নতুন একটা শব্দ এসেছে বাজারে! লকডাউন। তবে শুধু বাংলার বাজারে নয়, বিশ্ববাজার মাত মাত এই এক শব্দের ঘায়ে। বন্ধ সমস্ত সিনেমাহল, থিয়েটার, মঞ্চের অনুষ্ঠান, নাচগানবাজনাআঁকা শেখার ক্লাস, সিরিয়াল-সিনেমার শ্যুটিং… সবকিছু। কাজেই যে তারকারা দিনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত ব্যস্ত থাকতেন কোনও না কোনও কাজে, আপাতত তাঁরা সকলেই বাড়িতে বন্দি। শ্যুটিং বন্ধ, অনুষ্ঠান বাতিল এবং দেশ জুড়ে নেতা-মন্ত্রী-চিকিৎসকদের সাবধানবাণী – বাড়িতে থাকুন। নিরাপদে থাকুন। হ্যাশট্যাগ স্টে হোম, স্টে সেফ।

কিন্তু স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে তারকারা করছেনটা কী? আদতে আমি-আপনি যা করছি অনেকটা তাইই, কারণ তাঁদেরও অনেকের বাড়িতেই সাহায্যকারিণী মেয়েটি আসছে না, গাড়িচালক আসতে পারছেন না, আয়াদিদি আসতে পারছেন না। তারকাদের সব ক্ষেত্রে ওয়র্ক ফ্রম হোম-ও নেই। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া, ঘরের কাজ, রান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, মিম বানানো, ঠাট্টা ইয়ার্কি নিয়েই কাটছে তারকাদের গৃহবন্দিদশা। প্রায় সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে যোগাযোগ রাখছেন ফ্যানেদের সঙ্গে। কেউ গান গাইছেন তো কেউ বাজনায় হাত মকশো করছেন, আবার কেউ ঘরেই ব্যায়াম সারছেন তো কেউ বা নাচ করছেন। সকলেই সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন একাধিক ভিডিওতে, অনুরোধ রাখছেন ভেঙে না-পড়ার, ভয় না-পাওয়ার।


সম্প্রতি বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন উদ্যোগী হয়ে একটি শর্ট ফিল্মের ভাবনা ভাগ করে নেন তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। লকডাউন নিয়েই তৈরি হয়ে যায় একটি শর্ট ফিল্ম ‘ফ্যামিলি- মেড অ্যাট হোম!’ খোদ অমিতাভ বচ্চন থেকে রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দক্ষিণের সুপারস্টার রজনিকান্ত থেকে মামুটি-চিরঞ্জীবী, টলিউডের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সকলে একজোট হয়ে তৈরি হয় এই সিনেমা। কিন্তু কী ভাবে? মূল ভাবনাকে ঘিরে তৈরি হয় চিত্রনাট্য। তারপর সেই চিত্রনাট্য অনুয়াযী প্রত্যেকে প্রত্যেকের বাড়িতে থেকেই একটি-দু’টি করে শট দেন। আর এডিটিংয়ের জাদুতে সারা ভারত (এমনকি বিদেশ থেকেও) পাঠানো শটের মালা গেঁথে তৈরি হয় এই ছবি। এমনই তার সম্পাদনার মুনশিয়ানা যে বোঝার উপায় নেই অভিনেতারা রয়েছেন পরস্পরের থেকে কয়েকশো মাইল দূরে দূরে!

এই ভাবনা থেকে প্রেরণা নিয়েই করোনা সচেতনতা নিয়ে একটি ছোট ছবি বানান টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা-পরিচালক অরিন্দম শীল। ছবির নাম ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে।’ করোনা প্রচারে প্রশাসনের ভূমিকা, সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমই এই ছবির মুখ্য উপজীব্য। অভিনয়ে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকার, রুক্মিণী, কোয়েল মল্লিক, আবির চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়… যাকে বলে তারার মেলা! এর পরে পরেই এল ওই একই ভাবে তৈরি মিউজিক ভিডিও যেটি পরিচালনা করেছেন টলিউডের হিট পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। সেখানেও দেখা গিয়েছে ঋত্বিক চক্রবর্তী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, বনি, অঙ্কুশ হাজরা, যিশু সেনগুপ্তের মতো প্রথম সারির নায়কদের। বাদ যাননি নায়িকারাও।


পরমব্রতকে দেখা গিয়েছে ইলেকট্রিক গিটার বাজাতে আর যিশু বসেছেন ড্রামসেটের পিছনে। নিজের বাড়ির ছাদে শট দিয়েছেন অনির্বাণ। সকলেই একেবারে ঘরোয়া মেজাজে নো-মেক আপ লুকে, পাশের বাড়ির ছেলেটির মতো সহজ ভাবে তৈরি করেছেন এই ইনস্পিরেশনাল মিউজিক ভিডিও। গানের নাম “এই বাংলা আমার হাসবে আবার!” লিখেছেন প্রসেন, সুর দিয়েছেন অরিন্দম। গেয়েছেন শাশ্বত সিং ও নিকিতা গান্ধী। সক্কলে নিজের নিজের ফেসবুক ও ইনস্টা অ্যাকাউন্টে শেয়ারও করেছেন ভিডিওটা। ফলে ভিউয়ের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান!

তবে এ তো গেল তারকাদের মিলিজুলি প্রয়াস, লকডাউন রুখতে আলাদা থেকেও একসঙ্গে কিছু করার চেষ্টা। কিন্তু রোজকার দিন কাটছে কী করে? সেটা বোঝা যাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ফলো করলেই। এতখানি নিরবচ্ছিন্ন অবসর তাঁরা কখনওই পান না। ফলে পরিবারের সঙ্গে নানা অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাচ্ছেন প্রায় সকলেই। তার ছবি বা ভিডিও-ও ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।

শ্রীলেখা মিত্র যেমন একনিষ্ঠ ভাবে পথকুকুরদের যত্ন নিয়ে চলেছেন। রোজ দুপুরে-রাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের ভাত খাওয়ান। সঙ্গী এলাকার কিছু যুবক, যাঁদের সাহায্য তাঁর দরকার পড়ে কারণ কুকুরেরা সংখ্যায় অনেক। এমনকি তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে কুকুরদের ঢোকা নিষিদ্ধ হওয়ায় গেটের ভেতর থেকেও কুকুরদের খাবার দিয়েছেন তিনি। পরে গ্যারাজে তাঁর কন্যা কুকুরদের গা মুছিয়ে পরিষ্কার করছে, এমন একটি ভিডিও-ও পোস্ট করেন তিনি। তাঁর বাড়ির ভেতরেও রোডেশিয়ানদের অবাধ যাতায়াত। তাঁর খাটে, মেঝেতে মহানন্দে ঘুমোচ্ছে তারা, এমন বহু ছবি পোস্ট করেছেন নায়িকা।

parambrata chatterjee
আমার একলা থাকার অভ্যেস! লকডাউনে পরম। ছবি সৌজন্যে facebook.com

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় লকডাউনের দিনগুলো কাটাচ্ছেন বই পড়ে আর গিটার বাজিয়ে। গিটার বরাবরই পরমের প্রিয় সঙ্গী। এখন অখণ্ড অবসরে মাঝেমধ্যেই টুকরো বাজনার ভিডিও পোস্ট করছেন ইনস্টায়। কখনও বা ভিডিও কলে চলছে আড্ডা। সঙ্গী যিশু, রুদ্রনীল আর কাঞ্চন মল্লিক! তাতে আবার হেসে গড়িয়ে পড়া ইমোজির সারি দিয়ে অপরাজিতা আঢ্যের কমেন্ট – “সব বাঁদর যখন একসাথে হয়!” এই ‘লকডাউন মিউজিক সেশন’-এ গিটারের সুরে সুর মিলিয়ে নিজের দু’টি প্রিয় গানও গেয়েছেন পরম – ‘বনমালি তুমি পরজনমে হইও রাধা’ এবং ‘দুয়ারে আইশাসে পালকি।’ কখনও আবার মাটিতে পর্দা পেতে সদ্য বাজার থেকে আসা সবজি শুকোনোর ছবিও পোস্ট করেছেন!

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সাঙ্ঘাতিক সক্রিয় না-হলেও লকডাউনে একাধিকবার নানা সচেতনতামূলক পোস্ট করেছেন। কী ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, কী ভাবে মাস্ক ব্যবহার করে এড়ানো যাবে করোনার থাবা, এই জাতীয় পোস্ট করেছেন। নববর্ষে কবিতা আবৃত্তি করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলকে এবং ১৯ এপ্রিল সকালে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন তাঁর দীর্ঘদিনকার বন্ধু, সখা, সুহৃদ ঋতুপর্ণ ঘোষকে স্মরণ করে, যাঁর ছবি ‘১৯শে এপ্রিল’-এর হাত ধরেই নবজন্ম হয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামক “অচেনা” অভিনেতার।

সুদীপা চট্টোপাধ্যায় এবং কনিনীকা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই সদ্য মা হয়েছেন। কনিনীকার মেয়ে অন্তঃকরণা (ডাকনাম কিয়া) অবশ্য একেবারেই ছোট্ট। এক বছরও হয়নি। তুলনায় সুদীপার ছেলে আদিদেব (ডাকনাম আদি) কিছুটা বড়। খোলা ছাদে ছেলে আর কুকুরকে নিয়ে ঘুরছেন সুদীপা। ছেলেকে কোলে নিয়ে ঠাকুরঘরে আরতি করছেন। কখনও বা আবার স্বাদবদলের জন্য পিৎজা আনিয়ে এক টুকরো দিচ্ছেন ছেলের মুখে। কনিনীকাও একটু খোলা আকাশের সন্ধান করতে বেছে নিয়েছেন তাঁর বাড়ির টেরেস গার্ডেনকেই। মেয়ে কিয়ার যত্ন, বাড়ির কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘরোয়া পোশাকেই ছাদে উঠছেন কোনি। কখনও বা ফেসবুক লাইভে মনে করছেন তাঁর প্রথম দিককার ধারাবাহিক ‘এক আকশের নিচে’-র কথা, যা এই লকডাউনের সময় ফের একবার টেলিকাস্ট শুরু হয়েছে। আর দিচ্ছেন বাড়ির সব কাজ করেও পজিটিভ থাকার মন্ত্র।

বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে সৃজিত মুখোপাধ্যায় সবসময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সক্রিয়। সম্প্রতি তাঁর বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াৎ রশিদ মিথিলার সঙ্গে। বিয়ের পর পরই কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন ছবির শ্যুটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন সৃজিৎ। করোনার জেরে শিডিউল দেড়দিন আগেই প্যাক আপ করে ফিরে আসতে হয়েছে। এবং তারপর থেকেই তিনি কঠোর হোম কোয়ারেন্টাইনে। মাস্ক এবং গ্লাভস পরে ছবি দিয়েছেন। মেয়ে আইরার সঙ্গে ভিডিও কলের স্ত্রিনশটও পোস্ট করেছেন সুমনের গানের ক্যাপশন লাগিয়ে। তবে বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যেও কাজ থেমে নেই সৃজিতের। সবে শেষ করলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী বীণা দাসের জীবন অবলম্বনে ‘ইতি বীণা’ ছবির চিত্রনাট্য লেখার কাজ। আর চলছে ভিডিও কলে তাঁর আসন্ন ওয়েবসিরিজ ফেলুদা ফেরত-এর টাইটেল ট্র্যাক তৈরির কাজ। রয়েছেন শ্রীজাত, জয় সরকার, অনুপম রায়, রূপঙ্কর এবং রূপম ইসলাম। সৃজিত মুখোপাধ্যায় ফ্যান ক্লাবের তরফ থেকে দশ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর করোনা তহবিলে দান করা হয়েছে বলে ইনস্টাগ্রামে তাঁদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি পরিচালক।

সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান দু’হাতে সামলাচ্ছেন সংসদীয় দায়িত্ব। নিয়মিত পোস্ট করছেন বিভিন্ন এলাকায় তাঁর ত্রাণ বিলির ছবি। আর অন্যদিকে, জমিয়ে রান্নাবান্নায় মজেছেন নিজের বাড়িতে। দম বিরিয়ানি রান্নার ভিডিও, বিহারি চিকেন রান্নার ভিডিও, ম্যাঙ্গো কেক আইসিং করা- বাড়িতে বসেই পাকা গিন্নির মতো রাঁধছেন নুসরত।

আর এক সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী সময় কাটাচ্ছেন নিজের দুই পোষ্যের সঙ্গে। অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে উঠে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে ছোটাছুটি করছেন দুই সারমেয়কে নিয়ে। জরুরি শ্যুটিং শিডিউল শেষ করতে মার্চেই লন্ডন যেতে হয়েছিল মিমিকে। ফলে, ফিরে থেকে বাড়িতেই হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ভিডিও ব্লগিং তো করছেনই, বাড়িতে পুরনো ওড়না আর চুল বাঁধার রাবারব্যান্ড দিয়ে কী করে সহজে মাস্ক তৈরি করে যায়, সেটাও করে দেখিয়েছেন। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, নিজেকে চাঙ্গা রাখতে ভেষজ চা তৈরি করার পদ্ধতিও ইনস্টাভিডিওতে শেয়ার করেছেন মিমি।

ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ মনামী আবার এই ঘরবন্দিদশায় নিজেকে উজ্জীবীত রাখতে মন দিয়েছেন নাচে। কখনও রবি ঠাকুরের ‘একলা চলো রে’, আবার কখনও বা বাদশা-র হালফিলের ‘গেন্দা ফুল’- নাচের ভিডিওতেই মাতিয়ে দিচ্ছেন ফ্যানেদের। নিমেষে ভাইরাল হচ্ছে সেগুলো। আবার কখনও বা স্রেফ বারান্দায় বসে আড্ডা মেরে সময় কাটাচ্ছেন। মনামীর আর একটা পছন্দের কাজ টিকটক ভিডিও। মজার মজার ভিডিওতে প্রাণভরে হাহা ইমোজিতে ভরিয়ে দিচ্ছেন ফ্যানেরা। সম্প্রতি নববর্ষের দিন লালপাড় সাদা শাড়িতে সেজে মায়ের সঙ্গে ঘরে বসেই রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করেছেন মনামী।

আর এ ভাবেই লকডাউনের একঘেয়ে দিনগুলোকে নিজেদের জন্য, পরিবারের জন্য, এমনকি ফ্যানেদের জন্যও খানিকটা হলেও আনন্দে ভরিয়ে রাখতে চাইছেন টলিউডের কলাকুশলীরা। কখনও যিশু সেনগুপ্ত জানালার ধারে বসে গান শোনাচ্ছেন বয়স্ক শাশুড়ি অঞ্জনা ভৌমিককে। আবার কখনও বা নকল গোঁফ লাগিয়ে মেয়ের সঙ্গে সুকুমার রায়ের ছড়া বলে ফেসবুকে পোস্ট করছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। আর তার সঙ্গে তো রয়েছেই অজস্র অনলাইন প্ল্যাটফর্মের অসংখ্য ফেসবুক লাইভ, গানের অনুষ্ঠান, লাইভ চিকিৎসকের পরামর্শ। ফলে তারকারা যে কেবল রুপোলি পর্দাতেই বিনোদন ছড়ান, নাহলে নয়, এ কথা এখন আর কোনওমতেই সত্যি বলা যাবে না। এই দীর্ঘ লকডাউন আরও একবার প্রমাণ করল সেই কথাই।

লিখতে শিখেই লুক থ্রু! লিখতে লিখতেই বড় হওয়া। লিখতে লিখতেই বুড়ো। গান ভালবেসে গান আর ত্বকের যত্ন মোটে নিতে পারেন না। আলুভাতে আর ডেভিলড ক্র্যাব বাঁচার রসদ। বাংলা বই, বাংলা গান আর মিঠাপাত্তি পান ছাড়া জীবন আলুনিসম বোধ হয়। ঝর্ণাকলম, ফ্রিজ ম্যাগনেট আর বেডস্যুইচ – এ তিনের লোভ ভয়ঙ্কর!!

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *