আত্মজ্ঞান

এবার একটি পুরুষ বলল, আত্মজ্ঞান  সম্পর্কে কিছু বলুন আমাদের।

এবং উত্তরে তিনি বললেন:

তোমার হৃদয় তো নীরবতার মধ্যে দিয়েই জেনেছে, দিন ও রাত্রির ওই গূঢ় রহস্যটি।

তাই তোমার আত্মজ্ঞান শোনার জন্যেই, তোমার শ্রবণও কিন্তু তৃষিত।

আর সেটুকুই তো তুমি শব্দে ব্যক্ত করবে, যা ঠাঁই জুড়ে আছে তোমার ভাবনায়।

স্বপ্নের আদুল শরীরগুলিকেও তো, তোমার আঙুল দিয়ে স্পর্শ করবে তুমি।

এবং সেটাই আসলে মঙ্গল, যা তোমার করণীয়ও বটে।

ঝর্ণার মতো যে কূপটি তোমার হৃদয় গভীরে টইটম্বুর হয়ে আছে, তারও প্রয়োজন, উৎক্ষিপ্ত

হয়ে কলস্বরে সমুদ্রের দিকে ছুটে যাওয়া।

সেই গহনের অনন্ত সম্পদই তো দৃশ্যমান হবে, তোমার দৃষ্টিতে।

তবে, এই অজানা বৈভবকে মাপতে কোনও নিক্তি রেখ না কিন্তু।

আত্মজ্ঞানের গভীরতা মাপতে কোনও ছড়িও খুঁজো না, খুঁজো না এমনকি সমুদ্রের জলতল মাপবার সেই বিশেষ যন্ত্রটিও।

কারণ, সত্তা সাগর সম – অসীম ও পরিমাপহীন।

বোলও না “সত্যকে আমি জেনেছি”, বরং বল যে, “একটি সরল সত্যের হদিশ পেয়েছি মাত্র”।

কখনওই বোলও না, “ এই তো খুঁজে পেয়েছি হৃদয়ের পথ”।

বরং বল যে, “নিজের পথে চলতে চলতেই খুঁজে পেয়েছি অন্তরাত্মাকে”।

কারণ, অন্তরাত্মার চলাচল সমস্ত পথেই।

না তা হাঁটে কোনও নির্দিষ্ট সরলরেখায়, না গজিয়ে ওঠে ওই দুর্বল গুল্মের মতো।

অন্তরাত্মাও এক প্রস্ফুটিত শতদল  – অযুত পাপড়ি মেলে যে নিজেকেই উন্মীলিত করে চলেছে অবিরত।

 

Mandar Mukhopadhyay

আড্ডা আর একা থাকা,দুটোই খুব ভাল লাগে।
লিখতে লিখতে শেখা আর ভাবতে ভাবতেই খেই হারানো।ভালোবাসি পদ্য গান আর পিছুটান।
ও হ্যাঁ আর মনের মতো সাজ,অবশ্যই খোঁপায় একটা সতেজ ফুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *