আমি তোমাকে রোজ খেতে দিই ঠাকুর
আমার চটচটে আবিল হাত
তবু দিই পলান্ন, জুঁই ফুলের মালা, আর নকুলদানা
তুমি সোনামুখ করে খেয়ে নাও,
আমি হাততালি দিই, এই তো বাছা আমার খেয়েছে।
তার পর কপালে দিব্যজ্যোতি দেখে আমি খেতে বসি।
তোমার প্রসাদে মহাবিশ্বের নট-নটি নাচে তাতা থৈথৈ।
আমি তার পর ভরাপেটে আকাশ দেখি
আমার আকাশ, তোমার আকাশ, ওখানে তুমি থাকো ঠাকুর?

সেই কবে আমার একটা ঘুড়ি কাটা গিয়েছিল
তার পর থেকে…
আমি আর মাঞ্জা দিইনি
হামানদিস্তা, টিউবলাইটের গুঁড়ো, বেলের আঠা গান হয়ে উড়ছে

ঘুড়ি উড়ছে, আশমানে ঢেউ,
আসলে কেউ জানে না, তুমি জানাে ঠাকুর
ওই অনন্ত চাপরাশ, ওই লেড়ো বিস্কুট
আমার রক্তকণিকার অলকানন্দা

সুতো টানি, সুতো ছাড়ি, আবার টানি…

পেশায় সাংবাদিক হলেও হৃদয়ে চিরনবীন কবি। এখনও বসন্ত এলে পলাশ ফুলের দিকে তাকাতে, কচি ঘাসের গন্ধ শুঁকতে আর সুপর্ণার বিরহে পাশ ফিরতে ভালোবাসেন। ছবি লেখেন গদ্যে। আনন্দবাজার পত্রিকার “অন্য পুজো” কলাম লিখে সুপরিচিত। পরে সেটি গাংচিল থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি ফেসবুক কলাম নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বই নুনমরিচের জীবন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *