যে-কটা সীমিত শব্দে প্রতিদিন জীবন লিখি
তার চেয়েও সীমিতকাল এই নিজের জন্য বাঁচা।
যদি ভোরের আলোতে বোঝা যেত সন্ধে বা রাতের উপমা,
জীবনের মুখোমুখি হিসেবের খাতা খুলে বসে
বাজি রাখা যেত সংসার সুখ,
আমার একান্ত নির্জন, বৃথা ঘর বাঁধত না
কোনও বাতিল স্বপ্নের কথা মনে রেখে।
অসুখের ইতিহাসে নীরব কান্নার বিবরণ আছে, জেনো।
অভিমান ঘনিষ্ঠ হলে যে ব্যক্তিগত সুখ হয়
তার নীচে জমা থাকে এক-একটা এপিসোডিক বিরতি
নিশ্চিত আশ্রয় থেকে ছদ্ম-সুখে,
নিজস্ব পরিধি ছেড়ে কৌণিকবিন্দুতে-
আজ তবে শূন্যের কথা কেন?
জানি, থেকে যাবে স্রোত, বিপরীতে।
আমার চোখের দিকে তোমার চোখ,
এই আমার আজন্ম চরাচর।
বিদিশার জন্ম নদীয়ার হরিণঘাটায়। হরিণঘাটা মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করছেন।