের ফরাসি কবিতায় প্রেমের রাজকুমার পল এল্যুয়ার (১৮৯৫-১৯৫২)-এর কবিতা যেন ভালবাসার মুক্তামালা। 

আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসতে চাই
একটি ঝড় এসে ঢেকে ফেলে উপত্যকাকে
একটি মাছ নদীকে

আমি তোমায় করেছি আমার নির্জনতার মতো বড়
একটা গোটা পৃথিবী যেখানে লুকিয়ে পড়তে পারে
দিনরাত্রি তোমাকে বোঝার জন্য

যাতে তোমার চোখে আমি শুধুই দেখতে পাই
তোমাকে নিয়ে আমার ভাবনা
তোমার প্রতিমায় ভরে ওঠে আমার পৃথিবী

আর আমার দিনরাত্রি শাসন করে তোমার চোখের পাতা

(অনুবাদ: লেখক)

রক্তিম

মেরুদণ্ড বেয়ে দিনটি নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে 
ছায়ার মধ্যে তোমার ভালবাসার শরীরে আনন্দঝড়
বিস্ফোরণ হল হঠাৎ
আর তোমার পোশাক নেমে এল পালিশ করা মেঝেয়
একটুও শব্দ না করে
যেন কার্পেটের ওপর কমলালেবুর খোসা

কিন্তু তোমার পায়ের তলায় 
বিচির মতো ছোট ছোট মুক্তোর বোতাম
রক্তিম 
সুন্দর ফল
তোমার স্তনের শীর্ষ 
এক নতুন জীবনরেখা তৈরি করল হঠাৎ
আমার তালুতে 
রক্তিম 
সুন্দর ফল
অন্ধকারের সূর্য

(অনুবাদ: লেখক)

roads of France
পুনরাবৃত্ত হতে থাকা বাক্যবন্ধ স্যেন সরণিতে অন্য রাস্তার এক কোণায়

জাক প্রেভের-এর আরেকটি কবিতা (Rue de Seine)-য় একটি আর্ত প্রশ্ন ধুয়োর মতো ফিরে ফিরে এসে আমাকে মধ্যরাতে ছিঁড়ে ফেলে। 

স্যেন সরণি

স্যেন সরণিতে সাড়ে দশটা
পাশের রাস্তার এককোণে
একটি মানুষ টলমল… এক যুবক
মাথায় টুপি
বর্ষাতি
একটি মেয়ে তাকে ঝাঁকাচ্ছে
সে তাকে কিছু বলতে চাইছে
যুবকটির মাথা দুলছে
তার টুপিটি হেলে পড়ে যাচ্ছে
মেয়েটির টুপিটা পিছনে পড়ে যায় প্রায়
দুজনেই ফ্যাকাশে
যুবকটি নিশ্চিত পালাতে চাইছে
উধাও হতে, মরে যেতে
কিন্তু মেয়েটির তীব্র আকাঙ্ক্ষা বেঁচে থাকার
আর তার কণ্ঠস্বর
তার ফিসফিসানি উচ্চারণ
আবোধ্য হলেও যা শোনা যাচ্ছে
তা যেন এক আকুল আর্তি
এক নির্দেশ…
এক কান্না…
সেই স্বর এত ব্যাকুল…
এবং বিষণ্ণ
অথচ জীবন্ত…
এক সদ্যজাত অসুস্থ শিশু যেন সমাধিস্থলের এক
বেদিতে বসে শীতে হি-হি
এক বাচ্চার কান্না যেন তার আঙুলগুলো
দরজার পাল্লায় থেঁতলে গেছে
একটি গান একটি বাক্যবন্ধ
সর্বদাই একই ধরন
একটি বাক্যবন্ধ
পুনরাবৃত্ত…
বিরতিহীন
নিরুত্তর
যুবকটি তাকে লক্ষ করে, তার চোখ ঘুরছে
ডুবে যাওয়া মানুষের মতো
পুনরাবৃত্ত হতে থাকা বাক্যবন্ধ
স্যেন সরণিতে অন্য রাস্তার এক কোণায়
মেয়েটি ক্লান্তিহীন
প্রচেষ্টা চালায়
তার ব্যগ্র প্রশ্ন চলছেই
যেন নিরাময়-অযোগ্য কোনও ক্ষত
পিয়ের, সত্যি করে বলো
পিয়ের, সত্যি করে বলো
আমি সমস্ত কিছুই জানতে চাই
আমাকে সত্যি কথা বলো…
মেয়েটির টুপি পড়ে যায়
পিয়ের, আমি সমস্ত কিছু জানতে চাই
আমাকে সত্যি বলো…
নির্বোধ অথচ মহান প্রশ্ন
পিয়ের জানে না উত্তর
সে নিঃশেষিত
সে, পিয়ের নামক যুবকটি
মৃদু হাসে হয়ত শুভেচ্ছা স্বরূপ
এবং বলেই চলে
এই যে, শান্ত হও, তুমি অস্থির
কিন্তু স্থিরতাও পিয়েরের অজানা
তার নজরেও আসছে না
আসছে না কীভাবে
নিজের হাসিতেই তার মুখ কেমন বিকৃত…
তার শ্বাসরুদ্ধ
দুনিয়া তার মাথায় চেপে বসছে
তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করছে
তিনি এক বন্দি
নিজেরই প্রতিজ্ঞার বেড়াজালে…
কোনও একজন তার হিসেব গোছানোর নির্দেশ দিচ্ছে
সেখানে তার সামনে
এক হিসাবযন্ত্র
এক প্রেমপত্র লেখার যন্ত্র
তাকে ঘিরে ফেলে…
শ্বাসরোধ করে
পিয়ের, আমাকে সত্যি করে বলো।

