অপরাধ করে ধরা পড়লে জেলে যেতেই হয়। এ কথাটা মানুষদের ক্ষেত্রে খাটে এমনই জানতাম। এখন অবশ্য দেখছি পশুদেরও ছাড় নেই। আইন অমান্য করেছ তো পুলিশ ধরবেই। ঠিক এমনটাই হয়েছে হায়দরাবাদে। দুটো ছাগলকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তাদের অপরাধ? তারা ঘাস খেয়েছে। না মানে যেমনতেমন ঘাস নয়, কচি চারাগাছ, যা আবার কিনা পুঁতেছে পরিবেশ রক্ষাকারী এক সংস্থা। তা হলে বুঝুন কী দুঃসাহস এদের!

তেলেঙ্গানার হুজুরাবাদ শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। ছাগল দুটো প্রতি দিনের মতোই বিভিন্ন জায়গায় চড়ে বেড়াচ্ছিল, মনের সুখে ঘাসও খাচ্ছিল। কিন্তু তারা মোটেই বুঝতে পারেনি যে এর জন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে। শুধু ধরা পড়েছে যে তা নয়, তাদের ১০০০টাকা জরিমানাও দিতে হয়েছে। আর এই আদেশ দিয়েছেন শহরের পৌর দপ্তর। ছাগলগুলির মালিককে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে তারা এই ভুল না করে।

চারাগাছগুলো পুতেছিল ‘সেভ দ্য ট্রিজ’ বলে একটি সংস্থা। তার কর্মীরাই পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন। এক-আধবারের ব্যপার হলে হয়তো ছাগল দুটো বেঁচে যেত। কিন্তু তারা নাকি বারবার এই একই অপরাধ করেছেন। সংস্থার সদস্যরা দাবী করেছেন যে, যে ৯০০টি গাছ ওঁরা পুতেছিলেন, তার মধ্য়ে ২৫০টি নাকি ছাগলদুটো খেয়ে নিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে অপরাধীদের একেবারে হাতেনাতে ধরেন এবং সোজা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েই ক্ষান্ত হন সংস্থার সদস্যরা। এর পর ছাগলদের মালিককে থানায় ডাকা হয়। ১০০০ টাকা জরিমানা দিয়ে তবে তিনি ছাড়া পান। এর সঙ্গে তাকে লিখিত দিতে হয়, যে ছাগলগুলিকে উনি এভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেবেন না। হয় বাড়িতে, নয় শহরের বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যাবেন। এই মুচলেকার পরই অব্যাহতি পান ছাগলদুটি ও তাদের মালিক!

তবে এরকম ঘটনা যে প্রথমবার ঘটেছে তা কিন্তু নয়। ২০১৫ সালে একটি পায়রাকে আটক করা হয় পাকিস্তানি চর মনে করে। কারণ পাখিটিকে পাকিস্তান বর্ডারের থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে পাওয়া গেছিল। তার গায়ে আবার উর্দু ভাষায় কীসব লেখা ছিল। সুতরাং তাকে আটক করাই শ্রেয় মনে করেছিলেন পুলিশরা। সেউ পাখির ঠিক কী পরিণতি হয়েছিল তা অবশ্য জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *