ঘুম আর জাগরণের মধ্যে টিটি করে ডেকে চলে একটা পাখি।
ট্রেনের দুলুনির মতো অবিরাম। একঘেয়ে।
অবেলায় চোখ লেগে আসে।
স্বপ্নের ভেতর দিয়ে আমি আর মা হেঁটে যাই বাড়ির দিকে।
ফেরার পথে দেখা হয় দিদিমার সাথে।
স্নান সেরে পুজো দিতে এসেছে গোঁসারাবুড়ির থানে।
পাট ভাঙা শাড়ি, টলটলে সিঁদুর।
মায়ের থেকেও প্রাচীন, অপরূপ মুখ!
শরীরে সময়ের চিহ্নমাত্র নেই।
হেসে বলে… “ফিরলি?”
ঘুম ভেঙে যায়।
ঘরদোর ফেলে আমি আর মা কোথায় গিয়েছিলাম
মনে পড়ে না।

আজকাল রোজ বিকেলে ঝড় ওঠে। কালবৈশাখী।
আশপাশের ঘর থেকে দুমদাম জিনিসপত্র পড়ার শব্দ আসে।
মা ছুটে জানলা বন্ধ করতে যায়।
ফিরে এসে বলে, “রান্নাঘরের জানলাটা ভালো করে লাগে না, জল ঢোকে।”
আমি অন্ধকারে গিয়ে দাঁড়াই।
নারকেল পাতা কাঁপে কিশোরী মেয়ের মতো।
আমারও স্মৃতির ভেতর হুহু করে ঢুকে আসে জল…
ভেসে যায় ভাতের থালা।

শ্রাবণী খাঁ -এর জন্ম ১৯৯২ সালে। তাঁর লেখা কবিতা দেশ, কৃত্তিবাস, বসুমতী, সম্পূর্ণা, মথ-এর মতো বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে। পেশায় শ্রাবণী একজন ভয়েস আর্টিস্ট।

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *