এলোমেলো বেড়ানো: ১১

salt village Ningel

দেশিয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নুন সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু শুভ বিশ্বাস। বিশেষত মণিপুরে এখনও মেয়েদের গর্ভাবস্থায় ও সন্তান প্রসবের পর শরীর সুস্থ রাখতে এবং পুষ্টির জন্য নিঙ্গেলের নুন খাওয়ানো হয়। এই নুন ধন্বন্তরির মতো কাজ করে বলে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস।

সমুদ্র নেই, খাঁড়ি নেই, নেই নোনা হ্রদও, তাও নুনের গ্রাম নিঙ্গেল, ঘুরে এসে লিখলেন অমিতাভ রায়

স্বপ্নের গ্রাম: খোয়াব গাঁ

Travel Khoyab Gaon

ছেলেমেয়েরা আমাদের নিয়ে বিভিন্ন দেওয়ালের আঁকা ছবি দেখাতে লাগল। তাদের কে কোনটা এসেছে তাও কলকল করে বলতে লাগল। বড় ভালো লাগল এদের সংসর্গ। আর কী সুন্দর সব ছবি! হনুমান গাছের ডালে ঝুলছে, হাঁস-মুরগির ছবি, টিকিওয়ালা বামুন লাঠি ভর করে হেঁটে যাচ্ছেন, লাউ মাচানের নীচ দিয়ে গিয়ে দেখলাম লাল কাপড় নিয়ে মানুষ আর ষাঁড়ের লড়াইয়ের ছবি, কোথাও করোনা সচেতনতার ছবি…

ঘরের কাছে আরশিনগর ‘খোয়াব গাঁ’, ঘুরে এসে লিখলেন শিখা সেনগুপ্ত

এলোমেলো বেড়ানো: ১০

Kakanmath Temple

বিশাল মন্দিরটি পাথরের তৈরি ২০ ফুট উচ্চতার একটি বর্গাকার ভিত্তির উপর নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটির বিশেষত্ব হল এটি পাথরের ওপর পাথর বসিয়ে নিছক ভারসাম্য বজায় রেখে তৈরি। সিমেন্ট বালির মিশ্রণ তো প্রশ্নই ওঠে না, এমনকি সাবেক কালের ইমারতি মশলা চুন-শাঁখের গুঁড়ো ইত্যাদিও অনুপস্থিত। পেরেক-স্ক্রু-রিভেটেরও বালাই নেই। দুটো পাথর জোড়া লাগাতে আঠা জাতীয় কোনও উপাদানও ব্যবহার করা হয়নি। এক টুকরো পাথরের উপর আরেক খণ্ড পাথর সাজিয়েই গড়ে তোলা হয়েছিল এত বিশাল স্থাপত্য। দেখে মনে হবে একটা ধাক্কা দিলেই পাথরগুলো হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাবে।

কাকনমঠের রহস্যময় মন্দির নিয়ে এবারের পর্ব, লিখলেন অমিতাভ রায়

স্বর্ণলঙ্কা: অন্তিম পর্ব

Swarnalanka 13 Sreyashi Lahiri

সকালে দেওয়াল জুড়ে থাকা জানালাটার পর্দা সরাতেই মনে হল, সিনেমার স্ক্রিনের পর্দা উঠে গেল। অর্ধচন্দ্রাকৃতি সোনালি বালুকাবেলায় নীল জলরাশির রোম্যান্টিক মুগ্ধতা। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখি পর্যটকরা দলে দলে বোটে চেপে রওনা দিচ্ছে স্নরকেলিং আর স্কুবাডাইভিং-এর উদ্দেশ্যে। ইচ্ছে হল সুনীল সাগরে ডুব দিতে। কোনও অ্যাডভেঞ্চার নয়, শুধুই গা ভেজানো…

শ্রীলঙ্কার চেনা-অচেনা প্রান্ত ঘুরে এসে লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী, অন্তিম পর্ব।

মোহময় মলডিভস

Travel story Maldives

প্রথমে আলাপ হল রাগী মুখের ট্রিগার ফিশ-এর সঙ্গে, একটা ফুলকপি কোরালের সাথে সে লুকোচুরি খেলছিল। তারপর, একে একে ড্যামসেল  ফিশ, ওরিয়েন্টাল সুইটলিপ, ব্লু স্ন্যাপার— এদের সঙ্গে দেখা। যাওয়ার আগে অবশ্য ছবিতে এদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল স্রেফ, সামনে থেকে দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি! সারাদিন জলে কাটিয়ে সূর্য্য যখন ফেরার তোড়জোড় করছে, আমরা বালি পথ ধরে হাঁটা দিলাম স্যান্ড ব্যাংকের দিকে, যেখানে দু দিক থেকে সমুদ্র মিশে গেছে বালির বুকে আর সূর্য্য তাদের সঙ্গতে মেতেছে রঙের খেলায়…

মালদ্বীপ ঘুরে এসে লিখলেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়

স্বর্ণলঙ্কা: পর্ব ১২— এল্লা, টাঙ্গাল্লা বিচ

Swarnalanka 12 Sreyashi Lahiri

বাঁকা নারকেল গাছের সারি যেন সমুদ্রের বুকে হেলে পড়েছে। একটু দূরে সাগরের বুকে জেগে আছে ছোট্ট পাথুরে দ্বীপ। সেখানে পৌঁছে যাওয়ার জন্য প্রকৃতি তৈরি করেছে পাথরের পথ। দুপাশ থেকে জল এসে সে পথ ডুবিয়ে দিচ্ছে মাঝে মাঝে। আবার জল সরে গেলে পর্যটকরা সেই পাথুরে পথ ধরে পৌঁছে যাচ্ছে  দ্বীপে। সমুদ্রের জল  দ্বীপের গায়ে আছড়ে পড়ে উপর দিকে অনেক দূর পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার চেনা-অচেনা প্রান্ত ঘুরে এসে লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী

এলোমেলো বেড়ানো: ৮

Amitabha Roy Gujarat Dang

ডাং-এর পাঁচজন রাজা বর্তমানে ভারতের একমাত্র বংশানুক্রমিক শাসক। ব্রিটিশ আমলে ডাং-এর পাঁচ জনজাতি রাজা এবং ব্রিটিশ রাজের মধ্যে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়েছিল। ডাং-এর ইতিহাস অনুসারে, ‘লস্করিয়া আম্বা’-তে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ হয়। পাঁচটি রাজ্যের রাজারা ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে ডাং-কে রক্ষা করার জন্য একত্রিত হয়ে ১৮৪১-এ লড়াই করেন। যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর ব্রিটিশ বাহিনী একটি আপস করতে রাজি হয়।

গুজরাটের ডাং ঘুরে লিখলেন অমিতাভ রায়

পদব্রজে নেপাল: পর্ব ২

Bishakha Ghosh Nepal-tour-part2

নেপালের বাড়িগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হল প্রত্যেকটা ঘরে একটা ছোট জানলা থাকে যেটা বন্ধ করার কোনও ব্যবস্থা নেই, সে যত ঠান্ডাই পড়ুক! ঠান্ডা হাওয়ায় আমাদের দন্ত্যবাদ্য শুরু হল।  যতক্ষণ সম্ভব রান্নাঘরে বসে রইলাম দুজনে। রাতে সোয়েটার চাদর কম্বল কিছুতেই আর ঠান্ডা কমে না। জুতোগুলো যাতে সকালে পরতে পারি, তারা জমে শক্ত না হয়ে যায়, তার জন্য বিছানায় কম্বলের মধ্যেই জুতোগুলো রাখা হল।
…’পদব্রজে নেপাল’ ভ্রমণ নিয়ে লিখলেন বিশাখা ঘোষ