তোমার জন্য দুঃখ হয়, জানকী যে তুমি, বিবাহোত্তর স্বেচ্ছায় যাবতীয় রাজসুখ ত্যাগ করে রামচন্দ্রের অনুগামিনী হয়েও লঙ্কা থেকে ফিরে আলিঙ্গনের পরিবর্তে ‘পুরস্কৃত’ হলে অগ্নিপরীক্ষায়, যে তুমি গর্ভবতী অবস্থায় নির্বাসিত হলে বাল্মীকির আশ্রমে, যে তুমি নৈমিষ অরণ্যে বারো বছর কালাতিপাত করে, শীর্ণ দেহে আবার, আবারও সতীত্বের পরীক্ষার জন্য আদেশপ্রাপ্ত হলে দুই কিশোরপুত্রের উপস্থিতিতে, সেই তোমার জন্য কষ্ট হয়, হে লোকসামান্যা নারী



“আত্রেয়ী বলেন, আমরা মেয়েরা যেন অন্য লোক, যেন মানুষ না, যেন এই সমাজের কেউ না।… ইতিহাসের এক তমসাচ্ছন্ন সায়াহ্নে ব্রাহ্মণী ও ক্ষত্রিয়ানি দুই নারী পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আশ্রয়ের খোঁজে যেন এক বলয় তৈরি করেন। এই বলয়ের বাইরে যে বিস্তীর্ণ সমাজ প্রবহমান সেখানে এদের জন্য, নারীর জন্য কেউ ভাবে না।”



চৌত্রিশ বছর বয়সী জানকীকে তার দেবর লক্ষণ, অগ্রজ রামচন্দ্রের নির্দেশে পাঁচ মাসের গর্ভাবস্থায় ফেলে রেখে আসেন গঙ্গার শাখানদী মন্দাকিনী তীরে
অদূরে চিত্রকূট পাহাড় দেখা যায় এই উপবনেই আদিকবি বাল্মীকির আশ্রম সেখানে ঋষি বাল্মীকি ও তাঁর অনুগামিনী আত্রেয়ী শিষ্যশিষ্যাকুলকে নিয়ে বসবাস করেন চোদ্দো বছর বনবাসকালের শেষ পর্যায়ে দশরথের দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধূ এই আশ্রমেই দিনযাপন করেছিলেন কিছুদিন লঙ্কাবিজয়ের পর জানকী যখন ফিরে আসেন অযোধ্যার প্রাসাদে, সঙ্গী রাম তাঁকে বুকে টেনে নেওয়ার পরিবর্তে সন্দিগ্ধ হয়ে ওঠেন তাঁর ‘চারিত্রিক শুদ্ধতা’ নিয়ে বলেন, দশ মাস রাবণের প্রাসাদে থেকেও সীতা যে সত্যিই তাঁর শুচিতা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন, তার প্রমাণ তাঁকে দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষার মাধ্যমে সখি সরমা ও রাবণের প্রাসাদের চেড়িকুলের সহায়তায়, লঙ্কার এক রক্ষকুল-ভিষগ জানকীর শরীরে ওষধির প্রলেপ লাগিয়ে দেয় সীতা অগ্নি বলয়ে ঝাঁপ দেন, এবং ভাগ্যক্রমে জীবিত থাকেন উপস্থিত ব্রাহ্মণ, যাঁরা সর্বদাই কার্যোদ্ধারের জন্য ক্ষত্রিয়দের ব্যবহার করে এসেছেন বিভিন্ন সময়ে, তাঁরাও হর্ষধ্বনি দিতে থাকেন মুহূর্মুহু, জনসমক্ষে এক নারীর তীব্র অপমানের মুহূর্তে

Sitayan
অশোকবনে সীতা ও সরমা। ছবি সৌজন্য – mojarto.com

দশরথনন্দনের সন্দেহ নিরসন হয় বটে, কিন্তু প্রজাকুলের মনে প্রশ্নচিহ্ন থেকে যায় বৈদেহী ও রামের দাম্পত্য যে রাজ্যশাসনের পথে অন্তরায় হয়ে যাচ্ছে, এমনও কানাঘুষো চলতে থাকে জানা যায়, অযোধ্যার কুলবধূ সীতা গর্ভবতী সন্দিগ্ধ প্রজাদের ভ্রূকুঞ্চন দূর করতে রামচন্দ্র আবার প্রকাশিত হন প্রজানুরঞ্জক আর্য অধিপতি হিসাবে রাজরানিকে তো বিবাহের পর আর পিতৃগৃহে পাঠানো যায় না, পাঠালেই বরং ইক্ষ্বাকুবংশের অপমান! অতএব মা কৌশল্যার অনুপস্থিতিতে রাতারাতি, এমনকি জানকীকেও কোনও ইঙ্গিত না দিয়ে লক্ষ্মণ সমেত পাঠিয়ে দেন বাল্মীকির আশ্রম-উদ্দেশে সেখানেই, জননীপ্রতিম আত্রেয়ী ও পিতৃতুল্য বাল্মীকির স্নেহরসে সিক্ত হতে হতে সীতা যমজ পুত্র প্রসব করেন প্রথমে যে নির্গত হয়, বাল্মীকি কুশগুচ্ছের অগ্রভাগের সমনামে তার নামকরণ করেন কুশ পরে আগত পুত্রের নাম হয় লব, অর্থাৎ কুশের নিম্নভাগ ওরা বড়ো হতে থাকে বাল্মীকির ছত্রছায়ায় সংস্কৃতে, কাব্যে পাণ্ডিত্য অর্জন করতে থাকে আর, বাল্মীকি সীতার কাছ থেকে পূর্বের সমস্ত ঘটনার অনুপুঙ্ক্ষ বিবরণ শুনে শুনে রচনা করতে থাকেন মহাকাব্য জানকীর প্রতি যে তীব্র অবিচার হয়েছে এ যাবৎকাল, বাল্মীকি সে বিষয়ে অবগত ছিলেন না এমন নয় কিন্তু তিনি একজন আদর্শ ব্রাহ্মণ হিসাবে, আর একজন বলশালী ক্ষত্রিয়কে নিয়ে মহাকাব্য লিখতে চেয়েছিলেন সুতরাং এই মহাকাব্যের প্রটাগনিস্ট হলেন রাম, যাঁর চারিত্রিক ত্রুটিগুলোকে অতিদক্ষতায় বাল্মীকি ছুঁয়ে গিয়েছিলেন মাত্র, ঘটনাপ্রবাহের বিবরণ হিসাবে, কিন্তু বিচার করার ধৃষ্টতা দেখাননি



“বাল্মীকি গভীর করুণায় লবকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, বলেন, রাম কে, তুই জানিস!

লব বলল, রাম তো রাজা। যুদ্ধ করে। সীতা কাঁদে।”



তবে কি ক্রন্দনই
নারীর একমাত্র ভবিতব্য? বাল্মীকির ছায়াসঙ্গী হয়ে যে আত্রেয়ী বছরের পর বছর কাটিয়ে দিলেন পতিতুল্য মানুষটির সেবায়, বাল্মীকি কেন তাঁকে শাস্ত্রমতে বিবাহ করলেন না কখনও? কেন আত্রেয়ীকে অবিবাহিত থেকে যেতে হল আজীবন? কেন তাঁর প্রেম স্বীকৃতি পেল না? বাল্মীকি শাস্ত্র পড়িয়েছেন, কাব্যগীত রচনা করেছেন, অথচ ঠিক পাশে থাকা রমণীটিকে কখনও প্রশ্ন করেননি, সে কী চায়! পূর্ণ গর্ভাবস্থা থেকে পুত্রদের দ্বাদশ বর্ষ, জানকীর বারোটা বছর কেটে যায় ওই আশ্রমে জন্মাবধি রাজগৃহে লালিত নারী ক্রমশ অভ্যস্ত হতে থাকেন অরণ্যজীবনে সন্তানপ্রসবের রাতে ওই আশ্রমের অদূরেই উপস্থিত ছিলেন আরেক দেবর শত্রুঘ্ন রামের নির্দেশে তিনি যাচ্ছিলেন লবণাসুরকে হত্যা করে আর্য সাম্রাজ্যের সীমান্ত বৃদ্ধি করতে এ সংবাদ সীতা পেয়েছিলেন হৃদয়ে ক্ষীণ আশা ছিল, হয়তো উপস্থিত একমাত্র আত্মীয় হিসেবে শত্রুঘ্ন আসবেন সদ্যোজাত পুত্রদের মুখ দেখতে অথচ সেই রাতে আশ্রমবাসীরা ছাড়া আর কেউই ছিলেন না সীতার পরিপার্শ্বে প্রবল প্রত্যাখ্যানে জানকী একাধারে যেমন হয়ে উঠছিলেন সর্বংসহা, অন্যদিকে তাঁর মনোবৃত্তি হচ্ছিল কঠোর জীবনের নির্মম দিকগুলি সম্পর্কে যে সীতা মধ্য ত্রিশেও প্রায় অনবগত ছিলেন, তিনিই নারীর প্রতি পুরুষশাসিত সমাজের অবমাননা দেখতে দেখতে, ক্ষমতাহীন অনার্যের প্রতি ক্ষমতাসীন আর্যের নৃশংসতা দেখতে দেখতে হয়ে উঠছিলেন সাহসী ও তার্কিক



“সীতা ক্রোধ উদ্গিরণ করেন: আর রাজার ভূষণ যে প্রজানুরঞ্জন, যার জন্য আমাকে পরিত্যাগ করেছিলেন দশরথপুত্র, সেই কর্তব্যবোধ কোথায় ছিল যখন এক নিরীহ শূদ্রকে শুধুমাত্র তপশ্চর্যার জন্য ব্রাহ্মণদের প্ররোচনায় হত্যা করেছিলেন? শূদ্র কি প্রজা নয়? নারী কি প্রজা নয়? বাঃ ধিক এই রাজ আদর্শে, ধিক রামরাজ্যে।”



গর্ভবতী সীতাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো অমানবিক আচরণকে কৌশল্যা কখনও সমর্থন করেননি তো বটেই, উপরন্তু বারবার ধিক্কার দিয়েছিলেন ছেলেকে
রামের যুক্তি ছিল, রাক্ষসপুরী প্রত্যাগত সীতাকে প্রজাকুল তাদের রাজমহিষী হিসাবে মেনে নিতে চায় না আর প্রজাকে অসন্তুষ্ট রেখে কোনও রাজা রাজ্যশাসন করতে পারেন না সার্থক কূটনীতিকের মতোই রামচন্দ্র বুঝতেন, বৈশ্য আর শূদ্রেরা যে শ্রম করে, প্রকৃতপক্ষে তার সুফল ভোগ করে একজন ক্ষত্রিয় সুতরাং সহধর্মিনীর প্রতি কর্তব্যপালনের আগে প্রজাকে সন্তুষ্ট রাখাই প্রকৃত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় ক্রুদ্ধ জননীকে তিনি চুপ করিয়েছিলেন এই বলে, “গূঢ় রাষ্ট্রতত্ত্ব নারীর আয়ত্তাধীন নয়” 

শত্রুঘ্ন দ্বারা লবণাসুর বধের খবর জনমধ্যে প্রচারিত হওয়ার পর, রাবণের বংশধর অরণ্যবাসী অনার্য সম্প্রদায় পুনরায় তাদের অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তরুণ প্রজন্মের অনার্য নরনারী অগ্রজদের কাছে গল্প শোনে, কী ভাবে ছলনার সাহায্যে রাবণকে হত্যা করেছিলেন রাম, কী ভাবে দশাননপুত্র বীর ইন্দ্রজিৎকে নিরস্ত্র অবস্থায় অন্যায়ভাবে বধ করা হয়েছিল তরুণ অনার্য নেতা শম্বুকের নেতৃত্বে অনার্য জাতি ঐক্যবদ্ধ হয় অরণ্য বিজয় করতে করতে তারা এগিয়ে যেতে থাকে অযোধ্যাকে লক্ষ্য করে কিন্তু পরাক্রমশালী আর্যসেনানীর হাতে একে একে নিধন ঘটে অনার্য বীরদের 

Sitayan
মধুবনী শিল্পশৈলিতে রামায়ণের উপস্থাপনা। বাঁয়ে বাল্মিকীর কাছে লব-কুশের শাস্ত্রশিক্ষা। ডাইনে মায়ের সঙ্গে আশ্রমের কাজে ব্যপৃত লব-কুশ। ছবি সৌজন্য – mojarto.com

এমতাবস্থায় ঋষি অগস্ত্য জীবিত অনার্যদের অস্ত্র পরিত্যাগের লক্ষ্যে বাল্মীকিকে উপদেশ দেন অনার্য জাতির শূদ্রায়নের অরণ্যচারী কৃষ্ণকায় মানুষদের ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের আনুগত্য স্বীকার করানোর এর চেয়ে আপাত-রক্তপাতহীন পন্থা আর কিছুই ছিল না কোণঠাসা মানুষগুলো এই বশ্যতা স্বীকার করে নেন করেন না কেবল যুবক শম্বুক তিনি স্বর্গস্থিত দেবতাদের উদ্দেশে কঠোর তপস্যার পথ বেছে নেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করে শম্বুক হয়ে উঠতে পারেন বলীয়ান, এই আশঙ্কায় আবার অগস্ত্য ছলনার আশ্রয় নেন রামকে প্ররোচিত করেন শম্বুকবধের জন্য রামচন্দ্র অরণ্যে এসে দেখেন একটি গাছ থেকে বিপরীতদিকে উল্লম্ব অবস্থায় শম্বুক তপস্যা করছেন বিন্দুমাত্র দেরি না করে রাম খড়্গের আঘাতে শম্বুকের ধড় থেকে মস্তক বিছিন্ন করে দেন এই আকস্মিক হত্যাদৃশ্যে বিহ্বল হয়ে শম্বুকের প্রেয়সী মিত্রা প্রায় উন্মাদ হয়ে যান আর মানবহত্যার পর আর্যরাজকুলে শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য রামচন্দ্র আয়োজন করেন অশ্বমেধ যজ্ঞের সেই যজ্ঞস্থলেই বিপুল জনসমাগমে কিশোরপুত্র কুশ ও লব বাল্মীকির শেখানো রামগান গায় কারও বুঝতে বাকি থাকে না এরা স্বয়ং জানকীর পুত্র, ইক্ষ্বাকুবংশের সন্তান কিন্তু মধ্যচল্লিশের নারী, দীর্ঘকাল আশ্রমবাসিনী ও দুই পুত্রের জননী সীতাকে পুনরায় মুখোমুখি হতে হয় সতীত্ব পরীক্ষার আদেশের



“হে জানকী ক্ষমা করো। ক্ষমা করো অসংখ্য প্রাণী, নিষাদ পক্ষী ও অসুর। ক্ষমা করো শূদ্র তাপস।”



বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় গবেষণারত তরুণ ছাত্র রোহিত ভেমুলার দেহ
ময়নাতদন্তে জানা যায়, আত্মহত্যা কিন্তু প্ররোচনা দিয়েছিল কে? রাষ্টের ক্ষমতাসীন রক্তচক্ষু শাসকেরা নয়? রামরাজত্বে বেটিরাও বাঁচে কই! এক নির্ভয়া মামলার নিষ্পত্তি হতে না হতে প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষিত ও দগ্ধ পড়ে থাকে ভারতের মেয়েরা কাথুয়ার পাথুরে জমি লাল হয় গণধর্ষিত শিশুকন্যার যোনিরক্তে পর্যাপ্ত পণ দিতে না পেরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিপরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হন অসংখ্য বৈদেহী ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় বছর পেরিয়ে যায়

১৯৯৬ সালে ‘সীতায়ন’ উপন্যাস যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, মল্লিকা তখন একটি শিশুপুত্রের জননী ছেলেকে কোলে নিয়ে মধ্য ত্রিশের যে-মল্লিকা জানকীর সমান্তরাল ভাষ্যটি তুলে ধরেন তাঁর উপন্যাসে, সেই মল্লিকা তখন সীতার প্রায়-সমবয়সী, যাঁকে আর্যাবর্তের দাম্ভিক রাজা রামচন্দ্রের আদেশে ভাই লক্ষ্মণ গর্ভবতী অবস্থায় পরিজনহীন ফেলে রেখে এসেছিলেন নৈমিষারণ্যে ফলত সাবলাইম হিসাবে উপস্থাপিত সীতা, এই আখ্যান লিখনের প্রক্রিয়ায় কোথাও স্বয়ং লেখকের, এবং সামগ্রিকভাবে উপেক্ষিত ও অবদমিত নারীজাতির প্রতিনিধিত্ব করতে চায় ১৯৯৮-এ প্রকাশিত হয় মল্লিকার ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘মেয়েদের অ আ ক খ’ এখানেও, ‘রামরাজ্য’ শীর্ষক কবিতায় সীতায়ন উপন্যাসের নিহিত সুর শোনা যায়

“ভারতের গ্রামে গ্রামে আজও হনুমান
করজোড়ে গলবস্ত্রে প্রার্থনা করেন
উঁচুজাতিদের চাপে শূদ্র হত্যা করেন যে রাজা
এবারের নির্বাচনে তাকে ভোট দিন
চোদ্দোটা বছর যিনি স্ত্রীপুত্রের দায়িত্ব না নিয়ে
কাটালেন, নির্বাচনে তাকে দিন দেশের দায়িত্ব
নিম্নবর্গ, নারীজাতি, এই দুই অসহায় প্রাণী
রামরাজ্যে ভোট দিয়ে নিজেদের কবর খুঁড়ুন

মল্লিকার প্রথম উপন্যাস ‘সীতায়ন’ প্রকাশের চব্বিশ বছর পর, তাঁর অক্ষরগুলি স্পর্শ করতে করতে এই প্রশ্ন পীড়া দেয়, কেন তাঁর প্রতিটা উচ্চারিত শব্দ, শব্দের মধ্যেকার প্রত্যেকটি অনুচ্চারিত হাহাকার আজও এতখানি নির্মমভাবে প্রাসঙ্গিক!

অবন্তিকা পাল। জন্ম ১৭ জুন ১৯৮৬, হাওড়া। কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জে.বি.রায়. স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক। স্নাতকোত্তর স্তরে মনস্তত্ত্বের পাঠ দ্বিতীয় বর্ষে অসমাপ্ত থেকে গেছে। তবে লেখার পরিসরে সমাজবিজ্ঞান ও মানবাধিকার চর্চা অব্যাহত। কবিতার সঙ্গে নৈকট্য আশৈশব। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ২০১৩-তে। ২০১৭-এ প্রথম প্রবন্ধের বই। প্রথম সারির বাংলা দৈনিক, একাধিক জনপ্রিয় পত্রিকা ও ওয়েবম্যাগাজিনে তাঁর নিবন্ধ প্রকাশিত হয় নিয়মিতভাবে। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময়ে কবি ফৈজ আহমেদ ফৈজ-এর সর্বজনবিদিত 'হম দেখেঙ্গে' (দেখে নেবো আমরাই) কবিতাটির বাংলা অনুবাদ করে অবন্তিকা জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমেও জায়গা করে নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *