শাড়ি সব সময়ই ফ্যাশনবেল। আর হবে নাই বা কেন, এর চেয়ে ভার্সেটাইল পোশাক আর দুটো দেখাতে পারবেন? সুতি, লিনেন, খাদি বা সিল্ক—শাড়ির ফ্যাব্রিক কত রকমের হতে পারে। বারো হাতে কখনও আবার সুতোর কাজ, কখনও প্রিন্টে গল্প, কখনও আবার এক রঙের আধিপত্য। তাই তো ফ্যাশন জগতে শাড়ি কখনওই পুরনো হয়না। তাবড় তাবড় ডিজাইনাররাও এক বাক্যে স্বীকার করে নেন এর মাহাত্ম্য। শাড়ি এমনই পোশাক যা, যে কোনও অনুষ্ঠানে, যে কোনও জায়গায় পরা যায়। অফিসের মিটিং থেকে শুরু করে ককটেল পার্টি, পুজো থেকে পেরেন্ট টিচার মিটিং, শাড়ি সব জায়াগাতেই নিজেকে দিব্যি মানিয়ে নেয়। ট্র্যাডিশনাল শাড়ির আবেদন আলাদা। তবে আজকের প্রজন্ম তো আর অল্পতেই সন্তুষ্ট নয়। শাড়িতেও তাঁদের চাই আধুনিক লুক। তাই তো ড্রেপিং নিয়ে এত এক্সপেরিমেন্ট। কখনও সায়ার বদলে স্কার্টের সঙ্গে শাড়ি, কখনও আবার ব্লাউজের বদলে টপ, পরীক্ষানীরিক্ষার কোনও শেষ নেই। শাড়িতে গাউনের লুক পর্যন্ত তৈরি করা যাচ্ছে। সাধে বলেছি এর চেয়ে বহুমুখী পোশাক কোথাও খুঁজে পাবেন না!
ড্রেপিং নিয়ে যখন কথাই হচ্ছে, আসুন না কয়েকটা সহজ স্টাইল আপনাদের শিখিয়ে দিই। এবার পুজোয় আপনি হয়ে উঠবেন একেবার ফ্যাশন ডিভা:
১। শাড়ির সঙ্গে বেল্ট
এর চেয়ে সহজ সাজ আর হতে পারে না। বিশেষ করে অ্যাকসেসরি নিয়ে যদি এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করেন, তা হলে তো কথাই নেই। যেমনভাবে শাড়ি পরেন, ঠিক সেইভাবেই পরুন। শুধু কোমরে লাগিয়ে নিন স্লিক বেল্ট। মেটাল, লেদার, সিক্যুইনড, লেসি অপশন প্রচুর। দেখবেন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় এমনভাবে তাঁর মডেলদের প্রায়ই সাজিয়ে থাকেন।

২। পেয়ার উইথ প্যান্টস
ডেনিম, লেগিংস, জেগিংস—শাড়ির সঙ্গে দিব্যি টিম আপ করা যায়। এই ক্ষেত্রে ড্রেপিংটা এমনভাবে করতে হবে, যাতে প্যান্টটা দেখা যায় আর চলাফেরা করতেও সমস্যা না হয়। বলিউডের নায়িকাদের ভারী প্রিয় এই স্টাইল।

৩। শরারা শাড়ি
শরারা আর টপ পরলেন। আর আঁচলটা শাড়ির মতো ড্রেপ করে নিলেন। ব্যস কেল্লা ফতে! একই রকমভাবে ওয়াইড পালাজো বা স্কার্টের সঙ্গে শাড়ি পরতে পারেন। উপরে ব্লাউজের বদলে টপ পরবেন। না হলে কিন্তু পুরো সাজটাই মাটি হয়ে যাবে।

৪। শাড়ির সঙ্গে জ্যাকেট
লম্বা বা শর্ট এমনকী ক্রপ, যে কোনও রকমের জ্যাকেট টিম আপ করতে পারেন শাড়ির সঙ্গে। শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে তো পরাই যায় আবার একেবারে অফবিট রংও বাছতে পারেন।

৫।ধুতি শাড়ি
এই শাড়ি পরার ধরার ইদানীং খুব জনপ্রিয় হয়েছে। সোনম কপূর, দীপিকা পাডুকোন সবাই পরছেন এইভাবে শাড়ি। কুঁচিটা বাদ দিয়ে সেই অংশ পিছনে গুজে নিলেই কিন্তু ধুতির আদলে শাড়ি পরা হয়ে যাবে। একটু প্র্যাক্টিস করলে পরার কায়দাটা রপ্ত করে নিতে পারবেন।
