এ বছর পনেরো দিন আগে থেকে “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো” রব শোনা যায়নি রেডিয়োতে, টেলিভিশনে।কারণ তখন ভীষণ ব্যস্ত ওঁরা—এটা ক’রোনা, ওটা ক’রোনা, সেটা ধ’রোনা বলতে। তবু রবাহুত চলে এসেছে বৈশাখ। এ বারের ১লা বৈশাখ পয়লা নয়, প্রকৃত প্রস্তাবে একলা বৈশাখ।

বৈশাখ আসার আগে প্রতি বারই তার পদশব্দ শুনি। আগমনী গন্ধ পাই। বড়লোকের বেটি ঘরে ঢুকবার আগেই যেমন গন্ধ ছড়ায় ওর পরিচিত ফ্রেগরেন্স-এর, বৈশাখও আগে আসে গন্ধ বিলায় আমের বকুলে, বেলফুলে, আর নূপুরধ্বনি পাই হকার কন্ঠে—সেল-সেল চৈত্র সেল। কোকিলের কন্ঠে কিছুটা আগমনী শব্দ শোনা যায় বটে। গত বছর অটোর মাথায় লাগানো চোঙা থেকেও বৈশাখের আগমন বার্তা শুনেছিলাম, “বন্ধুগণ, আসন্ন বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আমাদের অমুক ওয়ার্ডের আপনার কাজের মানুষ, কাছের মানুষ, অমুক কুমার অমুক আপনাদের সর্বাঙ্গীন শুভেচ্ছা ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছেন…” আর গত দু-তিন বছর ধরে নববর্ষের চরণধ্বনি প্রকৃত অর্থের শুনেছি নূপুরের শব্দ সহ, সঙ্গে গিটার।আমাদের উপরতলায় এক নব্যনৃত্যশিল্পী আছে। আমার স্নেহের। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নববর্ষের আবাহনে মেয়েটির একটি ভূমিকা আছে, তাই চৈত্রের প্রথম থেকেই ওই থপথপ, ঝমরঝম। রিহ্যার্সাল। আর জানায় পঞ্জিকা। বসন্ত এলে কোকিলদের সঙ্গেই নতুন পঞ্জিকা বেরিয়ে যায়। শার্টের যেমন হাফ আর ফুল হয়, পঞ্জিকারও হাফ-পঞ্জিকা আর ফুল পঞ্জিকা থাকে। ফুল পঞ্জিকায় থাকে নানা রকম জ্যোতিষ বচন, পূজা পদ্ধতি, দশকর্মাদি।হাফ পঞ্জিকায় অতশত থাকে না। তিথি-নক্ষত্র-বারবেলা-কালবেলা থাকে। তবে পঞ্জিকার কাটতি চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে। বইয়ের বাজারের ভূতের বইয়ের চেয়েও বেশি বিক্রি হয় পঞ্জিকা। আমি কয়েক বার কিনেছি বিজ্ঞাপনের লোভে। “অতি বৃহৎ লম্বা লাল মূলা কিংবা আশ্চর্য সুগন্ধি রুমাল—যাহাকে আপনি কাছে পাইতে চাহেন, তাঁহার নিকটে গিয়ে ঐন্দ্রজালিক রুমাল নাড়াইবা মাত্র সে আপনার পশ্চাতে পশ্চাতে চলিয়া আসিবে” বা “বাঞ্ছিতের উপেক্ষায় জীবনে হতাশা? ঐন্দ্রজালিক রুমাল ব্যবহার করুন।” আজকাল আর ঠিক এই ধরনের বিজ্ঞাপন থাকে না। তার ও বিবর্তন ঘটে। বিজ্ঞাপনেরও দেশি-বিলিতি-হাইব্রিড আছে যা পঞ্জিকার বিজ্ঞাপনগুলি দেখলে বোঝা যায়। পঞ্জিকার বিজ্ঞাপনগুলি ছিল দেশি জাতের। স্ত্রী-ভূমিকা বর্জিত নাটকের নাম ছিল “কেন একা”, “আজব ভাড়াটে”, “বেনের বউ”।ওষুধের বিজ্ঞাপন ছিল-“ধবল-কুষ্ঠ স্বপ্নাদ্য মলম দ্বারা আরোগ্য করুন।” বিলিতি বিজ্ঞাপন পঞ্জিকায় খুব একটা চোখে পড়বে না, তবে হাইব্রিড প্রচুর পাবেন। যেমন বাস্তুর সমস্ত নেগেটিভ এনার্জি শোষণ করবে শ্রীযন্ত্রম, চুম্বক চিকিত্সা ও রেইকি বিশারদ ড. অমুক চন্দ্র অমুক (গোল্ড মেডেলিস্ট)।

এই মনমোহিনী পঞ্জিকা এ বার কিনতে পারিনি। পয়লা বৈশাখ আসার দু-তিন দিন আগে থেকে দশকর্মের দোকানগুলিতে বেশ খুশি খুশি ভাব থাকে। দোকানে দোকানে গণেশ পুজো হবে। কুলুঙ্গিতে কুলুঙ্গিতে এক-দেড় বিঘত লম্বা গণেশ ঢুকে যাবে। দশকর্মের দোকানগুলো ছাড়া বাজারগুলোর সামনে এত বছর ধরে গণেশ বিক্রি হয়েছে। এ বার গণেশ পুজো হল কি না জানি না। লাল খাতা গুলো? নতুন খাতার মহরত্ কি বন্ধ এ বার? না কি নমো নমো করে নতুন খাতা খোলা হয়েছে এ বার? একটা মন্দিরের তো অভাব নেই। না মানা মন হয়তো মন্দিরের পাদদেশ ছুঁইয়ে এনে থাকবে খাতাগুলোকে।

বাবার হাত ধরে বেরোতাম। একটা গামছা-মশারির দোকান ছিল, ঝাঁঝওয়ালা শরবত খাওয়াতো। হজমিওয়ালাদের ইলেকট্রিক নুনে যেমন চিড়িক করে উঠত জিভ, তেমন এক মজাদার ঝাঁঝ। ঠান্ডা নিমকি, জিবেগজা সোনামুখ করে খেতাম। তার পর আরও দু-একটা দোকান। সোনা-গয়নার দোকানগুলো নাকি ভাল খেতে দিত শুনতাম। রাজভোগ, অমৃতি! কিন্তু ও সব দোকানের সঙ্গে আমাদের তেমন সম্পর্ক ছিল না। পরবর্তী কালে এই দেশে দোকানগুলো বসিয়ে খাওয়াতো না। প্যাকেট ধরিয়ে দিত। সঙ্গে রবার বাঁধা রাধাকৃষ্ণ, সামনে ময়ূর পেখম তুলেছে কিংবা কৈলাশে মহাদেব—ক্যালেন্ডার। এই ঠান্ডায় খালিগায়ে, সঙ্গে ষাঁড়ও রয়েছে।

তবে পয়লা বৈশাকে একটু স্পেশাল খাওয়াদাওয়া ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি। এঁচোড়ের তরকারি, ছানার কালিয়া, এক পিস ভাল জাতের মাছ, কাঁচা আমের চাটনি, মিস্টি দইও থাকত। খুব ছোটবেলায়, তখন আমার মা বাড়ির বৌমা, ঠাকুরমার সংসার। চৈত্রের শেষ সপ্তাহ থেকে সব কাচাকুচি হত, মশারি, শতরঞ্চি সব। ঘরের ঝুলঝাড়াও চলত। নতুন বছর ঢুকবে পয়পরিষ্কার ঘরে। এখন যিনি বাড়ির গিন্নি, উনিও যত দিন পেরেছেন নিজে করেছেন, গত বছরও লোক দিয়ে হয়েছে। এ বার কোনও সাহায্যকারিনী নেই। ঘরের কোনায় ঝুল ঝুলছে। খাওয়াদাওয়া? কী আর অন্য রকম? ডায়াবিটিসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে—আলু আমার আলু ওগো আলু ফিরিজ ভর্তি।

ছোটবেলায় ছিট কাপড়ের বাঘের ছাল পরে মহাদেবকে আসতে দেখেছি, কখনও সঙ্গে মাথায় রাংতার মুকুট পরা পার্বতী। কয়েক বছর আগেও আমাদের এই মফস্বলে পাড়ার চা দোকানে ভাঁড়ের চায়ে কড়কড়ে বিস্কুট ডুবিয়ে চা খেয়েছেন হর-পার্বতী। এখন দেখি না। এ বার তো প্রশ্নই নেই। এ বার কি গাঁয়ের দিকে চড়কের মেলা হচ্ছে না? গাজনও বুঝি বন্ধ? এ রকম নতুন বছরের স্মৃতি ঘেরা সব কিছুই বন্ধ।

আমাদের নতুন বছর ছিল মকরের পর। সূর্য যখন উত্তরায়ন শুরু করে। চান্দ্রমাসে সেটা অঘ্রান। চান্দ্রমাস তো চন্দ্র নির্ভর। ৩৬৫ দিনে নয়, ৩৫৪ দিনে বছর হয়। ঋতুর সঙ্গে ঠিক মেলে না, ইসলামি হিজরি যেমন। হিজরি অনুযায়ী ইদলফিতর যদি এ বছর আগস্ট মাসে হয় তো দশ বছর পর হয়তো মে মাসে পড়ে যাবে। আকবর বাদশা তাই ঋতুর সঙ্গে মিলে যায় এমন একটা পঞ্জিকা তৈরি করলেন। সৌর সাল ঋতুর সঙ্গে মেলে। সে সময়ের অঙ্কবিদ ফতেউল্লা সিরাজকে দিয়ে হিজরি সালটার উপর সৌরগণনা চাপিয়ে বঙ্গাব্দ তৈরি করলেন, যাতে ফসল ওঠার পর পর খাজন দেবার শেষ দিন ঘোষণা করা যায়। যখন সেই ক্যালেন্ডার প্রচলিত হয়, তখন পাশ্চাত্য সৌরকেন্দ্রিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারর সঙ্গে সে সময়ের হিজরি সালের তফাত ছিল ৫৯৩ বছর। দেখা যায়, বঙ্গাব্দের সঙ্গে ৫৯৩ যোগ করলে খ্রিস্টাব্দ পাওয়া যায়। যেমন এ বছর ১৪২৭ বঙ্গাব্দের সঙ্গে ৫৯৩ যোগ করলে ২০২০ খ্রিস্টাব্দ পাওয়া যায়।

এই বঙ্গাব্দ বাঙালির নিজের নয়। যেমন বাঙালির নিজের নয় পাঞ্জাবি, নাগরাই জুতো, সিঙারা, মালাইকারি, নিমকি, জিলিপি। তেমনই বঙ্গাব্দটা আকবরী।হিজরি সালটার একটু মিউটেশন হয়েছিল। যেমন সার্স, মার্স ভাইরাসের মিউটেশন হয়ে তৈরি হল করোনা ভাইরাস। তবে হ্যাঁ, আকবর বানালেও সালটাকে বাঙালি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এতেও গন্ডগোল ছিল। নেহরুর আমনে উনি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহাকে দিয়ে একটা পঞ্জিকা সংস্কার করিয়েছিলেন, সেটা কিন্তু বাঙালি মেনে নেয়নি। সেটা দৃকসিদ্ধ পঞ্জিকা। ওই পঞ্জিকা মতে অন্য পঞ্জিকাগুলি গ্রহণ ইত্যাদি গণনা করে কিন্তু তিথি-নক্ষত্র গণনা করে না। সে অবশ্য অন্য কথা।

যেটা বলা ছিল, পাশ্চাত্যে, চিনে, জাপানে, পারস্যে নববর্ষ আনন্দ করার, আমাদের মূলত হিসেব করার। জমিদার বাড়িতে নতুন খাতায় উঠতো কার কত খাজনা বাকি। দোকানে নতুন খাতায় দেনা শোধ।আসলে ধারবাকির কারবারে দেনাপাওনাটা মেটানো, সঙ্গে ফাউ হিসেবে আপ্যায়নাদি। বাংলাদেশে এর অন্য রূপ। এটা ওঁরা তৈরি করতে পেরেছেন। মঙ্গল শোভাযাত্রা। নানা রকম মুখোশ বানানো, যা কিনা অনেকটাই ইসলাম বিরোধী, ফুলের সাজ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, সবই অন্তর্গত এই শোভাযাত্রার। আমাদের এ দিকে এ রকমটা হয়নি। তবে একটু একটু করে শুরু হয়েছিল এই অসাম্প্রদায়িক উত্সব, যা ধর্মীয় নয়। তবে টিভি চ্যানেলগুলো এই প্রচেষ্টায় দুধে চোনা ঢালতেও শুরু করেছিল প্রথম থেকেই। সেলেব্রিটিরা পয়লা বৈশাখে কে কী করছেন, কে কোন শাড়ি, কে কার বাড়ি, কার বাড়িতে কী?

তবে প্রকাশক পাড়া মানে কলেজ স্ট্রিট-এ বেশ কিছু বছর—প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরেই নববর্ষ পালন হচ্ছে। প্রকাশনা যখন বটতলা কেন্দ্রিক ছিল, তখন হতো কিনা জানি না। যত দূর জানি কাগজ ব্যবসায়ী ভোলানাথ দত্ত পাওনা আদায়ের জন্য পয়লা বৈশাখ প্রকাশকদের নেমতন্ন করতেন। তার পর প্রকাশকদের মধ্যে কেউ কেউ খুচরো দোকানদারদের ডেকে মিস্টি খাইয়ে হালখাতা শুরু করতেন। তার পর প্রকাশকদের মধ্যে কেউ কেউ—হতে পারে এম সি সরকার বা মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স লেখকদের পয়লা বৈশাখে ডেকে কিছুটা রয়্যালটি দিতেন এবং আপ্যায়ন করতেন। গরম কাল যেহেতু, ডাবের জল অনেকেই খাওয়াতেন। সন্দেশ তো থাকতই। আমিও গত পঁচিশ বছর ধরে যাচ্ছি। দুপুর তিনটে নাগাদ অনেকেই বেরিয়ে পড়েন। অনেকেই ছ-সাতটি প্রকাশের দফতরে যান(এখন বলছি যেতেন)। আমিও তিন-চারটি প্রকাশকের ডেরায় যেতাম। আনন্দ পাবলিশার্স খুব সুন্দর প্লেটে নামী দোকানের সন্দেশ সহ খাবার দেয়। দে’জ পাবলিশার্স নিজেদের বাড়িতে ভাজা ডিমের ডেভিল বা মাছের চপ। মিত্র ও ঘোষের বৈশিষ্ট্য ছিল ঘুগনি। তা-ও দু-বছর ধরে দেখছি ডাব নেই। ডাব দিচ্ছে না দেখে ড্যাব ড্যাব করে এ –দিক ও-দিক চাইতেই ওদের কেউ বুঝে নিল। বলল, কাটার লোক নেই। সত্যি দা-এর কায়দায় যে ভাবে ডাব কাটা হয়, সেটা একটা বিদ্যে বইকী।

সব প্রকাশকই একটা খাতা এগিয়ে দেন মন্তব্য লেখার জন্য। খাতার পাতা পেছনের দিকে ওল্টালে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, প্রমথনাথ বিশী, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সমরেশ বসু, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, সুনীল…। নানা রকম মন্তব্য। এক প্রসিদ্ধ ছড়াকার লিখেছিলেন, “খাব খাব করে আজ বছর করি শুরু/রেকাব হাতে এলেই বুকটা ভীষণ দুরুদুরু”। মূল বক্তব্য—ডায়াবিটিস সত্ত্বেও খেয়ে নিলাম রাজভোগ দুটো। স্ত্রীকে জানাব না, শুধু চেকটা দেব স্ত্রীর হাতে। রমাপদ চৌধুরী লিখেছিলেন, “সাহিত্যরসের কারবার রসগোল্লার সঙ্গে কী সুন্দর মিলিয়েছেন ওঁরা”। শক্তি চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, “সারা জীবন কে ছাপবে, কে ছাপবে বলে এই চিত্কার ভালোবাসা না মন্দবাসা কে জানে-কে শক্তি?”

এ বছর কলেজ স্ট্রিটে এক অদ্ভুত আঁধার। আমরা জীবনে ভাবিনি এমন হবে। গত কাল বেরিয়েছিলাম একটু বিকেল বেলায়। কয়েকটি কুকুর নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। মানে ভৌ ভৌ করছিল আর কী। ওদের কথোপকথন এ রকম–

১: আমার সাত বছর বয়স হয়ে গেল কাকু, এ রকম দেখিনি।

২: তোর তো সাত বছর মাত্র, আমার চোদ্দ। পরমায়ু প্রায় শেষ। আমিও জীবনে দেখিনি। হোটেল বন্ধ। কেউ থার্মোকলের বাটি ফেলছে না রাস্তায়—যেটা একটু চাটতাম। বাসি রুটিও ফেলছে না।

১: দিদিমনিটাও আসছে না কাকু, যে রোজ এক প্যাকেট বিস্কুট এনে, “আয় আয়, ছু ছু” করতো।

৩: আরে বুঝছ না, মানুষ বড় বিপদে পড়েছে। একটা রোগ ধরেছে ওদের, যেটা আমাদের হয় না।

২: তাই নাকি? মানুষের বিপদ? তবে আমাদের কী করা উচিত?

এইটুকু শুনে বাড়ি ফিরি। মনে হয় আমরাও তো প্রভুভক্ত। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠিয়েছি। তবে?

কবে এ সব শেষ হবে জানি না। আগামী বছর কি কলেজ স্ট্রিট-এ আবার লেখক সমাবেশ হবে? নিজেদের মধ্যে গল্পগাছা? কে জানে? পবিত্র সরকার মহাশয় এই করোনা কালে খুব ভাল কিছু লিমেরিক লিখেছেন। আগামী বছর হয়তো কলেজ স্ট্রিট পাড়ায় কোনও প্রকাশকের বাড়িয়ে দেওয়া খাতায় কিছু লিখবেন। আমার অক্ষম মাথা এ রকম একটা লিমেরিক কল্পনা করতে পারছে।

গত বার আসিনি, বেরনো বারণ ছিল; লকডাউন
করোনার ভয়ে “ধরো না, যেও না কোরো না” সমস্ত টাউন।
এ বারে নিকটে এসে
কথা কই ভালবেসে
ভালবাসা শব্দটি প্রকৃতই মোহময় অ্যাবস্ট্রাক্ট নাউন।

জন্ম ১৯৫২ সালে‚ কলকাতায় | বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম এ | কর্মজীবন শুরু দেশলাই-এর সেলসম্যান হিসেবে | দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন আকাশবাণীর সঙ্গে | 'হলদে গোলাপ' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন ১৪২১ সালের আনন্দ পুরস্কার |

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *