যাঁদের মনে রেখেছি, যাঁদের মনে রাখিনি: পর্ব ১৫- স্পর্শের অধিকার

একের পর এক অসাধ্য সাধন করেছেন ছত্রপতি সাহু। প্রথমে কাপড়ের কল, তারপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাল্যবিবাহ রোধী আইন… একের পর এক। এবার তাঁর লড়াই অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে। লিখছেন ঈশা দাশগুপ্ত।
যাঁদের মনে রেখেছি, যাঁদের মনে রাখিনি: পর্ব ১৪- অতিমারির ক্ষত

এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারত পড়েছে অতিমারির খপ্পরে। প্লেগ থেকে স্প্যানিশ ফ্লু– উনিশ শতকের শেষ থেকে বিশ শতকের গোড়া– অতিমারিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তখন কী করছিলেন জ্যোতিবা-সাবিত্রী-সাহুজি? লিখছেন ঈশা দাশগুপ্ত।
একটাই চিন্তা সপ্তমীর সকালে…

অতিমারী কেড়েছে স্বাভাবিক জীবন। কেউ জানে না, কবে কী হবে, বা আদৌ কিছু হবে কিনা। এর মধ্যেই আমফান, এর মধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুমিছিল, এর মধ্যেই হাথরস। তাও হইহই করে এসে গেল উৎসবের দিন। এ বার?
করোনা ও কো-মর্বিডিটি

নভেল করোনাভাইরাসের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর হার যত বাড়ছে, তত শোনা যাচ্ছে একটি অপরিচিত শব্দবন্ধের ব্যবহার। কো-মর্বিডিটি। এবং এই কো-মর্বিডিটি নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। শরীরে কোন কোন রোগ থাকলে রোগীকে কো-মর্বিডিটি ফ্যাক্টরের আওতায় ফেলা হবে, আর কী কী ক্ষেত্রে হবে না, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে বিস্তর। এরমধ্যে ডায়াবিটিসের ভূমিকা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। শহরের অন্যতম নামকরা […]
প্রতিষেধক এবং ইমিউনিটি নিয়ে কিছু কথা (স্বাস্থ্য)

আমাদের ইমিউন সিস্টেম একটি জটিল নেটওয়ার্ক যার মধ্যে শরিরের শ্বেত কণিকার বিভিন্ন কোশ আছে, আছে রক্তে সংবাহিত প্রোটিন এবং তার বিভিন্ন রূপ যেমন অ্যান্টিবডি, কমপ্লিমেন্ট সিস্টেম, ইন্টারলিউকিন-১। আছে বিভিন্ন ধরনের ন্যাচারাল কিলার সেল।
মহামারী ও দোষারোপ

মহামারীর সময়ে সদ্ভাব সম্প্রীতি বিরল কেন? আসলে মহামারীর প্রকোপের সামনে মানুষ বড় অসহায়। অন্তত যতক্ষণ না বিজ্ঞান তার মোকাবিলা করতে পারছে। তাই বোধহয় ভয়, রাগ, চিন্তা সেইসময় মানুষকে –বা বলা ভালো অনেক মানুষকে – গ্রাস করে। সে একদিকে যেমন আশ্রয় খোঁজে ঈশ্বর ও অলৌকিক নানা শক্তির কাছে, অন্যদিকে শত্রু খোঁজে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্য।
অপ্রতিরোধ্য বসন্তদিন

কে রুখবে অপ্রতিরোধ্য বসন্তের হাওয়া? চারিদিকের এই মহেঞ্জোদাড়োর শূন্যতার মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দুরন্ত ম্যাগনোলিয়া। দু’মিটারের দূরত্ব বজায় রেখে সন্তর্পণে পাড়ায় হাঁটছি আলেকজান্দ্রা প্যালেসের দিকে। মার্চের প্রথম বাসন্তী রোদ গায়ে মেখে। মনে পড়ে যাচ্ছে বোকাচ্চিওর দশ বন্ধুর কথকতা। মহামারী প্রবল অন্ধকারের বুক থেকে ড্যাফোডিল আলো ছিনিয়ে এনে হালকা হাসিতে তারা ছড়িয়ে দিয়েছে বিংশ শতাব্দির করোনার কলোনিতে। এ সময় ভয়ের। এ সময় নির্ভীকতার। এ সময় সামাজিক দূরত্বে দাঁড়াবার। এ সময় ভীতিপ্রদ রক্তচক্ষুর দিকে সরাসরি তাকিয়ে থাকবার।
আজি হতে শতবর্ষ আগে

সফল মেসোপটেমিয়া ক্যাম্পেনের পর এ রকমই কিছু অসুস্থ ও অন্যান্য সেনানীদের নিয়ে কিছু জাহাজ ইরাকের বসরা থেকে বোম্বাই ও করাচি বন্দরে পৌঁছয় ১৯১৮ সালের মে-জুন মাসে। করাচি ও বোম্বাইয়ের সেনাবন্দরগুলিতে তখন সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য প্রচুর জনসমাগম। অসুস্থ সেনাদের থেকে সেই জনতার মধ্যে দাবানলের মতো ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে। এবং বন্দর থেকে শহরে ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে থাকে মারণ মহামারী।