পুজো আসছে বলে কথা। নিজেদের সাজপোশাকের প্ল্যানিং তো সেরে ফেলেছেন, কিন্তু বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের কথা ভেবেছেন কি? বাড়ির খুদে সদস্য বলে বুঝি তার স্টাইল করতে নেই! প্যান্ট-শার্ট, ফ্রক পরিয়ে দিলে কিন্তু মোটে চলবে না। মানছি বাচ্চাদের পোশাকের ক্ষেত্রে কমফর্ট, আরাম সবচেয়ে জরুরি, কিন্তু এই ক’টা দিনে তাদের তো ইচ্ছে করে অন্যরকমভাবে সাজতে। ছোট বলে তারা আপনাদের সব কিছু মেনে নেব কেন? আর আজ তো বাচ্চাদের পোশাকের বৈচিত্র্য দেখলে মাথা ঘুরে যায়। হট প্যান্ট থেকে জাম্পস্যুট, কিমোনো ড্রেস থেকে যোধপুরী পাজামা, যা চাইবেন তাই পাবেন। এ যেন আলাদিনের জিন! অনলাইন সাইটগুলো একবার দেখুন, কত রকম যে পোশাক আছে, তার ইয়ত্তা নেই।

আর হাতের কাছেই তো আছে সব খুদে স্টাইল আইকন। সেলেবদের বাচ্চাদের কথা বলছি। করিনার চেয়ে তৈমুরের স্টাইল স্টেটমেন্ট কি কম? বা আরাধ্যা বচ্চন কি ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের থেকে পিছিয়ে? ইভেন্ট থেকে ঘরোয়া অনুষ্ঠান তাদের পোশাকআশাক দেখলে একেবারে তাক লেগে যায়। কখনও বাবা-মার সঙ্গে টুইনিং করে কখনও না করেই তারা প্রমাণ করে দিচ্ছে যে গ্ল্যামার কোশেন্টে তারা কোনও অংশে কম নয়। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আরাধ্যার ওয়ান শোল্ডার সোনালি গাউন কিংবা বেবি পিঙ্ক ফুল লেংথ গাউন কিন্তু আপনার খুদেকেও পরাতে পারেন।

ঐশ্বর্যের সঙ্গে আরাধ্যা

কিংবা তৈমুরের নীল রঙের কাফতান টপের সঙ্গে ব্লু ডেনিমও ট্রাই করতে পারেন। তৈমুরকে আবার অনুষ্ঠানে শেরওয়ানি, পাজামা-পাঞ্জাবিতে দেখা গেলেও সকালে কিন্তু সে ক্যাজুয়াল পোশাকই বেশি পরে। তার স্লোগান লেখা টি-শার্ট তো রীতিমতো হিট। এবার পুজোয় আপনার বাচ্চাকেও কিন্তু পরাতে পারেন এই ধরনের পোশাকে আরামও হবে আবার সকলের মাঝে সে হয়ে উঠবে আলাদা।

বোহো লুকে তৈমুর

আব্রাম বা ইনায়ার স্টাইল সেন্সও কিন্তু এখন দারুণ চর্চার বিষয়। শাহরুখের কনিষ্ঠ পুত্রের স্টাইল যদি স্ট্রিট হয়, তাহলে সোহার মেয়ে বেজায় গার্লি। প্রিনসেস ফ্রক আর পিগটেলেই বেশি দেখা যায় তাকে।

বাবা ও দাদার সঙ্গে আব্রাম
কুণাল ও সোহার মেয়ে ইনায়া

শহীদ-মিরার কন্যা মিশাও রীতিমতো মাইক্রো স্টাইল আইকন। কালার ব্লকিং থেকে শুরু করে ব্ল্যাক অনসম্বল, সবেতেই সে একেবারে স্বচ্ছন্দ। টম ক্রুজের মেয়ে সুরি ক্রুজ, বেয়ন্সের মেয়ে ব্লু আইভি কার্টার, কিম কারডেশিয়ানের মেয়ে নর্থ ওয়েস্ট, সকলেই কিন্তু এখন ট্রেন্ডসেটার।

মিশা কপূর

তা হলে আপনার বাড়ির তারকাটিকে শুধুই একঘেয়ে পোশাক কেন পরাবেন বলুন তো ? বরং এদের থেকে আইডিয়া ধার নিন আর বানিয়ে ফেলুন রকমারি পোশাক। আপনার সঙ্গে টুইনিং করতে পারেন। মানে ধরুন আপনি যে রঙের পোশাক পরবেন নবমীতে, ওকেও সেই রঙের, সেই স্টাইলের পোশাক বানিয়ে দিন। আবার এমনও হতে পারে এক রকম পোশাক পরলেন না, শুধু কালার কম্বিনেশনটা এক রাখলেন। ফ্যাশন মানে তো এক্সপেরিমেন্ট। পারমুটেশন-কম্বিনেশনের খেলা। সুতরাং আর বেশি সময় নেই, চট করে বাচ্চাদের স্টাইল গাইডটা বানিয়ে ফেলুন তো দেখি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *