মাথার উপরে নদী। তার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো। দেশের মধ্যে সর্ব প্রথম এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে কলকাতায়। বৃহস্পতিবার টুইট করে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূশ গোয়েল। যদিও রেলমন্ত্রকের একাংশের প্রশ্ন, এই প্রকল্প তো দীর্ঘ দিনের! কবে কাজ শেষ হবে, তা-ও নিশ্চিত নয়। তা হলে রেলমন্ত্রীর এমন আচমকা ঘোষণার কারণ কী! সে প্রশ্নের জবাব অবশ্য মেলেনি।

গত কাল দুপুরে টুইট করে রেলমন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে সর্ব প্রথম নদীগর্ভে ট্রেন চলাচলের সাক্ষী থাকবে কলকাতা। হুগলি নদীর নীচ দিয়ে চলবে মেট্রো। প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলছে বেশ কয়েক বছর যাবৎ। তার একটি অংশে মেট্রো চলাচল শুরু হওয়ার কথা আগামী সেপ্টেম্বরে। কিন্তু রেলমন্ত্রী যে অংশের কথা এ দিন টুইটে উল্লেখ করেছেন, তার কাজ কবে শেষ হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যে অংশের কথা রেলমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, সেটি এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত। এই রুটে হুগলি নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো চলাচলের কথা রয়েছে। সে জন্য কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। অন্য দিকে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আর একটি অংশের কাজ চলেছে দ্রুতগতিতে। সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো রুটের কাজ প্রায় শেষের পথে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রেলওয়ে সেফটি বোর্ড এই সংক্রান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। তবে মেট্রো চলাচল শুরু হওয়ার আগে যে জাপানি সংস্থা রেক তৈরির দায়িত্বে ছিল, তাদের দিয়ে আর এক বার পরিদর্শনের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছে বোর্ড। সূত্রের খবর, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই রুটটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রেল মন্ত্রকের এক আধিকারিরকের কথায়, “মন্ত্রী কেন হঠাৎ টুইট করলেন জানি না। তবে এখনই নদীর তলা দিয়ে ট্রেন কবে থেকে চলবে, তা বলার সময় আসেনি। কিন্তু সল্টলেকের অংশের কাজ প্রায় শেষ।” কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, “নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো যে চলবে, সে তো সবাই জানে। উনি হঠাৎ হাততালি পেতে টুইট না করলেও পারতেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *