সমবেত পাঠজন্ম         

সকল পাঠ, মনন, অধ্যাবসায় 
যেন ঈশ্বরের দিকে নয়
যেন নিরীশ্বরের দিকে নয়
যেন চিরবিদ্যমান সেই অন্যদিকে চলে যায় 

–অমিতাভ মণ্ডল 

 

শেষ ফাল্গুনের এক ১৯৯০ সালে, শহরের ওপর থম মারা আকাশ যখন সন্ধের ঠান্ডা হাওয়া মাথায় করে বয়ে আনত গল্ফগ্রিনের বিস্তৃত ধূ ধূ আঁচিয়ে, লোডশেডিং জ্বালিয়ে মিটমিটে বেঁচে থাকত পাড়ার ছোট মুদির দোকান আর ঝরাপাতার অধ্যায় শেষে গাছ গাঢ় সবুজের রঙ নিত আমাদের টালিগঞ্জ করুণাময়ীর ছায়াভরা প্রায়-মফসসলে, আমার বাবা পাড়ার মণিহারি দোকান থেকে একটা বাঁধানো লাল মলাটের লাইন দেওয়া খাতা কিনে হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘এখানে হাতের লেখা প্র্যাক্টিস করবে।’ তাঁকে দেখতে সুখী মানুষের মতো লাগছিল। সেই রাত্রিবেলা বাড়ির পেছনের পুকুরধার থেকে মাতালের ব্যারিটোন ভয়েসের চিৎকার এসেছিল, আমার ঠাকুমা লোডশেডিং রঙের হাতপাখা নাড়িয়ে কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম আওড়াচ্ছিলেন, পাড়ার মোড় থেকে হল্লা উঠছিল ‘অলি গলি মে শোর হ্যায় রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়’, আর একটামাত্র মোমবাতির আলোতে আমার লেখা আদিম আদরে জন্ম নিল। নিজের নাম গোটা গোটা অক্ষরে লেখার পরেই কাঁপা হাতে শুরু করেছিলাম ‘হাবুলের গল্প’। সেটুকুও সম্ভবত শুকতারা থেকে পড়া একটি ছেলের কাহিনি প্রায় টোকা। শেষ বাক্যটা তো হুবহু, ‘পাড়ার লোক শুনে ধন্য ধন্য করল।’ তখন পেন্সিলখোকা, রাবার দিয়ে বারে বারে মুছে দিয়েছিলাম থতমত শব্দ, বানান ভুল অথবা। সেই প্রথম দিন থেকে আমার লেখায় কুম্ভীলকবৃত্তি তাই, অগ্রজের সহনীয় ভার কাঁধে না থাকলে সামনে এক পা এগনো যায় না, ক্ষণ পৌঁছয় না অনন্তে।

মানে, সাত বছর বয়েস থেকে যে লেখালেখির সূত্রপাত, তাকে অনায়াসে ‘আমাদের’ লেখালেখি বলে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব, কারণ লিখে গিয়েছি আমি, আমার সঙ্গে অগ্রজ লেখককূল যাঁরা অন্তত একটা করে শব্দ ধার না দিলে পেন ও পেন্সিল বীর্যহীনই থেকে যেত, লিখে গিয়েছে আমার সমসাময়িকেরা, ভবিষ্যতে লিখবে বলে কলম পাকিয়েছে উজ্জ্বল অনুজ। কেমন ছিল সেই নব্বইয়ের কলকাতায় আমাদের লেখালেখি? মূলত শুরু হত স্কুল ম্যাগাজিন, হাতেলেখা পত্রিকা, দেওয়াল পত্রিকা থেকে। সরকারি স্কুলগুলো তখনও নিয়ম করে দেওয়াল ম্যাগাজিন বার করত, ক্কচিৎ ঝলকেও উঠেছিল অবাক মাণিক্য যার ভেতরে। অনুভব করি, আনন্দমেলা, শুকতারা ইত্যাদির একটা বড় প্রভাব ছিলই, অন্তত সেই ছোট বয়েস থেকে যারা লিখতে এসেছি, কে অস্বীকার করবে রতনতনু ঘাটি, শিবায়ন ঘোষ, এণাক্ষী চট্টোপাধ্যায়, শৈলেন ঘোষেদের প্রভাব ! অন্তত, কেন্দ্র থেকে প্রান্তের দিকে পা বাড়াতে যেটুকু সাহস লাগে, তার জন্য কেন্দ্রকে তো বুঝতে হয় আগে, আত্মস্থ করতে হয় তার গলিঘুঁজি, চোরাভাঁজের ইশারা। তারপর সে মারণটান অগ্রাহ্য করে ধূসরতার দিকে মুখ ফেরানো, নির্মাণ করে নেওয়া নিজস্ব বাকপ্রতিমা। নাস্তিক্য বড় চমৎকার ভাব, ঈশ্বরকে তা বাঁচিয়ে রাখে যুগান্তরে। আমাদের তৎকালীন আস্তিকের হৃদয় গচ্ছিত ছিল পাড়ার লাইব্রেরিগুলোতে, ধূসর দেশ-আনন্দমেলার পৃষ্ঠায়, লীলা মজুমদার, সত্যজিৎ রায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, একটু অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের মলাটে লুকানো কালবেলা, নিমাই ভট্টাচার্য হয়তো বা। আমাদের উভয়ে সমুজ্জ্বল–চিরনতুন নাস্তিক্যে অনিশ্চয়, বারেবারে ভাষাবদল, নির্লক্ষ্য; চিরপুরাতন আস্তিক্যে নিশ্চয়, ভাষার অব্যয়, লক্ষ্যভেদী মনোরঞ্জন। 

Kheror Khata for writing
বাবা পাড়ার মণিহারি দোকান থেকে একটা বাঁধানো লাল মলাটের খাতা কিনে হাতে তুলে দিলেন

তো, সেইসব হাতে লেখা ম্যাগাজিন, ডায়েরি সেসব– গণশক্তি পত্রিকা থেকে সুদৃশ্য চামড়ার লাল মলাটে বাঁধাই হয়ে আসা জাম্বো ডায়েরি দেখেই লোভ হত, ভরিয়ে ফেলি অক্ষরে অক্ষরে– সেইসব দেওয়াল পত্রিকা যেগুলো পাড়ার মোড়ে টাঙানো হত কখনও বা, অথবা পুজোর স্যুভেনিরে অপটু হাতে লেখা কবিতা, একটু বড় হতেই প্রেম প্রেম ভাব যেখানে এবং ‘হৃদয়’, ‘রক্তগোলাপ’ বা ‘আঁখি’ জাতীয় কাঁচা শব্দের ছড়াছড়ি, অথবা, পাড়ার এলসিএম কাকুর কাছে রবিবারের বাজারে সমাজবদলের কথা শুনেই ফিরে এসে লিখে ফেলা ‘শ্রমিক’, ‘দিনবদল’, ‘হাতুড়ি’, যেগুলো তাদের অব্যার্থ লয়ালটি গচ্ছিত রেখে গেল দেওয়াললিখন, ভোটের প্রচার কি পাড়ার রবীন্দ্র নজরুল সন্ধেদের কাছে, হ্যাঁ তখনও পাড়ায় পাড়ায় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, রবীন্দ্র নজরুল সন্ধ্যারা বেঁচে ছিল নিম্নবিত্ত সাধ্যের আয়াসে, আমাদের সংস্কৃতিচর্চার দিনান্তের শেষ দু আনা বড্ড বেশি মহার্ঘ্যও ছিল, সেই সমস্ত উপাদান আমাদের পাঠ ও লেখার কাঁচামাল সরবরাহ করে এসেছে। সেই কলকাতাকে না বুঝলে আমাদের লেখালেখিকে বোঝা যাবে না, জানা যাবে না কেন নির্বোধ আগ্রহে আমরা তাকিয়ে থেকেছি বইমেলার মাঠে বিখ্যাত লেখকের দিকে, তাঁকে ঘিরে চোঁয়ানো ভিড় আঁজলায় চেটেপুটে নিয়ে ভেবেছি, আমরাও অমন লিখব। তখনও লেখকের সেলিব্রিটি স্টেটাস ছিল, সেই নব্বইয়েরই এক বইমেলাতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পেছনে দৌড়তে থাকা পঙ্গপালের মতো ভিড় দেখে শঙ্করলাল ভট্টাচার্য লিখেছিলেন, ‘সুনীল গাঙ্গুলীর জনপ্রিয়তা ফুটবলারদের মতো’। প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন সুনীল। কিন্তু এ লেখা সেসব নিয়ে নয়। আমাদের লেখাজন্ম বিষয়ক, যখন মুখ নিচু করে দুঃখ খুঁজতে খুঁজতে আমরা বড় হয়েছি, পালটে গিয়েছে আমাদের বাকনির্যাস, দ্রাক্ষাবিতান ও রাজপ্রাসাদ ছাড়িয়ে আলেখ্য নেমেছে ভঙ্গীর গভীরে, সেখানে আকাশ পৃথিবীর উপর নতজানু। পাঠক আমাদের পৃথিবী ছিলেন, হৃদয়টুকু আকাশ। 

সেই রাত্রিবেলা বাড়ির পেছনের পুকুরধার থেকে মাতালের ব্যারিটোন ভয়েসের চিৎকার এসেছিল, আমার ঠাকুমা লোডশেডিং রঙের হাতপাখা নাড়িয়ে কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম আওড়াচ্ছিলেন, পাড়ার মোড় থেকে হল্লা উঠছিল ‘অলি গলি মে শোর হ্যায় রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়’, আর একটামাত্র মোমবাতির আলোতে আমার লেখা আদিম আদরে জন্ম নিল। নিজের নাম গোটা গোটা অক্ষরে লেখার পরেই কাঁপা হাতে শুরু করেছিলাম ‘হাবুলের গল্প’। সেটুকুও সম্ভবত শুকতারা থেকে পড়া একটি ছেলের কাহিনি প্রায় টোকা। 

সেসব দিনগুলোতে হাতেলেখা পত্রিকার বাইরে আমরা স্কুলবালকেরা ছাপায় নিজেদের নাম দেখা ভাবতেও পারতাম না, যদি না স্কুল ম্যাগাজিন বা পুজোর স্যুভেনির হত। তবু, একটা খুব আলগা হলেও সাহিত্যবোধ আমাদের বাংলা মাধ্যম স্কুলের মধ্যে চারিয়ে দেওয়া যেত, মূলত সিলেবাসের কারণে, এবং স্কুল লাইব্রেরি। অঢেল সম্ভার যেখানে বইয়ের, হেমেন রায় থেকে শুরু করে বিভূতিভূষণ, যতই পরবর্তীকালে উদাসীন হয়ে যাক না কেন, ছেলেমেয়ের দল শুরুর দিনগুলোতে অন্তত কিছুটা জানত। তাদেরই মধ্যে কেউ কেউ লিখতে চেয়েছিল, হাতে লেখা পত্রিকা বার করত কেউ, বড় আর্ট পেপার ভাঁজ করে চার ফোল্ড করা সেসব কাগজে আমরা গোটা গোটা অক্ষরে গল্প লিখেছি, কেউ কাঁচা কবিতাও। স্কুলের ম্যাগাজিনে ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখতে পাবার রোমাঞ্চ আলাদাই, যদিও সেসব পরে এসেছে। কিন্তু স্কুলজীবন, তারপর কলেজে উঠে যেসব লেখার সূত্রপাত, তারা এখন যদি আমার পাশে এসে দাঁড়ায়, তাদের বলব– আমার কাঁচা সন্তানের দল, তোমাদের মুখ থেকে নিষ্পাপ লালা গড়ায় যে, ঔদ্ধত্য থাকুক যতই। বর্ম দিয়েছি শুধু, শরীর ভুলে গিয়েছিলাম। তবু সেটুকু খোলসের অহংকারে আমার পাশে দুদণ্ড বসে যাও প্লিজ!

এ কথা বলতে আজ দ্বিধা নেই যে আমরা যারা বইয়ের পাতার গন্ধ শুঁকে গিয়েছি, মনে রেখেছি এবং ভুলে গিয়েছি মৃত লেখকদের, ফার্স্ট ইয়ারে যাদের হাতে এসেছিল সুভাষ ঘোষের গদ্য অথবা অবনী ধরের লুপ্ত কপি, তারা সকলেই লয়ালটি গচ্ছিত রেখেছে ফেলে আসা দশকের পাঠপ্রচেষ্টার কাছে, যেখানে প্রতিটি স্লোগান কবিতা এবং প্রতিটি ডায়েরি হয়ে উঠত অক্ষম অস্ত্রাগার। তাদের আমরা অগ্রাহ্য করেছি, অবহেলায় সরিয়ে দিয়েছি পাঠশিক্ষা নেই বলে, পাড়ার ক্লাবের দেওয়াল ম্যাগাজিনের করুণ প্রচেষ্টাকে ঈষৎ বাঁকানজরে দেখেছি লায়েকত্বের সময়কালে, তবু সেইসব দেশাত্মবোধের কবিতা, প্রেমের গল্প, গোয়েন্দা গল্পের কাঁচা প্রচেষ্টাগুলো আমাদের সাবালক করেছিল, সন্দেহ নেই। আজ আর সেরকম পাড়া বিশেষ নেই, অন্তত দক্ষিণ কলকাতায়। সরকারি স্কুলগুলো তো ধুঁকছে, আর স্লোগানের কথা বাদই দেওয়া গেল।

wall-magazine
তাদেরই মধ্যে কেউ কেউ লিখতে চেয়েছিল, হাতে লেখা পত্রিকা বার করত কেউ…

আক্ষেপ করে লাভ নেই, এরপরেও বাচ্চা ছেলেমেয়েরা লিখবে, তাদের কাঁচামাল আসবে অন্য কোথাও থেকে, অন্য অনেক দেওয়াল, যাদের কারও কারওর নাম হয়তো ফেসবুক। আমাদের লিটল ম্যাগ প্রচেষ্টা, যৎসামান্য লেখালেখি, অন্যরকম ভাবার প্রয়াস, এগুলোকে তাই বুঝতে গেলে অব্যর্থ হোমাজ যাবে আমাদের বড় হবার প্রতি, অমেধাবী দিনগুলোর ভেতর লুকিয়ে রাখা বাজারপত্রিকার হাঁমুখ, ‘একটি গ্রামের গল্প’ নামক পাড়ার বাবাইদাদার লেখা গল্প, যেটা সুন্দর হাতের লেখায় সাইনবোর্ডে টাঙানো ছিল এক শরতে, রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ক্লাবের গায়ে দেওয়ালপত্রিকায় পুতুল নামক শিশুশ্রমিকের গল্প, যার জীবনকে লেখক বিন্দুমাত্র প্রত্যক্ষ না করে ঘোষণা করেছিল যে গড়িয়াহাটের ফুটপাতে বসে রাত্রিবেলা পুতুল কাঁটাচামচ দিয়ে ম্যাগি খাচ্ছে, সেসব হাস্যকর স্ববিরোধী প্রজেক্টগুলো আমাদের লিখে গেছে, তৈরি করেছে ভবিষ্যতের জন্য। 

সেই রাত্রিবেলা মোমবাতির আলোতে অনেকখানি লিখেছিলাম। বুঝেছিলাম, একটা অন্য আমি জন্ম নিচ্ছে, যার ভালো লাগছে নিজেকে। জানতাম না, কাঁচা লেখাও আমাদের বাকপ্রবাহের অংশ হয়ে যায়, যার আদিনাম চর্যাপদ হলে অন্তে কিছু নেই, এবং আমাদের প্রতিটা লেখার যতিচিহ্ন তার শেষ বিন্দু পর্যন্ত অব্যর্থ ঋণ রেখে যায় রামপ্রসাদ সেনের কাছে, রামকৃষ্ণ পরমহংসের বাগবিভূতিতে, অমিয়ভূষণের ঐশ্বর্যে, তারাপদ রায়ের নস্টালজিয়ায়, বীতশোক ভট্টাচার্যর অন্বেষণে, দেবারতি মিত্রর শব্দবিশ্বের কাছে। সে লেখা যতই শিশুবয়েসের ধুলোখেলা হোক না কেন, কিছুমাত্র, একটি অক্ষরও প্রবাহের ঋণ অস্বীকার করতে পারে না, সে বয়েসে কী করেই বা বুঝব এসব ! সেই গল্প কালের নিয়মেই হারিয়ে গিয়েছে, মনে পড়ে দুই পাতা লেখার পর স্কুলের আন্টিকে দেখালে তিনি একঝলক চোখ বুলিয়ে বলেছিলেন ‘বাহ’, তারপর অন্য কাজে চলে গিয়েছিলেন। সেটুকুর পরবর্তী ইতিহাস যা, আগেই লিখেছি। নব্বই দশক কেটে যাবার পর প্রথাসিদ্ধ লেখালেখি ও বইপত্রের প্রতি মায়া লুপ্ত হয়ে গেল, লিটল ম্যাগাজিনের অবিরাম ঐশ্বর্য দুই হাত পেতে গ্রহণ করে নিল অবার্চীন বালকের দ্বিধাকম্পন। সেটুকুর ইতিহাস সম্মিলিত পাঠভাবনা, আমাদের লেখালেখি কীভাবে তৈরি হল, কলকাতার সেই সময়কার সংস্কৃতি কতটা প্রভাবিত করল আমাদের, কোথায় আমরা ফেইল করলাম আর কোথায় আত্মতুষ্টির সামান্য অবকাশ থেকে গেল, সেসব তো আসবেই, পরবর্তী পর্বগুলোতে। তার আগে, প্রথাকে ট্রিবিউট না জানাবার সাহস কোথায়! নাস্তিক অনেকেই হয়, তবু ঠাকুরঘরের কুলুঙ্গিতে রাখা শালগ্রামশিলাকে ছুড়ে ফেলার স্পর্ধা থাকে কজনের? আমাদের তো ছিলই না!     (চলবে)

 

*পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে ৭ অগস্ট ২০২২
*ছবি সৌজন্য: Pinterest, Dealika

শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৮২ সালে কলকাতায়। প্রথম গল্প বেরিয়েছিল পরিকথা পত্রিকায়, ২০০৩ সালে। এ পর্যন্ত লিখেছেন সাতটি উপন্যাস ও প্রায় চল্লিশটি ছোটগল্প। মূলত লিটল ম্যাগাজিনই তাঁর লেখালেখির জায়গা। এ পর্যন্ত পাঁচটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *