আমি মিশুক। আমার ভাল নাম আরণ্যক। ছবি আঁকতে আমার খুব ভাল লাগে। আর গাছও ভাল লাগে। জন্তু জানোয়ারও ভাল লাগে।
আমি একটা রঙিন ঢাকাওলা নৌকোর ছবি এঁকেছি। একটা ছেলে নৌকোর সামনে বসে মাছ ধরছে। ওর হাতে ছিপ আছে। সেটা জলের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছে। জলের তলায় অনেক রঙিন মাছ। সেই মাছগুলো ধরবে।
কিন্তু রঙিন মাছ দেখতে সুন্দর। আর রান্নাও করা যায় না। তাই ও মাছগুলো ধরে আবার জলে ছেড়ে দেবে। আকাশে পাখি উড়ছে। পাখি আর মাছ ছাড়া থাকলেই ভাল লাগে।
জলের তলায় বড় বড় পাথরও থাকে। সেই পাথরের ফাঁকে ফাঁকে মাছেরা লুকিয়ে থাকে, যাতে তিমি আর হাঙর ওদের খেয়ে না ফেলে। নৌকোটা জলের ওপর দিয়ে যাচ্ছে তো, তাই পাথরে ধাক্কা লাগছে না।
এই নৌকোটা ইন্ডিয়ার। তাই এক ধারে ইন্ডিয়ার ফ্ল্যাগ লাগানো আছে। আমি স্কুলে ফ্ল্যাগ আঁকা শিখেছি। নৌকোতে লাগানো ফ্ল্যাগটা হাওয়ায় উড়ছে। একটু জলও লাগছে। কিন্তু ফ্ল্যাগটা লাগানো বলেই তো বোঝা যাচ্ছে যে এটা ইন্ডিয়ার নৌকো!
আরণ্যক দোলনা ডে স্কুলের ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। প্রিয় খেলার সঙ্গী নানারকম গাড়ি। সুযোগ পেলে ক্যারম আর কার্টুন নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে সারাদিন! খেতেও খুব ভালোবাসে আরণ্যক। চাইনিজ, বিরিয়ানি আর অবশ্যই মায়ের রান্না করা বাসন্তী পোলাও আর চিকেন মাটন। বড় হয়ে কখনও ডাক্তার, কখনও অ্যাস্ট্রোনট, কখনও ভলভো বাসের ড্রাইভার সবই হবার ইচ্ছে।