দিল্লী কিংবা মুম্বই বিমানবন্দরে অনেক বিদেশি বিমান আসে আর এইসব শহরের নামী হোটেলগুলিতে কিছু ঘর এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো সারা বছরের জন্যে নিয়ে রেখেছে। কলকাতার হোটেলগুলোর ভাগ্য এত ভালো নয় তাই সারা বছর ধরে হোটেল ভরানোর কথা ভাবতে হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি অবধি কলকাতার এক প্রস্তুতিকারক কোম্পানির কাজে যখন অনেক রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়র আসত, সবকটা হোটেল ঝাঁপিয়ে পড়ত তাদের রাখার জন্যে। এই অতিথিরা একটানা প্রায় ছয় মাস শহরে থাকত, তাই কলকাতার হোটেলগুলোর কাছে এরা খুব লোভনীয় ছিল- একসঙ্গে পঁচিশ-ত্রিশটা ঘর থেকে টানা অতগুলো দিন ধরে নিশ্চিত উপার্জনের সুযোগ কেউই ছাড়তে চাইত না। এই রাশিয়ানদের চাহিদাও ছিল বেশ কম, অন্য ইউরোপীয় দেশের অতিথিদের মত খুঁতখুঁতে নয় পরিষেবার বিষয়ে- তাই এদের পাওয়ার জন্যে প্রতিযোগিতা ছিল তীব্র। বেশ কয়েক বছর ধরে তারা শহরে আসেনি। হঠাৎ এই শতকের এক্কেবারে শুরুর দিকে আবার তাদের আসা শুরু হল আর শহরের সব হোটেল ঝাঁপিয়ে পড়ল ওদের রাখার জন্যে। 

প্রথম দু’বার মিস করে গেলেও তৃতীয় দফায় আমার বস হাফিজভাই কলকাতার কোম্পানির কর্তাব্যক্তিদের মুঠোয় নিয়ে রাশিয়ানদের হোটেলে এনে তার “সুপার-বেচু” খেতাব অক্ষুণ্ণ রাখতে পারল। কিন্তু বিধি বাম, কয়েক মাস পরেই সেই রাশিয়ানরা উসখুস করতে লাগলো। তারা নাকি “বোর” হয়ে যাচ্ছে। কলকাতার অন্যান্য বড় হোটেলের তুলনায় আমাদের হোটেল ছিল কম্প্যাক্ট- দুই তিন দিনের অতিথিদের জন্যে আদর্শ- কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কেউ থাকলে হাঁপিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। অবস্থা আয়ত্বে আনতে এই ইঞ্জিনিয়ারদের বিয়ার ফ্রি করে দেওয়া হল, যাতে কারখানা থেকে ফিরে বিয়ার খেয়ে সময় কাটাতে পারে। এই বন্দোবস্তের পর কিছুদিন চমৎকার কাটল কিন্তু কিছুদিন পর আবার “বোর” হওয়ার সমস্যা। ওদের সঙ্গে থাকা দোভাষী শম্ভু চক্রবর্তী রোজ এই নিয়ে নালিশ শুরু করলো। 

হাফিজভাইকে কে যে “হাবিজাবি কোথায় যাবি,আমার কাছে আছে সব তালার চাবি” কথাটা শিখিয়েছিল জানতাম না কিন্তু মাঝেমাঝেই তার অননুকরণীয় ভাঙ্গা বাংলায় এই প্রবাদটা বলত। এমন একটা ঘাঁটা পরিস্থিতিতে বস আমায় নিয়ে এক সন্ধ্যেতে বসল। বলল “তুই এই রাশিয়ানদের নিয়ে দীঘা বেড়িয়ে আয়”। শুনে আমি আঁতকে উঠলাম কারণ আমার তখন ওই হোটেলে চাকরির মাত্র কয়েকদিন বাকি, নোটিস পিরিয়ডে আছি। প্রবলভাবে আপত্তি জানাতে বস হুমকি দিল ক্লিয়ারেন্স কেঁচিয়ে দেবে। তারপর নরম ভাবে বলল – “তুই তো এই কাজ আগেও করেছিস!” কী কুক্ষণে কোনও এক আড্ডায় চাল মেরে আমার চাকরি জীবনের এক্কেবারে গোড়ারদিকে চাকরি বাঁচাতে আমার ট্যুর কন্ডাক্টার হওয়ার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছিলাম! সেবার একদল ফরাসি অতিথি হোটেলে চেক-ইন করার সময় হুলুস্থুলু ফেলে দিয়েছিলাম ফরাসিতে ওদের নাম জিজ্ঞেস করে। কলেজে পড়ার সময় ফরাসিতে নিজের পরিচয় দেওয়াটুকু ছাড়া আর কিছুই শিখে উঠতে পারি নি; একবার মৌখিক পরীক্ষায় “ত্যু পার্ল ফ্রাসে?”(তুমি ফরাসি বল?) জিজ্ঞাসা করলে “জ্য পার্ল ফ্রঁসে”(আমি ফরাসি বলি) বলে পাছে আরও প্রশ্ন করে, তাই আরও যোগ করে দিই “না পারলে বাংলা”- সেই আমি কি করে এত বড় একটা দুঃসাহস দেখিয়েছিলাম জানি না, কিন্তু চাকরিটা বেঁচে গিয়েছিলো অদ্ভুত ভাবে। পরের দিনই এক বহুজাতিক কোম্পানি তাদের দক্ষিণ ভারতীয় ডিলারদের কলকাতা দেখাতে নিয়ে এসে আমাদের হোটেলে রাখে আর শহর দেখানোর দায়িত্ব দেয়। কপাল এমনই যে গাইড ডুব মারে- আর ব্যাপারটা ঢাকা দিতে আমায় ট্যুর অপারেটর কাম গাইড করে বাসে তুলে দেওয়া হয়। চাকরি বাঁচাতে মরিয়া হয়ে আমি কাজটা ভালোভাবে উৎরে দিই-এতটাই যে যাদের নিয়ে গিয়েছিলাম, তারা চাঁদা তুলে আমায় পাঁচশো টাকা বকশিস দেয় আর হোটেলের কমেন্ট বুকে আমার ভূয়সী প্রশংসা করে। 

আমি তাতেও রাজি হচ্ছি না দেখে বস বলল নরম ভাবে “চলেই তো যাচ্ছিস! এটাই নাহয় আমায় পার্টিং গিফট দিলি!” হাফিজভাই জানত এই অস্ত্রে আমি কাবু হবই কারণ ওর আর আমার সম্পর্ক ছিল দাদা আর ভাইয়ের মত। অভিজ্ঞ বস জানত বাঙালি সেন্টু খাবেই! অগত্যা রাজী হলাম আর একটা শর্ত দিলাম- আমার সাথে কিংশুককে দেওয়ার জন্যে। কিংশুক আমার সহকর্মী ছিল- বসের আগের কোম্পানিতেও একসঙ্গে কাজ করেছে। সমবয়সী কিংশুকের সাথে আমার জমত ভালো- তাই ভাবলাম বাঁশটাও ভাগ করে নিলে ব্যথাটা কম লাগবে। বস এককথায় রাজী। আমায় জড়িয়ে ধরে বলল “আমায় বাঁচালি!” মনে হল মনে মনে বলল “হাবিজাবি কোথায় যাবি,আমার কাছে আছে সব তালার চাবি”! 

দীঘাতে সপ্তাহান্তে ভিড় থাকে, তাই ভিড় এড়াতে পরের মঙ্গলবার সকাল ছয়টার সময় হোটেলের সামনে থেকে বাস ছাড়ল। বাসে দোভাষী শম্ভু চক্রবর্তী, কোম্পানির জুনিয়র অফিসার প্রৌঢ় লাহিড়ী বাবু, কিংশুক আর আমি বাদে আঠাশজন রাশিয়ান- যাদের মধ্যে একজন ইংরেজি বোঝে আর বলে, একজন বোঝে কিন্তু বলতে পারে না, আর বাকি ছাব্বিশজন বোঝেও না বলেও না। এর অনেকদিন পরে “স্পেশাল ছাব্বিশ’ ছবিটার নাম শুনে চমকে উঠেছিলাম- নীরজ পাণ্ডেও কি ওই সময় দীঘা বেড়াতে গিয়েছিলো নাকি! বাসে জলখাবারের প্যাকেট নিয়ে ওঠা হয়েছিলো- বাস ছাড়তেই সব্বাইকে প্যাকেট দিয়ে দেওয়া হল। সকালের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে বিদ্যাসাগর সেতু পার হয়ে আধা ঘণ্টার মধ্যে বম্বে রোডে পড়তে নিশ্চিন্ত হয়ে বাসে একবার টহল মারতে গিয়ে দেখি সেই সকাল সাড়ে ছটায় শম্ভুবাবু নিট হুইস্কি পান করছেন, কলায় কামড় দিচ্ছেন আর আড্ডা মারছেন রাশিয়ানদের সাথে। বুঝলাম- আঠাশ নয়, উনত্রিশজনকে সামলাতে হবে। 

দীঘা পৌঁছে এক অদ্ভুত গ্যাঁড়াকলের মধ্যে পড়লাম। যে এজেন্সিকে বাস, হোটেল, ইত্যাদির বুকিংএর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা একতলা-দুইতলা-তিনতলা মিলিয়ে রুম দিয়েছে, কিন্তু রাশিয়ানরা বেঁকে বসল ওরা একতলায় থাকবে না। এছাড়া দেখা গেল কিছু রুম ওই দীর্ঘকায় রাশিয়ানদের পক্ষে বেজায় ছোট। যাদের তুলনামূলক ছোট চেহারা তারা স্বচ্ছন্দে সেই ঘরে থাকতে পারে, কিন্তু তাদের ইগো আহত হল আর বিজাতীয় ভাষায় প্রবল কিচিমিচি শুরু হল। ২০০২-এর আগে যারা দীঘা গিয়েছেন, তাঁদের মনে থাকবে, মোবাইল ফোন ওখানে গিয়ে খেলনায় পরিণত হত-কোনও কোম্পানির নেটওয়ার্ক পাওয়া যেত না। রিসেপশন থেকে মরিয়া হয়ে বসকে ফোন করতে বস জিএমের কাছে দৌড়ল আমায় অপেক্ষা করতে বলে। দুই মিনিট বাদে এসে জানাল “জিএম বলছেন তোকে ট্যুর-কন্ডাক্টর করে পাঠানো হয়েছে তোর ওপর ভরসা আছে বলে আর তুই ফিনান্স নাকি ভালো বুঝিস। পরিস্থিতি অনুযায়ী তুই সিদ্ধান্ত নে। এর “কতটা জিএমের কথা আর কতটা বাড় খাওয়ানো সেটা হিসেব করার সময় তখন নেই। কয়েক পা দূরে হোটেল মালিকের আরেকটা হোটেলে কিছু রুমের ব্যবস্থা করে সেইসময়ের মত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেল- ভাগ্যিস সেই সময় এই রাজ্যের পর্যটনশিল্প প্রায় ঘুমন্ত আর দীঘার হোটেলগুলো সারা সপ্তাহ ধরে মাছি মারত তাই বেঁচে গিয়েছিলাম! 

রাশিয়ানরা নিতান্ত ভদ্রলোক- ওদের বায়নাক্কা খুব কম। সেদ্ধ-সবজি, সেদ্ধ-মাংস, বিয়ার-ভদকা। ওরা খুশি মনে হুল্লোড় করতে শুরু করল। দীঘা ছোট শহর, হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপার নেই- তাই নিজেদের মত ঘুরতে শুরু করল। যেখানে যায়, সেখানেই ভিড় জমে যায়। দীঘা তখনও একসঙ্গে এতগুলো অবোধ্য সাহেবকে দেখে নি তাই জনগণও খুশি! কেবল শুধু খুশি নন লাহিড়ী বাবু কারণ তাঁকে রুম শেয়ার করতে হবে শম্ভু চক্রবর্তীর সঙ্গে। রিটায়ার করার কয়েক বছর আগে অফিসার হওয়া এই নিপাট ভালমানুষটার হাবরা-অশোকনগরের দিকে বাড়ি, সরস্বতীপুজো, লক্ষ্মীপুজো, সত্যনারায়ণের পৌরোহিত্য করতেন আর উত্তেজিত হয়ে গেলে বাংলা থেকে অনুবাদ করে অননুকরণীয় এক ইংরেজি বলতেন। সহকর্মী শম্ভুবাবু আবার প্রাক্তন নকশাল।কম্যুনিজমের প্রতি ভালোবাসায় রাশিয়ান শিখেছেন, দীর্ঘদিন সেদেশে থেকেছেন। রাশিয়া থেকে কম্যুনিজম উচ্ছন্নে গেলে তিনি দুঃখে মদ্যপান বাড়িয়ে দেন আর কাস্ত্রো-নেরুদার প্রেমে স্প্যানিশ শেখেন। লাহিড়ীবাবুকে অনেক কষ্টে বোঝানো হল যে শম্ভু চক্কোত্তি রাশিয়ানদের সাথে আড্ডা দিয়ে মদ্যপান করে যখন ফিরবে আর ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ঘরে ঢুকবে, তখন উনি ঘুমিয়ে পড়েছেন তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই,আর তাছাড়া আমরা তো কাছেরই একটা ঘরে থাকব।  এক কর্মব্যস্ত দিন শেষ করে রাতে ঘরে বসে কিংশুক আর আমি আড্ডা দিয়ে হুইস্কি সেবন করে সবে শুয়েছি, রাত দুটোতে ঘরের ইন্টারকমের ফোনে লাহিড়ী বাবুর আর্তনাদ “মিঃ ভটচাজ প্লীজ সেভ মি!” হাউজকিপিংএর সাহায্যে ওঁর ঘরের দরজা খুলে দেখি সামনে- মানে বাথরুমের পাশের করিডোরে উলঙ্গ অবস্থায় শম্ভু চক্কোত্তি অঘোরে নাক ডাকছেন আর খানিক বাদে বাদে “চুলোওও” বলে চেঁচিয়ে উঠছেন। অবশ্য সম্পূর্ণ উলঙ্গ নয়, গায়ে টিশার্ট আছে, লুঙ্গীটা শট মেরে দূরে ফেলে দিয়েছেন। লাহিড়ীবাবুকে আমাদের রুমে নিয়ে এসে বিছানা ছেড়ে দিয়ে বাকি রাতটা সোফায় কাটাই। 

পরের দিন সকালে শম্ভু চক্কোত্তিকে চেপে ধরতে লজ্জিত গলায় বললেন “একটু বেশি নেশা হয়ে গিয়েছিলো তাই লাহিড়ীবাবুর পাশে না শুয়ে ওখানেই শুয়ে পড়েছি”। এত বিবেচক রুমমেট হওয়া স্বত্বেও লাহিড়ী বাবু ওঁর সাথে থাকতে রাজী নন শুনে খুব দুঃখ পেলেন আর একটা মোক্ষম বোম মারলেন “সাহেবরা সমুদ্রে স্নান করবে”। দীঘার হোটেলগুলো যতই ফাঁকা থাকুক সপ্তাহের মাঝের দিনগুলোতে কিছু লোক তো থাকেই, আর তাছাড়া চারদিকে প্রচুর দোকানপাট! এর মধ্যে সাহেবরা জলে নামলে এক ক্যাওটিক পরিস্থিতি হবে- এই নিয়ে যখন ভাবছি, শম্ভু চক্কোত্তি তার সমাধান দিলেন। দীঘার কাছেই শঙ্করপুর সৈকত এক্কেবারে ফাঁকা জায়গা তখন, সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়। মৎস্যবন্দর হওয়ার জন্যে সেখানে সিকিউরিটি নিয়েও ভাবতে হবে না। একবার সরেজমিনে জায়গাটা দেখে শম্ভু চক্কোত্তি’র জয়জয়কার করতে করতে আমরা ফিরে এলাম। 

দুপুর-বিকেল নাগাদ দলবল নিয়ে হাজির হলাম শঙ্করপুরে। সাহেবরা মহা খুশি- সব্বাই মিলে আনন্দে কিচিরমিচির করতে শুরু করল। কয়েকটা নুলিয়া ভাড়া করে ওদের সাথে জুতে দিয়ে কিংশুক আর আমি নিশ্চিন্ত মনে বিয়ার খাচ্ছি বিচের এক কোণে বসে। হঠাৎ হইহই রব উঠলো নুলিয়াদের মধ্যে- তাকিয়ে দেখি ওরা হাত-পা ছুঁড়ে আমাদের ডাকছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি এক সাহেব- (যার সাথে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ডেভিড বুনের অদ্ভুত সাদৃশ্যের জন্যে আড়ালে “বুন” বলে ডাকতাম) সমুদ্র দেখে আহ্লাদে তার লাল হাফপ্যান্ট/কস্টিউম অবধি ত্যাগ করে জন্মদিনের পোশাকে জলের দিকে ছুটে চলেছে। কোনও মতে তাকে আটকানো হল। এবার ইশারায় তাকে প্যান্ট পরতে বলায়, সে অবাক হয়ে ইঙ্গিত করছে কেন! আর ঠিক এই সময়েই শম্ভু চক্কোত্তি হাওয়া।কোনও মতে কখনও চোখ পাকিয়ে, কখনও হাতজোড় করে সাহেবকে প্যান্ট পরানো হল কিন্তু বেশ বোঝা গেল “বুন” খুশি হয় নি এক্কেবারেই। শঙ্কর চক্কোত্তিকে খুঁজতে গিয়ে দেখি পাশের ঝাউবনে গাছের সাথে কী কথা বলছে আর “চুলোওও” বলে মাঝেমাঝে চেঁচাচ্ছে। বাসে ফেরার সময় ভুল করে “বুন”এর সিটে বসে পড়েছিলাম বলে সাহেব আমায় আক্ষরিক অর্থে ছুঁড়ে পেছনের সিটে পাঠিয়েছিল। বুঝেছিলাম রাগ মেটালো। 

গপ্পো বেড়েই চলেছে- এইবার থামা দরকার। কচ্ছের রানে তিতিঘোড়ার গপ্পো তোলা থাকলো আরেকদিনের জন্যে।  

পুঃ অনেকদিন বাদে “চুলোওও” কথাটা মনে পড়ল বলে গুগলে অর্থ খুঁজলাম। রাশিয়ানে পেলাম না, স্প্যানিশে দেখলাম chulo  ‘র মানে বিশেষণে সুন্দর আর বিশেষ্যতে দালাল দুইই হয়। জানি না শম্ভু চক্কোত্তি সেদিন কাকে “চুলোওও” বলছিল, বিশেষণে দীঘাকে না বিশেষ্যতে আমাদের!    

পেশার তাগিদে সার্ভিস সেক্টর বিশেষজ্ঞ, নেশা আর বাঁচার তাগিদে বই পড়া আর আড্ডা দেওয়া। পত্রপত্রিকায় রম্যরচনা থেকে রুপোলি পর্দায় অভিনয়, ধর্মেও আছেন জিরাফেও আছেন তিনি। খেতে ভালোবাসেন বলে কি খাবারের ইতিহাস খুঁড়ে চলেন? পিনাকী ভট্টাচার্য কিন্তু সবচেয়ে ভালোবাসেন ঘুমোতে।

26 Responses

  1. দারুন মজা লাগলো।তুমি এত রসিক,আর লেখার হাত এত মিষ্টি তোমার ,বড্ড ভালো লাগে।তোমার জীবনের অনেক অনেক মজার গল্প শুনতে চাই।অপেক্ষায় থাকলাম।

  2. এতো সাবলীল ভাবে লেখো যে মনে হয় আমিও মুহূর্ত গুলোর সাথে রয়েছি। আমি ভাই তোমার লেখার বেশি রকম ভক্ত। এবার পরের ট্যুর গাইড এর গপ্পো র অপেক্ষায় রইলাম ।

  3. দারুন লাগলো । ঘটনা গুলো যেন একেবারে চোখের সামনে ফুটে উঠছে এইরকম ভাবে লেখা । আর এরকম ছোট ছোট লেখা নয় এবারে একটা পুরোদস্তুর বই ছেপে ফেল । Best seller হবেই হবে !! 4 / 5 .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *