টিউলিপের বাগানে ছুটে ছুটে প্রেম করে বেড়াচ্ছেন অমিতাভ-রেখা! কিম্বা তুষারশুভ্র স্যুইস আল্পসে আশমানি নীল শাড়ির আঁচলে ঢেউ তুলছেন শ্রীদেবী! আবার কখনও চলন্ত ট্রেনের দরজা থেকে হাত বাড়িয়ে ঝুঁকে পড়ছেন কিং খান আর চশমা চোখে শ্যামলা মেয়েটি প্ল্যাটফর্মের উপর দিয়ে ছুটছে সেই হাতে হাত রাখবে বলে। এসব কি নিছক সিনেমা? মোটেই নয়! একে বলা যায় যুগসন্ধিক্ষণের এক একখানি প্রতীক! ছবির নাম বলবারও দরকার হয় না। বর্ণনা শোনামাত্র চোখে ভেসে ওঠে দৃশ্য আর একটি অতি পরিচিত শব্দবন্ধ – যশ রাজ ফিল্মস। যশ চোপড়া প্রতিষ্ঠিত এই ফিল্ম কোম্পানির মুকুটে পালক গুনে শেষ করে, এমন লোক ভূভারতে বিরল।
এহেন যশ রাজ ফিল্মসের নামে কিনা প্রতারণার অভিযোগ? তাও আবার একশো কোটি টাকার? সম্প্রতি সেই অকল্পনীয় ঘটনাটিই ঘটিয়েছে মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW)। যশ রাজ ফিল্মসের বিরুদ্ধে একশো কোটি টাকা প্রতারণার মামলা রুজু করেছে তারা। অভিযোগকারী সংস্থার নাম দ্য ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইটস সোসাইটি (IPRS), যার সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বহু বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, কবি এবং প্রযোজক। অভিযোগে নাম রয়েছে খোদ যশ রাজের কর্ণধার আদিত্য চোপড়া এবং তাঁর ভাই উদয় চোপড়ার।
কী বলা হয়েছে সেই অভিযোগে? বলা হয়েছে, একাধিক শিল্পীকে ভুয়ো চুক্তিপত্রে সই করিয়ে তাঁদের প্রাপ্য রয়্যালটি থেকে বঞ্চিত করছে যশ রাজ ফিল্মস। কোনও প্রযোজক সংস্থা কখনওই এই ভাবে শিল্পীদের বকলমে রয়্যালটির টাকা নিজের কোষাগারে ঢোকাতে পারে না। কারণ সেই টাকায় অধিকার একমাত্র আইপিআরএস-এর। মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার এক আধকারিক জানান, “প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে যশ রাজ ফিল্মসের আধিকারিকদের জেরা করা হতে পারে। অন্য কোনও প্রযোজক সংস্থা এ ধরনের কোনও টাকা লেনদেনে যুক্ত আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।“
লিখতে শিখেই লুক থ্রু! লিখতে লিখতেই বড় হওয়া। লিখতে লিখতেই বুড়ো। গান ভালবেসে গান আর ত্বকের যত্ন মোটে নিতে পারেন না। আলুভাতে আর ডেভিলড ক্র্যাব বাঁচার রসদ। বাংলা বই, বাংলা গান আর মিঠাপাত্তি পান ছাড়া জীবন আলুনিসম বোধ হয়। ঝর্ণাকলম, ফ্রিজ ম্যাগনেট আর বেডস্যুইচ – এ তিনের লোভ ভয়ঙ্কর!!