যথেষ্ট হয়েছে। আর নয়। জানিয়ে দিলেন ড্যানিয়েল ক্রেগ। 
আর জেমস বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করবেন না তিনি। 
সবচেয়ে দীর্ঘ সময় যাবৎ তিনিই ছিলেন বন্ড চরিত্রে সমুজ্জ্বল। পিছনে ফেলেছেন রজার মুর, শন কনেরির মতো কিংবদন্তীদেরও। কিন্তু আর নয়। এবার সেই লম্বা ইনিংসে ইতি টানতে চান ক্রেগ। আগামী বছর এপ্রিলে মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর পরবর্তী বন্ড ছবি নো টাইম টু ডাই। সম্ভবত সেটাই বন্ড হিসেবে তাঁর শেষ ছবি। সম্প্রতি মার্কিন টেলিভিশনে স্টিফেন কোলবার্টের চ্যাট শো-তে এসে নিজের মুখেই সে কথা জানিয়েছেন ক্রেগ। 

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ডের ভূমিকায় দুনিয়া কাঁপাচ্ছেন ক্রেগ। ২০০৬ সালে ক্যাসিনো রয়্যাল দিয়ে যাত্রা শুরু করে পরপর হিটের বন্য়া বইয়ে দিয়েছেন। ২০০৮-এ কোয়ান্টাম অফ সোলেস, ২০১২-তে স্কাইফল এবং ২০১৫-তে স্পেকটর– প্রত্য়েকটাই সুপারহিট। এবার পঞ্চম ছবিতে কী খেল দেখান ড্যানিয়েল, তার জন্য় মুখিয়ে রয়েছে দুনিয়া। ইতিমধ্যে এসে পড়ল এহেন ঘোষণা। টেলি চ্য়াট-শো হোস্ট কোলবার্টকে হাসিমুখে ক্রেগ জানালেন, “বন্ড হিসেবে সত্য়িই অনেক সাফল্য পেয়েছি। আরও একটা বন্ড ছবি করছি. কিন্তু ওটাই শেষ।” কোলবার্ট অবশ্য় তার পরেও জিজ্ঞাসা করেন, শেষ মানে কি একেবারেই শেষ? ক্রেগের দ্ব্যর্থহীন জবাব, “অবশ্যই।” তাই কি ফিটনেসে খানিক ঢিলে দিয়েছেন? স্মিতহাস্যে উত্তর এড়িয়ে যান ক্রেগ।

তবে এ কথা ঠিক যে ২০১৫ থেকেই যাই যাই করছিলেন ক্রেগ। সে বছর ব্রিটেনের টাইম আউট পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কবজির শিরা কেটে ফেলবেন, তথাপি আর বন্ডের চরিত্র করবেন না। কাজেই বন্ড-ভক্তদের কিছুটা মানসিক প্রস্তুতি তখন থেকেই ছিল। যদিও তার পরেও ২০২০-তে ক্রেগ ফের একবার বন্ডের পোশাক গায়ে চড়ানোয় আশায় বুক বেঁধেছিলেন তাঁরা। ক্রেগের ঘোষণায় আপাতত সব জল্পনার অবসান। 

কিন্তু ইতিমধ্য়েই দানা বাঁধছে নয়া জল্পনা। ব্রিটিশ গুপ্তচরের ফাঁকা জুতোয় তাহলে এবার পা গলাবেন কে? আর এই নিয়েই শুরু গুজবের ছুটোছুটি। কেন? কারণ, রব উঠেছে, লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে বন্ডের। নো টাইম টু ডাই ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করা লাশানা লিঞ্চ-ই নাকি হতে পারেন পরবর্তী ০০৭। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ কথা বেরনোমাত্র শুরু হয়ে যায় ট্রোলিং। বন্ডের মতো দাপুটে চরিত্রে কিছুতেই কোনও নারীকে মেনে নিতে রাজি নন ভক্তকুল। লাশানা অবশ্য় শক্ত হাতেই দমন করেন গুজবের বাড়াবাড়ি। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, যাঁরা এ সব বলছেন তাঁদের জন্য় তাঁর করুণা হয়। যদিও আরেক বন্ড গার্ল অ্যানা ডি আর্মাসের বক্তব্য়, অনেক তো হল বিপদে আটকে পড়া ভীরু অসহায় নারী চরিত্র, যাকে প্রবল পরাক্রমে উদ্ধার করবেন বন্ড! এখনও কি সময় আসেনি বিবর্তনের? লীলায়িত নায়িকার চিরকেলে ভূমিকা থেকে পরাক্রমী নায়ক, এখনও কি সময় হয়নি স্টিরিওটাইপ চুরমার করার? 

লিখতে শিখেই লুক থ্রু! লিখতে লিখতেই বড় হওয়া। লিখতে লিখতেই বুড়ো। গান ভালবেসে গান আর ত্বকের যত্ন মোটে নিতে পারেন না। আলুভাতে আর ডেভিলড ক্র্যাব বাঁচার রসদ। বাংলা বই, বাংলা গান আর মিঠাপাত্তি পান ছাড়া জীবন আলুনিসম বোধ হয়। ঝর্ণাকলম, ফ্রিজ ম্যাগনেট আর বেডস্যুইচ – এ তিনের লোভ ভয়ঙ্কর!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *