অস্থায়ী
বাড়ি তো মাথার মধ্যে থাকে
অভাবে বা পরাভবে কী দিয়ে যে
নিজেকে সাজাই
কোথাও বকুল ফুল ফুটেছে কি ম্লান
বনমধ্যে হাত পেতে আষাঢ়ের
হা হুতাশ রাতে
হৃদয়ে লালিত ছিল স্বপ্নবৎ ধানজমি, জলা,
হঠাৎ বাতাস দিলে খসে পড়া
মধু কুলকুলি
অতিদূরে কবেই তো, সুঁটি নদী হেজে মজে গেছে
এখন দুহাত জুড়ে ঈশ্বরীর পায়ে
অঞ্জলিতে দিয়ে দিই যেটুকু যা
ফুলের অহং
অনন্তরা
অতঃপর ফিরে যাব
ফিরে ফিরে চলে যাব যেখানে যাবার কথা
ছিল নাকো আর
তবে কি কাহিনি ছিল
গল্পের সুতোগুলি এতকাল যত্নে শুকিয়ে
মধ্যেকার গ্রন্থি তবু এড়াতে পারেনি সেই
কথক স্বয়ং
জটাপড়া চুল বেয়ে পুবের বারান্দা থেকে
নেমে আসে মেঘের নিষাদ
শুদ্ধ কোমলে আর দ্বিধা দ্বন্দ্বে গৃহহীন
বুকে যদি পুষে রাখতে হয়
দ্বেষ কেন, ঘৃণা কেন
মাটি থেকে, মূল থেকে, এত যে
সুঘ্রাণ উঠে আসে
*ছবি সৌজন্য: Pexels
অবন্তিকা পাল। জন্ম ১৭ জুন ১৯৮৬, হাওড়া। কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জে.বি.রায়. স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক। স্নাতকোত্তর স্তরে মনস্তত্ত্বের পাঠ দ্বিতীয় বর্ষে অসমাপ্ত থেকে গেছে। তবে লেখার পরিসরে সমাজবিজ্ঞান ও মানবাধিকার চর্চা অব্যাহত। কবিতার সঙ্গে নৈকট্য আশৈশব। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ২০১৩-তে। ২০১৭-এ প্রথম প্রবন্ধের বই। প্রথম সারির বাংলা দৈনিক, একাধিক জনপ্রিয় পত্রিকা ও ওয়েবম্যাগাজিনে তাঁর নিবন্ধ প্রকাশিত হয় নিয়মিতভাবে। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময়ে কবি ফৈজ আহমেদ ফৈজ-এর সর্বজনবিদিত 'হম দেখেঙ্গে' (দেখে নেবো আমরাই) কবিতাটির বাংলা অনুবাদ করে অবন্তিকা জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমেও জায়গা করে নিয়েছেন।

One Response
ভালো লিখেছেন