পুরোনো সব গল্প মিথ্যে

ওগো ক্ষয়িত একফালি চাঁদ
ক্ষুধাবিজড়িত আমিও বিক্রি হব এক নতুন মাত্রাতে

তুমি জানো
অতিরিক্ত খাদ
আমাতে ছিল না কখনও
অনন্ত নদীর জলে কে দিল মরণঝাঁপ এ যাত্রাতে

ঋজু শিড়দাঁড়ায় ঘুমিয়ে বিবেকের চেখে দ্যাখা স্বাদ
আর পূর্ণ হওয়ার পুরনো সব গল্প মিথ্যে

আকাঙক্ষার এই অহংকারে
কত দেনা জমে ওঠে কোন কোন খাতে?

 

প্রতিটি মনুষ্যত্ব ক্লীব

দ্বারভাঙা সূচনার লীন অস্তিত্বে
ঘূর্ণাবর্তের কয়েকটা অগ্রিম অনুচ্ছেদ

অসুখের ফুলেল বৃত্তে
প্রতিটি মানুষ দেবতা,
বসবাসের উপযোগী স্বর্গ না পেলে

অভূতপূর্ব ভবিষ্যতের কোলাহলে
চাকাভাঙা মধু খেতে সকলেই রাজি।

ব্রাহ্মণীর মতো একটা ধীরগতির নদী মন্দাকিনী না হতে পারার খেদ
সঞ্চিত রেখেছিল যে মর্ত্যে

সেখানেই সত্রাজিতের সাজি
থেকে হরেক রঙের পুষ্প বহুরূপের শয্যায় ঢলে পড়ে

ঐখানে আজ সহস্র শর্তে
বেঁচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে মুমূর্ষু জীব
প্রতিটি মনুষ্যত্ব ক্লীব।

শুধুই প্রেমের কণ্ঠে
দ্রোহকালের ক্লান্ত রমনী শুধোয়: “মাঝি
নৌকা ভাসিয়ে আনো এই চরে।”

পড়েছি এতকাল অনেক ধর্মগ্রন্থ
উপনিষদ কোরান জেন্দ-আবেস্তা
শুধু বাকি আছে বেদ।

সঞ্জয় চক্রবর্তীর জন্ম উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ বিধাননগর অঞ্চলে। বিজ্ঞানের স্নাতক। গবেষণা শুরু করেও শেষ করতে পারেননি পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে। পরে মায়ের অনুপ্রেরণা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তাঁর হাতে কলম উঠে আসে। সঞ্জয় চক্রবর্তী "কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার" ও "কাব্য সাধক পুরস্কার"-এ সম্মানিত হয়েছেন । জাপানি হাইকু নিয়ে বাংলায় গবেষণার জন্য ভারত সরকার অনুমোদিত যূথিকা সাহিত্যপত্রিকা তাঁকে "হাইকু প্রভাকর" উপাধিতে সম্মানিত করেছে। এয়াবৎ চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *