ওর সাথে দেখা হলে 
আমি ওকে বেঁচে ওঠার গল্প শোনাতাম। 
যে গল্পে শোকের ভিতরে ক্রোধ থাকে, 
ক্রোধের ভিতরে অনিবার্য অধিকার,
সুদীর্ঘ অধিকারে পাত পেড়ে থাকে 
নির্ভেজাল নোনা জল।

জ্যারিকেনে জল ছিল। 
তাতেই ঝরেছে আগুন। চুপিচুপি। 
অক্ষম অভুক্ত ক্ষেতের শরীরে।

ওর বিচার সভায় গেলে
আমি উপুড় করে দিতাম ধান-ভানা গান। 
চোখ বন্ধ করে উড়িয়ে দেওয়াই যেত 
নির্লজ্জ রাতের শরীর। 
চর জাগা কামড়ের দাগ।

জ্যারিকেনে সত্যিই জল ছিল। 
যতটা সত্যি ছিল আগুনের গায়ে। শাসকের বোধে।

ওর সাথে,ওদের সাথে বারবার দেখা হবে। হবেই।এর আগেও যেমন হয়েছে বহুবার। 
এবার হাথরাসে, সেবার হাড়োয়ায়।

ওরা মৃত্যুতে হেঁটে যায় জলরেখা ঠেলে।

আমার কর্তব্য থাকে,
আমাদের কর্তব্য থাকে শুধু কষ্ট পাওয়ার।

রাষ্ট্রেরও তাই!

এভাবেই ছবির কদর বাড়ে।
প্রতিদিন কাত হয়ে হেঁটে যেতে হয় বিশদ আঁধারে।পুলিশী মেধায়।

তবু দিব্যি বেঁচেবর্তে থাকে নদী!
আহ্লাদী ঢেউ!
চাঁদ ছুঁয়ে থাকা পাহাড়ের চূড়া!

গর্ভিণী মেঘ,
কুয়াশা রঙের বৃষ্টি দেখিনি বহুদিন।

ছবি সৌজন্য Rawpixel

অনুপ ঘোষাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। কবিতা লেখার শুরু স্কুল ম্যাগাজিনে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা লেখালেখি করেন। তবে লেখার চেয়ে পড়ার আগ্রহ বেশি। সাহিত্য ও ইতিহাস ওঁর প্রিয় বিষয়। এর বাইরে অনুপকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করে মানুষ আর প্রকৃতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *