পরীক্ষা শেষ। ছুটি পড়তে চলল। সবাই বেড়াতে যাবে। সবাই মজা করবে। আর আমি বাড়িতে বসে বসে ছুটির কাজ করব। উফ! আর ভাল লাগে না। স্কুল থেকে দিয়ে দিল চার পাতা হলিডে হোমওয়ার্ক। তাও আবার দু সপ্তাহের ছুটির জন্য। এর চেয়ে ভাল স্কুলে চলে যাওয়া।
বেড়াতে অবশ্য যাব ঠিকই। কিন্তু তারপর যদি কাজ শেষ না হয়? উরিব্বাবা! আন্টি বলবেন, “হোয়াই হ্যাভ ইউ নট ডান ইওর হোমওয়ার্ক?” খুব ভয় আছে জীবনে। একদিন না একদিন তো হোমওয়ার্ক শেষ হবেই। আর সেদিন আমি নাচব। কিন্তু বেশি নাচলে মা বলবে “নেচো না। সামনে পরীক্ষা।” মা, আমি জানি সামনে পরীক্ষা। কেন রোজ মনে করাও। শুনলেই মনে হয় সুখের দিন শেষ। শেষ পর্যন্ত স্কুল আর পড়াশোনা জীবনে দৈত্যদানব হয়ে দাঁড়াল!আর বাবা? তিনি বলবেন “পাশ ফেল তোমার নিজের ব্যাপার।কিন্তু ভাল করার চেষ্টা করতে না দেখলে আমার ভাল লাগবে না।” শুনলেই গা ছমছম করে!
ছুটি না ছাই! মনেই হচ্ছে না বেড়াতে যাব। পড়তে বসব? নাকি বসে বসে ভয় পাব?
যাই হোক, ভেবে নিয়েছি। পরের জন্মে পাথর হয়েই জন্মাব। হোমওয়ার্ক তো করতে হবে না। কি মজা!

সাউথপয়েন্ট স্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্রী। গান গাইতে আর বিটিএস ব্যান্ডের গান শুনতে দারুন ভালবাসে। বড় হয়ে গায়ক হতে চায়।

7 Responses

  1. বৃতি,
    বাবা মা ছোটবেলায় সব হোমওয়ার্ক করতো কিনা জিজ্ঞেস করো তো! ওদের সব বড়ো হওয়ার দোষে পেয়েছে! তুমি ওদের মতো হয়ো না মা! শুধু এমন সুন্দর সুন্দর লেখা লিখো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *