সুজয়: না মাসিমা। কথাটা আমাকে আজই বলতে হবে, এখনই বলতে হবে। পরে আর সময় পাওয়া যাবে না।
মৃত্যুঞ্জয়: তা বল না কী বলবে? আমাকে এই পাণ্ডুলিপি শেষ করে চানে ঢুকতে হবে।
সুজয়: না মানে আমি ভাবছিলাম, যদি বিয়েটা –
মৃত্যুঞ্জয়: হ্যাঁ বল –
সুজয়: মানে – আঃ শ্যামলী, তুই বল না।
শ্যামলী: আমি বলব? কেন আমি বলব কেন? তোমার বলার কথা তুমি বলবে।
মানসী: এসব তোমরা কী বলছ? শ্যামলী, কী বলছে সুজয়।
শ্যামলী: (সুজয়কে) কী হল? চুপ করে আছ কেন? বল।
সুজয়: হ্যাঁ বলছি। (ঢক ঢক করে জলটা খেয়ে নেয়) মাসিমা, মেসোমশাই, আপনারা জানেন শ্যামলী কে আমি সেই ছোটবেলা থেকেই চিনি। মানে, শ্যামলীর সঙ্গে আমার জীবন একেবারে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ঠিক যেমন আপনারা ওঁকে ছাড়া আপনাদের জীবন ভাবতে পারেন না, আমিও শ্যামলীকে ছাড়া আমার জীবন ভাবতেই পারি না। আমি ব্যাপারটা আপনাদের বোঝাতে পারছি?
মানসী: বুঝব না কেন? কিন্তু কী করব বল। মেয়েকে তো একদিন বিদায় দিতেই হবে।
সুজয়: না না বিদায় দিতে হবে না। হ্যাঁ, মানে বিদায় দিতে হবে, কিন্তু ঠিক বিদায় নয়। কিছুদিনের মধ্যেই যখন আমরা সবাই সবাইকে বিদায় জানাব, তখন আগেই বিদায় জানিয়ে কি লাভ বলুন? ও আপনাদের কাছেই থাকবে, আমিও থাকব – যদি –
মানসী: তুমি কী বলছ আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না।
মৃত্যুঞ্জয় (হেসে): বুঝতে পারছ না, শ্যামলীকে বিয়ে করতে চায় সুজয়। কি ঠিক বলছি তো?
সুজয়: হ্যাঁ -মানে – কিন্তু –
মানসী: বিয়ে করবে? শ্যামলী কে? কিরে শ্যামলী, সুজয় তোকে বিয়ে করবে? তুই তো কিছুই বলিস নি আমায়।
ছবি সোজন্য়: extremetech.com