(অনুবাদ: পলাশ ভদ্র)

স্বল্প-পরিচিত এক কবির নবতরঙ্গ-চলচ্চিত্রের মতো বিদ্যুৎময় এক কবিতা দিয়ে শেষ করি। জর্জ-লুই গোদো (১৯২১-১৯৯৯)

শনিবারের প্রেমিকেরা

শান্ত একটি রাস্তায় একটি মেয়ে পায়চারি করে। মাঝে মাঝে সে 
ঘড়ি দেখে। তার চশমার কাচ দুটি ঘষা।
উজিয়ে আসে একটি গাড়ি, দাঁড়ায়। চালকের মুখ ফ্যাকাশে,
অপরাধীদের মতো। চশমার কাচ দুটি ঘষা।
দুটি হাসি, কোনও মতে, বিনিময় হয়। খুট করে দরজার শব্দ। তারা পালায়
শনিবারের প্রেমিকেরা তাদের ছায়াকেও ভয় পায়। 

(অনুবাদ: লেখক)

Paris lovers
দুটি হাসি, কোনও মতে, বিনিময় হয়


বেলা পড়ে আসছে। আমি আস্তে আস্তে হাঁটছি প্যারিসে স্যেন নদের দক্ষিণ পার দিয়ে। ওপারে অদূরে একটি রেস্তোরাঁ যার নাম ‘ল্য সলেই দ’অর’, অর্থাৎ ‘সোনার সূর্য’। অসংখ্য বই সাজানো সবুজ বাক্সে ভরা পুরনো বইয়ের দোকান, যেখানে ইতিহাস কথা বলে। বোদল্যেরের আঁকিবুকির পাণ্ডুলিপি দিয়ে তৈরি একটি বই দেখছি। দোকানি বলল, ‘ভূ সাভে কি আবিতে লা?’ সামনের বাড়ির ওই ঘরটায় কে থাকত জানেন? প্রথমে ভাগনার, তারপর বোদল্যের, তারপর রাইনের মারিয়া রিলকে! 

আমি ভূতগ্রস্তের মতো স্যাঁ-মিশেলের সাঁকো পেরিয়ে পথ হাঁটি। মৃদু জলের শব্দ। দুটি ছায়া একত্র হয়েছে প্রগাঢ় চুম্বনের জন্য। আমাকে দেখে তারা একটু লজ্জা পেল। এক অনতিসুন্দর পুলিশ আর এক পরমাসুন্দরী পুলিশিনী! 

*ছবি সৌজন্য: Pixabay, Pinterest

পেশায় ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। লেখক, প্রবন্ধকার ও অনুবাদক হিসেবে খ্যাত। 'ঘুমের দরজা ঠেলে' বইয়ের জন্য পেয়েছেন অ্যাকাডেমি পুরস্কার। ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় ওঁর পাণ্ডিত্য সুবিদিত। 'হে অনন্ত নক্ষত্রবীথি', 'গাঢ় শঙ্খের খোঁজে', 'অন্য জলবাতাস অন্য ঢেউ' ওঁর কিছু প্রকাশিত বাংলা বই। ইংরেজি ভাষাতেও লিখেছেন একাধিক বই। বিশিষ্ট ফরাসিবিদ হিসেবে তিনবার ফরাসি সরকারের কাছ থেকে নাইটহুড পেয়েছেন।

7 Responses

  1. এই লেখকের যেকোনো লেখার মতো এই ছোট অথচ সংবেদী লেখাটিও সতেজ অনুভূতিকে কাঁপায়- যেমন তিরতির করে কাঁপে জল। আরও একটু বিস্তৃত ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার রসে জারিত হলে আরও ভালো হত ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *