ধুলো ওড়ার বসন্তে কলকাতা,
ভিড়ের মাঝে অনন্ত হাতছানি
সে আমাকে নাও বা যদি চেনে
আমি তাহার পদ্য কিছু জানি।

পদ্য চেনা, স্পর্শ, হৃদয়, সেতু।
তার চে’ বেশি মুখ চেনা নেই। কথা?
কথার মাঝে কথার কথা বেশি,
ছড়ায় সেও বেভুল যথা তথা!

এক দশকের তফাতে তোর লেখা
নাম ধরেছিস সবুজ পদ্য দেখে?
দিদি বলতে কীসের এত দ্বিধা!
মন মজেছে শব্দবুটি চেখে।

আসলে ডাক পাল্টায় না কিছু,
সোজাসাপটা বিষয় হল – ছোঁয়া।
সন্ধে নামে – লিটল ম্যাগের টেবিল –
চায়ের কাপে ঘনায় কথার ধোঁয়া।

ধুলো ওড়ার বসন্তে বইমেলা,
ভিড়ের মাঝে অনন্ত হাতছানি
আমার তোকে অত্ত পড়া নেই
তুই আমার পদ্য কিছু জানিস।

মেয়েটি কথামালা, ছেলেটি হিসাবের অংকে খাতা খুলে নিমগ্ন,
নতুন ছাপা নিয়ে প্রেসের ছেলেটির বাঁধনে বাঁধনে কী যত্ন।

ওদিকে জটলারা ক্ষণেকে বদলায় – কে আসে কে বা যায় অজান্তে,
পলাশপরবে কি এবারে পুরুলিয়া? প্ল্যানেরা থেকে যায় জনান্তে।

তুমি কি একা পড়ে? বন্ধু নেই কেউ – একাকী ফিরিছ এ কন্দরে…
আমাকে চেনো তুমি, তোমাকে চেনে কেউ – শব্দ পারাপার মন করে।

মাইকে ক্ষণে ক্ষণে নিরুদ্দেশ বলে ভাসিছে নাম কার হাওয়ায় ভর,
সন্ধে হলে দেখা দেবে যে জনা চার –  অন্যদের সাথে অতঃপর।

আজকে পাটভাঙা বইয়ের কাঁচা রঙ, লেখাও কালি ওঠা সামান্য –
মেয়েটি কথামালা, সঙ্গে হিসাবীয়া, ওদের আজ বুঝি নবান্ন।

ছবি সৌজন্য: Wikimedia Commons

সঙ্গীতজ্ঞ মানস চক্রবর্তীর সুযোগ্যা কন্যা শ্রীদর্শিনী উত্তর ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন এক্কেবারে শিশুবয়স থেকে। সঙ্গীত তাঁর শিরা-ধমনীতে। টাইমস মিউজিক থেকে বেরিয়েছে গানের সিডিও। মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান আইডল অ্যাকাডেমিতে মেন্টরের ভূমিকা পালন করেন শ্রীদর্শিনী। লেখালিখিও তাঁর পছন্দের বিষয়।তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'শীতের অব্যর্থ ডুয়ার্স', 'এসো বৃষ্টি এসো নুন', 'রাজা সাজা হল না যাদের' এবং 'জ্বর-জ্বর ইচ্ছেগুলো' পাঠকমহলে সমাদৃত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *