আগুন, বই আর গোলাপ

আগের পর্বের লিংক: []
পরের পর্বের লিংক [৩]

‘বনি স্কট’-এর বোতল আসতে সবারই গেলাসে এক পেগ করে ঢেলে জল মেশানো হল। মন্দিরের দারোয়ান সব গুছিয়ে গাছিয়ে, টাকার হিসেব বুঝিয়ে বাংলার বোতলটা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। যখন খোকন বলল, ‘
– ধনিয়া, তোমারও এটা চলে নাকি?
ধনিয়া আঁতকে উঠল,
– আরে রাম! রাম! ম্যায় তো কভি ভি ইসকো ছুঁয়া তক নেহি। সির্ফ আপকে লিয়ে হি বোটাল খোলকে লা দেতা হুঁ।
খোকন বলল,
– আরে না। বোতলটা যে তুলে নিয়ে যাচ্ছ, ওতে তো অনেকটা মাল। আবারও চমকাল ধনিয়া,
– আরিব্বাস! ই তো আধা ভরা হ্যায়।
এবার মুখ খুলল চন্দন,
– আরে, পানি মনে করে এক ঢোঁক খেয়ে নাও, ধনিয়া। দেখবে মজা হি মজা।
ধনিয়া বেদম লজ্জায় পড়ে ছুট লাগাল বাড়ির ভেতর। রনি ওর গেলাসটা শ্যামলের দিকে বাড়িয়ে বলল,
– পাতলা লাগছে, আর একটু হুইস্কি ঢাল।

রনি গোমস। হিলহিলে লম্বা, ব্যাকব্রাশ করা চুলে রীতিমতো সুপুরুষ। বাঙালি ক্রিশ্চান। কদ্দূর পড়াশোনা জানা হয়নি। তবে কাগজের খবর, লোকাল রাজনীতি, সবেতেই শোনার মতো বক্তব্য রাখে। লোরেটো হাউজের রূপসী কলেজছাত্রী জুলিয়েটকে এলিয়ট রোডের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছিল। সর্বোপরি ওর যে-ব্যাপারটা আমাদের চার ব্রাহ্মণ যুবককে যৎপরোনাস্তি মুগ্ধ করে রাখত, তা হল ওর চাকু ও রিভলভার চালানোর অদ্ভুত ক্ষমতা। কত না পাড়া থেকে ওকে ডেকে নিয়ে অপারেশন চালাত। আর সন্ধে নামলে দু’পাত্তর নিয়ে সেই সব কাহিনি শুনতাম আমরা। রনি যাকে বলত লাফড়া। 

সেদিনকার লাফড়া ছিল বাস্তবিকই লাফড়া। দূর বেপাড়ার এক বাঙালি অঙ্কের টিচারের প্রেম-ভালোবাসা বাঁচাতে রিভলভার খেলিয়ে অবাঙালি ব্যবসায়ীকে কপচানো হল। বাঙালি ছোকরার দোষ, ওর মারোয়াড়ি ছাত্রীর প্রেমে সাড়া দিয়েছিল। অ্যালজেব্রার সূত্র ধরাতে ধরাতে মেয়েটির চোখের ভাষা পড়া শুরু করেছিল। কিন্তু মেয়েটা ক্লাস এইট পাশ করে কমার্স নিল, ওর বাবা সে-মাসের পঁয়ত্রিশ টাকা বেতন হাতে তুলে দিয়ে বললেন,
– বেটি কমার্স লে লি। আপকো আনেকা জরুরত নেহি হোগা সাব। নমস্কার!

Palacial House
মারোয়াড়ি বিজনেসম্যানের বিশাল বাড়ি

ছেলেটির মনে হয়েছিল গালে একটা চড় খেল। পর পর চারদিন বাড়ির সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করল। বারান্দায় একটিবারের জন্যও ছাত্রী শীতলের দর্শন মিলল না। অগত্যা খোঁজ নিল পাড়ার পানের দোকানে। এবং খবর হল শীতলের পাত্র দেখা চলছে। বিয়ের পর পড়বে, না হলে পড়বে না। এরপরও ছেলেটা ওই বাড়ির সামনে পায়চারি করা ছাড়েনি। হঠাৎ একদিন ঢিলে বাঁধা একটুকরো চিঠি পায়ের সামনেটায় এসে পড়ল। খুলে দেখল শীতল লিখেছে ইংরেজিতে:
– বরুণদা, আমায় জোর করে বিয়ে দিচ্ছে ফ্যামিলি। বারান্দায় পর্যন্ত দাঁড়াতে দেয় না কারণ তুমি নাকি রোজ এখানে আসো। তাই চিঠি ছুঁড়ছি। আমাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারো না? অঙ্ক ছাড়া আর কী পারো তাহলে? 
এরপরই বরুণ রায় ছেলেটি শরণাপন্ন হয় রনির। রনি একাই রিভলভার নিয়ে চড়াও হয়েছিল মারোয়াড়ি বিজনেসম্যানের বাড়ি। তর্জনীতে যন্তরটা বার কয়েক ঘুরিয়ে খুব শান্ত গলায় বলেছিল,
– এই বাড়ি থেকে আপনার মেয়ের বারাত শুধু একটা বাড়িতেই যাবে। বৌবাজারের বরুণ রায়ের বাড়ি। ব্যস! মনে রাখবেন আমার নাম রনি গোমস।

এই লাফড়ার পর রনি আর কোথায় কী গিয়েছিল বলেনি। তবে হুইস্কিতে দুটো লম্বা চুমুক দিয়ে বড় একটা শ্বাস ফেলে বলল,
– দ্যাখ, কারও একটা কাজে লাগতে পারলে ভেতরে বেশ একটা আরাম হয়। যেমন আজ হচ্ছে। ছেলেটা খুব ধরেছিল, ‘দাদা, চলো তোমায় একটু বিলিতি খাওয়াই কোথাও।’ বললাম, ‘আগে মেয়েটাকে ঘরে তোলো, তারপর দেখা যাবে।’ তারপর একটা ফালতু ঝামেলায় ফাঁসলাম ডক্টর লেনে। পুরানো কিসসা অর্ডার সাপ্লাই নিয়ে। সেটা সামলে তোদের এখানে।… তা তোমার কী খবর ভটচাজ? অনেকদিন পর দেখছি যে? 

শ্যামল আর চন্দনের স্বর্গত বাবার নাম ছিল শঙ্কর গাঙ্গুলি। তাই ওরা আমায় শঙ্কর নামে ডাকত না, আমার পদবি ভট্টাচার্যকে একটু চলতি ঢঙে ভটচাজ করে ডাকত। আর তা থেকে ওই রামসীতার মন্দিরে আড্ডায় সবার কাছে হয়ে গেছিলাম ভটচাজ। রনিকে বললাম,
– ক্লাস শেষ হতে হতে বেশ দেরি হয়। তারপর বাড়ি ফিরে পড়াশুনোও থাকে। 
এই সময় চন্দনের টিপ্পনী শুরু হল,
– তার ওপর নতুন, নতুন সব গার্লফ্রেন্ড তৈরি হচ্ছে না! তাতেও তো সময় যায়।
আর খোকন যোগ করল,
– তাতে দোষ কী? গার্লফ্রেন্ড ছেড়ে আমাদের মতো মাল-ফ্রেন্ডদের কাছে ভিড়বেই বা কেন? না ভটচাজ, তুমি ঠিক জায়গায় আছো। আমার শুধু দুঃখ তোমাকে নতুন কবিতাগুলো শোনাতে পারছি না। যার জন্য লিখি সেই অলকা তো যা-ই শোনাই আহা! উহু! করে। বুঝতেই পারি না মালটা দাঁড়াল কিনা। তুমি যেমন টুকটাক ধরিয়ে দাও এখানে-ওখানে। তোমার দেওয়া ওই কয়েনিংটা তো দারুণ হয়েছিল, আমি রেখেওছি—‘ধ্বজভঙ্গ সন্ধ্যা’। পড়ি আর হাসি।

রনি গোমস। হিলহিলে লম্বা, ব্যাকব্রাশ করা চুলে রীতিমতো সুপুরুষ। বাঙালি ক্রিশ্চান। কদ্দূর পড়াশোনা জানা হয়নি। তবে কাগজের খবর, লোকাল রাজনীতি, সবেতেই শোনার মতো বক্তব্য রাখে। লোরেটো হাউজের রূপসী কলেজছাত্রী জুলিয়েটকে এলিয়ট রোডের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছিল। সর্বোপরি ওর যে-ব্যাপারটা আমাদের চার ব্রাহ্মণ যুবককে যৎপরোনাস্তি মুগ্ধ করে রাখত, তা হল ওর চাকু ও রিভলভার চালানোর অদ্ভুত ক্ষমতা। 

রনি কিছুক্ষণ ধরে কিছু একটা বলব-বলব করছিল, ‘ধ্বজভঙ্গ সন্ধ্যা’ বলে খোকন কিছুটা হেসে নেওয়ার পর আমার দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলল,
– তুমি কি জানো তোমার গার্লফ্রেন্ড লোরেন সুইন্টন ইন্ডিয়া ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া চলে গেল?
– লোরেল অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে!
আমার এই বলার মধ্যে কোনও হতাশার ভাব ছিল কিনা জানি না, রনি কিন্তু তেমনই কিছু শুনল যেন ওই কথায়,
– আরে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মেয়ে। তার ওপর সুন্দরী, ভাল নাচে, ফ্লোর শো-এ নামও কিনেছে। ওদের ভবিষ্যৎ তো ইংল্যান্ড নয় অস্ট্রেলিয়া। 
তখন বহুক্ষণ পর মুখ খুলল শ্যামল,
– ওরে ছাড় ইউকে, অস্ট্রেলিয়া! কলকাতায় যে খাতির ওরা পেত তা জন্মেও পাবে না ওসব জায়গায়। এখানে তো ওরাই সাহেব-মেম। সাহেবরা কেটে পড়তে ওরাই পেত সাহেবের খাতির। কেন? না, ওরা সারাক্ষণ ক্যাট ক্যাট করে ইংলিশ মারাচ্ছে। আর কী ইংলিশ তা ভটচাজই ভাল বলতে পারবে। ছাদের চিলেকোঠার পড়ার ঘর থেকে ‘হাই লোরেন! হাই লোরেন!’ করে কত ইংলিশ কেত্তন ছেলের! পাড়ার বাঙালি খুকিদের তো চোখেই পড়ত না। কী ভটচাজ বল্ কিছু!

কী বলব আমি? আমার চোখের সামনে তখন এক অন্য সময়, অন্য জগৎ স্লো মোশনে ঘুরছে। আমি সন্ধেবেলায় চিলেকোঠায় বসে পড়ছি একটা বাংলা কবিতা, হয়তো পঁচিশবারের মতন। তাতে মুখস্থই হয়ে গেছে সেটা। এও বুঝছি আমার দশ বছর বয়েসের পক্ষে একটু বেশি পরিণত কবিতা, কিন্তু আমাকে কেমন যেন হাতে নিয়ে নিচ্ছে। তাও পড়ছি একটা সিনেমা পত্রিকায়। যদ্দূর মনে পড়ে পত্রিকার নামী কলাম লেখক শচীন ভৌমিকের লেখায়। যখন পিছনের অ্যাংলো বাড়ি থেকে ভেসে এল রেডিওগ্র্যামের মিউজিক, একটা অপূর্ব ওয়ালৎজ পিস। ‘ব্লু ড্যানিউব’ হয়তো বা। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘরের পিছন দিকের জানলা হাট করে খুলে বসলাম লোরেন সুইন্টনের নাচ দেখব বলে। মেয়েটা নাচলেই আমাকে ওদের ওই লিভিং রুম থেকে হাঁক দেয়, ‘‘শাঙ্কার, কাম টু দ্য উইন্ডো, আই’ম ডান্সিং!’’  

আমি তক্ষুনি জানলা খুলে বসি, মেয়েটার ওয়ান ম্যান অডিয়েন্স। সেদিন ও ডাকেনি, তবে নিজেই আমি একক দর্শক হয়ে উদিত হয়ে দেখি লোরেন সন্ধের স্নান সেরে একটা মস্ত টার্কিশ টাওয়েলে শরীর জড়িয়ে আপন মনে, চোখ বুজে নেচে চলেছে ওয়ালৎজের রিদমে। আমি জানলা খুলে বসতে ও টের পেল ওর অডিয়েন্স হাজির। লোরেন আমার মেজদির সঙ্গে লোরেটোয় পড়ে। দিদির কাছেই জেনেছি, ওর লেখাপড়ায় ইন্টারেস্ট নেই, ওর অ্যাম্বিশন ক্যাবারে আর্টিস্ট হওয়ার। ওর মা ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ‘ইজায়াস’ বার-এ গান গায়। গান শেষ হলে মদে চুর হয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে। তখন বারের কাস্টমার জাহাজি নাবিক ছোকরারা ওঁকে কাঁধে নিয়ে হল্লা করে গান গাইতে গাইতে পৌঁছে দিয়ে যায় বাড়িতে। মেয়ের লক্ষ্য কিন্তু আরও বড়, বিচিত্র এক মঞ্চ। দেশের সেরা হোটেলের সেরা ফ্লোরে সেরা ক্যাবারে আর্টিস্ট। তারই প্রস্তুতি ওর দিনের পর দিন গ্র্যাম চালিয়ে রেকর্ডের মিউজিকের সঙ্গে স্টেপিং আর মুভমেন্ট প্র্যাকটিস করে।

Dancing Girl
লোরেন সন্ধের স্নান সেরে টার্কিশ টাওয়েলে শরীর জড়িয়ে আপন মনে নেচে চলেছে

আজ তেমনই প্র্যাকটিস ‘ব্লু ড্যানিউব’-এর সঙ্গে। চোখ বুজে মস্ত স্নানের তোয়ালেতে শরীরটা মুড়ে যেন কোনও অদৃশ্য পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে নেচে যাচ্ছে। কতক্ষণ? খেয়াল নেই আমার। হঠাৎ! হঠাৎ এ কী দেখছি আমি? লোরেনের গা থেকে তোয়ালেটা খসে পড়ে ও সম্পূর্ণ নগ্নিকা। ও তোয়ালে গায়ে তুলে নিচ্ছে না, সেই সাগর থেকে ভেসে ওঠা নগ্নিকা ভেনাসের মতো হয়ে উঠছে ক্রমশ। আর আমি জীবনে প্রথম আবরণহীন নারীর পূর্ণ, মুক্ত সৌন্দর্য দেখছি। কতক্ষণ? তাও জানি না। আমি শুধু দেখছি …। এক সময় কীরকম এক অস্বস্তি ভর করল। আমি জানলা খোলা রেখেই দৌড়ে ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এসেছি। এবং পড়বি তো পড় সটান কাকার সামনে। দু’বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর আমাদের পরিবারের অভিভাবক। আমাকে ওরকম একটা অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে খুব স্নেহের সঙ্গে জিজ্ঞেস করলেন,
– এরকম হাঁপাচ্ছ কেন, সাহেব? কী হয়েছে?
কী করে বলি কাকাকে সত্যিই কী হয়েছে? তবে আর একটা সত্যিও তো আছে সেদিনের। বারবার পড়ে মুখস্থ করে ফেলা কবিতাটা। সেও তো গায়ে কম কাঁটা দেওয়া ব্যাপার নয়। বললাম,
– কাকা, একটা বাংলা কবিতা পড়েছি।
কাকা জানতে চাইলেন কী কবিতা। বললাম, ‘‘বনলতা সেন।’’ কাকা হেসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। বললেন, ‘‘সাহেব, তুমি বড় হয়ে গেছ।’’ তাও তো কাকা জানেন না আমার সন্ধেবেলার বড় হওয়াটা!

এই ইতিহাসগুলোই মনের মধ্যে ঘুরছিল, যখন শ্যামলের কথাগুলো কানের ওপর আছড়ে পড়ল,
– আজ কী হলটা তোর বল্ তো ভটচাজ? তখন থেকে এক পেগও টানতে পারলি না। পিরিতের মেয়ে ফুটেছে বুঝি?
বলতে পারলাম না লোরেন সুইন্টন দেশ ছাড়তে আমার স্মৃতির জীবনেরও একটা পর্ব শেষ হয়ে গেল। ওদের মন রাখতে তাড়াহুড়ো করে আরও দুটো পেগ শেষ করে উঠে পড়লাম। সবাই-ই উঠে পড়ল। আমার বাড়ি ফেরার হাঁটাটা অনেকটা ওড়ার মতোই হয়ে পড়ল। আস্তেই তো পা ফেলছি, কিন্তু কীরকম দ্রুত লয়ে পড়ছে। বাংলা-ইংলিশ সব পানীয় মিশে এক অদ্ভুত বাতাস বইছে মগজের ভেতর। মনে আসছে ক’দিন আগে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অম্লান দত্তের বিদেশিনী স্ত্রী কিটি দত্তের পড়ানো জন ডান-এর কবিতা। যেটা ডান-এর আরও কিছু কবিতার মতো মাথায় ঘোরে কলেজের দিন থেকে। কিটি দত্ত একটা খুব সুন্দর কথা বলেছিলেন সেদিন,
– জন ডান বহুদিন আগের কবি, তবে বড্ড আধুনিক, যেন আজকের।
বলেই পড়েছিলেন ওঁর ‘The Dream’ কবিতাটা। যা এখন আমার মনের ভেতর ভাসছে …

“Dear love, for nothing
Less than thee
Would I have broke this
happy dream;
It was a theme
For reason, much too
Strong for fantasy.’’       (চলবে)          

 

*ছবি সৌজন্য: medium.com, alibaba

Sankarlal Bhattacharya Author

শংকরলাল ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট, কলকাতায়। ইংরেজি সাহিত্যে স্বর্ণপদক পাওয়া ছাত্র শংকরলাল সাংবাদিকতার পাঠ নিতে যান প্যারিসে। তৎপরে কালি-কলমের জীবনে প্রবেশ। সাংবাদিকতা করেছেন আনন্দবাজার গোষ্ঠীতে। লিখেছেন একশো ত্রিশের ওপর বই। গল্প উপন্যাস ছাড়াও রবিশংকরের আত্মজীবনী 'রাগ অনুরাগ', বিলায়েৎ খানের স্মৃতিকথা 'কোমল গান্ধার', হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিমালা 'আমার গানের স্বরলিপি'-র সহলেখক। অনুবাদ করেছেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা থেকে সত্যজিৎ রায়ের চিত্রনাট্য পর্যন্ত।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *