বিনয় মজুমদার 

বাঙলা কবিতায় পুরস্কারের কথা যতবার উঠে
ততবারই আমি দেখি বিনয় মজুমদার
বয়সের ভারে নুয়ে পড়া দেহ তবুও চলছেন
চায়ের দোকানে কিংবা রেললাইনের ওপার
পুরস্কার তার দিকে হেঁটে আসছে, আর ক্যামেরা
চব্বিশ পরগনার ধর্মনগরে, কবিতার যিশু
যদি হাত ছুঁয়ে ধন্য করেন পুরস্কার প্রথাকে;

ছানি পড়া চোখ, টিমটিমে আলোর পৃথিবী,
কবি শুধু বললেন একটি কথা –
কবিতা আরও অনেক অনেক লেখা দরকার

অলোকরঞ্জন

আমি যারে ঈর্ষা করি তার নাম অলোকরঞ্জন
তিনি বুদ্ধপূর্ণিমার রাতে বেরিয়ে পড়েন
আর নিরীশ্বর পৃথিবীতে কাব্যি করেন। 
তিনি একাধারে প্রেমিক এবং পাখির ভাষা অনুবাদক
রক্ষিতার চরণমূলে রেখে বেড়ান গঙ্গাজল।

আমি তারে ঈর্ষা করি বিবিধ ঋতুর চক্রে
দিনান্তের সত্যি মতো সান্ধ্যপ্রদীপ যখন জ্বলে 
একার পৃথিবীতে যদি শোনাতে যাই কবিতাকীর্তন
দেখি আমার গলা ছিঁড়ে আসছে পাপে অনুতাপে।
আর তিনি দুঃখ পোশাক ছুঁড়ে ফেলে উদাস কণ্ঠে
এক পৃথিবীতে স্তব্ধতা নামিয়ে বেড়ান।

আমি যারে ঈর্ষা করি তার নাম অলোকরঞ্জন
কবিতার অধিক যিনি বাজান বাঁশি, খুঁজে বেড়ান হ্যামিলন

 

দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম। জন্ম, বেড়ে ওঠা তিতাস পাড়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কর্মসূত্রে ঢাকায় বাস, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সামাজিক ব্লগে লেখার থেকে শুরু করে পরবর্তীতে লিটলম্যাগ হয়ে এখন অবধি কবিতার বই দুটি। ২০১৯ তে 'সমুদ্রের ব্যাকরণ' প্রকাশ করেছে ঢাকার 'বোধি'। ২০২০ তে 'বিস্ময়, তুমি বৃষ্টিফুল' প্রকাশিত হয়েছে কলকাতার 'একলব্য' থেকে।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *