সমস্ত মানুষের ভেঙে যাওয়ার আওয়াজ আসলে একই রকম। সব চোখের জলের রং যেমন হালকা নীল। মনখারাপের ধূসর গল্পগুলো সব্বাই আড়াল করতে চায়। হঠাৎ একদিন ভেঙে যাওয়ার পরেও তাই, মানুষেরা, ঠোঁটে ফের মেখে নেয় ফ্লুরোসেন্ট হাসি। খেতে যায়, আদর করে, ছবি দেয় ফেসবুকে আর ভিড়ের ভিতরে মিশে থাকে নিখুঁত ভিড় হয়ে। তারপর, কখনো আর একজন ভাঙামানুষের সাথে দেখা হলে, ঝাউগাছের নরম ছায়ায় মুখোমুখি বসে, ঝুলি থেকে ঢেলে নেয় নিজেদের ভাঙাচোরা টুকরোগুলো। আর দ্যাখে, কী ভাবে জিগ-স’ পাজলের মত, দুজনে মিলেমিশে গিয়ে একটাই গল্প হয়ে উঠছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করছেন। অনর্থনীতির উপাসক। নিবাস কোন্নগর। হাজরাতে দোল খেলার সুযোগ ঘটেনি, তবে পাঁজরাতে চোরা মফস্বল পুষে রাখার বদভ্যাস আছে। কবিতা ও কুকুরের সঙ্গে কোন নগরে সময় কাটান তা কেউ জানে না। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'ভাঙা বিকেলের টুকরো'।