মানুষ কোথায় অপেক্ষা করে আছে জানতে চলো যাই স্বপ্নের ভাঁজের কাছে। অনিচ্ছুক ঊরুর পাশে সারারাত যে সিগারেট ব্রুটাল। মাংসের জামার বাইরে পোড়া চামড়া। ভিতরে শ্যাওলা, স্যাঁতসেঁতে পথ, ঠাণ্ডা। পাঁচ মিনিট ভেতরে হাঁটলে চোয়াড়ে মাটির ওপর তেরছা দেওয়াল ঘর, জীবন এখানে সোজা হয় কবে?

তবুও অবিরল আরও মাংসের জন্ম হয়। এখানে এসেছ যদি, একজন ডোমের সঙ্গে বন্ধুতা থাক। যে পৃথিবী ভুলে গেছে এই ঘর, তাতে নতুন কাগজ লেখা হল। এল নতুন ফাইল। কার যোগ্যতা ডানা পাবে নতুন পলিসিতে? কার ডানা খসে যাবে? কার চোখ ঢেকে দেবে আপত্তিপ্রতীক মাছি? হাতে পাথর ওঠার দিনে দিশাহারা জীবন ডোবে কালো জলে।

পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ ভুখা পেটের সমান্তরালে এমন কিছু প্রশ্ন। যেখানে ফুটতে থাকে গ্যাংস্টার, ড্রাগলর্ড। জাগে তাদের বর্বর ছায়া। কাদাজলে দেখা যায় এক অন্য ঘূর্ণিচরাচর।  

বাকিরা ঘুমোয় নির্বোধ স্বপ্নের ভেতর, যাদের আগামী সাঁতার শিখছে সম্ভ্রান্ত সবুজ গহ্বরে।

*ছবি সৌজন্য: Pixabay

সঞ্চালিকা পেশায় সিনিয়র এপিডেমিওলজিস্ট। সিঙ্গাপুরের ট্যান টক সেঙ হাসপাতালে কর্মরত। ছোটবেলা কেটেছে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে। কিছু বছর যাবৎ কবিতাপ্রয়াসী। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *