সেদিন সারারাত বৃষ্টি হবে আমার শহরে।
ফুরনো দুপুর রেখে আসা যাবে
অভুক্ত পুকুরের পাশে।
শেষ সিঁড়িটাও নেই-জলে দাঁড়িয়ে বহুদিন। 

তবু, কারা যেন ধরে গেছে মাছ
ঘোলাটে মাটিতে।
রেখে গেছে জলছাপ,অবাধ্য অনায়াস মোহ,
কিছুমাত্র স্খলনের দাগ
বিকেল ফেরত বালকের মতো।
যেমন আনাড়ি ওরা
তেমনই বেহায়া ঘাটের শরীর!
মোছে না কিছুতেই খুঁড়ে রাখা
নিদারুণ হিসেবনিকেশ!
ঘিরে ধরে শত শত আড়চোখ, অকুন্ঠ অন্ধকার। 

আঘাত ধার্য হলেই শিখে ফেলা যায়
দরজা বন্ধ রাখার প্রাথমিক পাঠ। 

এও এক বোশেখের হাঁটুজল
খোলামকুচির দ্রোহকাল,
অলিখিত খাজনা আদায়।
ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে
যাবতীয় চুপিসার … অন্ধকারের ফুল।
তাতেও এত আলো থাকে কেন?
কেন থাকে বুনে রাখা লোককথা যত? 

উত্তর খুঁজি।
বসে থাকি নিস্পৃহ নীরবের পাশে।
ফেলে রাখি অবশেষটুকু বিলাসী অহংয়ে।
তারপর হেঁটে যেতে চাই চৌখস এজলাসে।
জানি,
সেদিনও সারারাত বৃষ্টি হবে আমার শহরে।

অনুপ ঘোষাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। কবিতা লেখার শুরু স্কুল ম্যাগাজিনে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা লেখালেখি করেন। তবে লেখার চেয়ে পড়ার আগ্রহ বেশি। সাহিত্য ও ইতিহাস ওঁর প্রিয় বিষয়। এর বাইরে অনুপকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করে মানুষ আর প্রকৃতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *