তুচ্ছ
দূরের আকাশ থেকে
মেঘেরা ইশারা করে,
আমার ভূমিকা কত ক্ষীণ!
ওষুধের গন্ধ মেখে, চুপচাপ বসে শুধু
যখন এই দৃশ্য চোখে পড়ে–
শ্বাসকষ্ট বুকে নিয়ে,
একা একটা জবুথবু ভূত
সূর্য গোটা মুখে পুরে
কী উপায়ে শুরু করছে দিন…
কুসংস্কার
অন্ধকার ঘরে তুমি, শাড়ি-শায়া খুলে দিচ্ছ
পঁচানব্বই সাল…
চোখ বুজলে দেখতে পাই,
তোমার স্বামীর পেটে ভাত
এঁটো লিঙ্গ থেকে ওই ঝরে পড়া
বীর্যের হুকুমে
তুমি দেখেছিলে এই মুখ
এঁটোর ভুবনেই তো মা গো,
জন্ম হল সেই কোন কালে!
প্রিয়জন সরে যাচ্ছে কাছ থেকে
এরকম এক-একটা দিনে
তবে কেন বার বার জলের আশ্রয়ে যাও?
কেন রেগে ওঠো, কাঁদো?
ভাতের থালা ধরা হাতে, এটা-ওটা ছুঁয়ে ফেলি
যদি!
জন্ম ১লা জুলাই, ১৯৯৬। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে স্নাতোকত্তর পড়ছেন। নেশা আড্ডা মারা, রাস্তায় এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো আর লিটল ম্যাগাজিন ঘাঁটা। 'দশমিক' নামে একটা ছোট কাগজ সমপাদনা করেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'খইয়ের ভিতরে ওড়ে শোক'।
অসাধারণ