দিনের পরে দিন: দৈনিক বসুমতীর স্মৃতিলিপি

যে কালে মেয়ে রিপোর্টার দেখা প্রায় ভূত বা ভগবান দেখার শামিল ছিল, সেই কালে (ষাটের দশকে) জেদ করে সাংবাদিকতার পাঠ নিয়ে দৈনিক বসুমতী কাগজে রিপোর্টারি করতে আসেন আলপনা ঘোষ। কর্মজীবনের শুরুর দিনের সেই উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের পথে ফের হাঁটলেন তিনি।…
যে বৃষ্টিতে ভেজা হয় না আর

চার দিক জলের ফোঁটারা জাপটে ধরত যখন, সেই গন্ধটা কেমন প্রবল হয়ে উঠত। মনে হত, যেন একটা ডিওডোরেন্ট স্প্রে করতে করতে এগিয়ে চলেছে একটা সাদা পর্দা। পুকুরে ঢেউ। ব্যাঙেদের কনসার্ট আলাপ থেকে ঝালায় যেত ক্রমশ। একটা প্রাচীন গন্ধতে ছেয়ে যেত চারপাশ। সে বৃষ্টি কি আজ আর নামে?
আমি, অনির্বাণ আর দালির ঘড়ি

মাঝপথে এসে ডিম শেষ, পেঁয়াজ শসা শেষ, চাউমিনও প্রায় ঠান্ডা। তখন সাহস করে আমাদেরই কাউকে বলতে হত, ‘কাকু, আর একটু সস হবে?’ নেহাত কমবয়সী ছেলে, তাই হয়তো কিছু বলতে পারতেন না। যেদিন যেটা হাতের কাছে পেতেন, ঢেলে দিতেন আমাদের প্লেটে।…
আয়নায় অতীতের ছায়া

আমি আয়নার দিকে তাকাই এখন কেবল একবার। অশোকদার কাজের শেষে আমি ঘাড় হেলাই। একা আমার ঘাড় হেলে যায়। বাকি প্রতিবিম্ব স্থির হয়ে থাকে। একজন আমিও আর নড়ে ওঠে না, আগের মতো। এও এক ম্যাজিক। অতীতের ছায়া বর্তমানের ডাকে সাড়া দেয় না কখনও।
অল্প আলোর বাতিঘর

প্রিয় কবির কলমে শৈশবযাপন। ফেলে আসা পাড়া, ফেলে আসা বাড়ির মতোই স্মৃতি-ফিকে হয়ে আসা ঘুপচি দোকানঘরের গল্প। জিয়া নস্টাল হোক, হিয়া হোক উতরোল!
চার আনার রবি শাস্ত্রী

আজ থেকে শুরু হল কবির কলমে শৈশবযাপন। ফেলে আসা পাড়া, ফেলে আসা বাড়ির মতোই স্মৃতি-ফিকে হয়ে আসা ঘুপচি দোকানঘরের গল্প। জিয়া নস্টাল হোক, হিয়া হোক উতরোল!
যাপনকথা

সামনের বস্তির মেয়েটা রাত জেগে হ্যারিকেনের আলোয় পড়ে| দু’দিন অঙ্ক দেখিয়ে দিয়েছিলাম, বকাঝকাও কম করিনি|
চোরাই

ধর্মাবতার, আমি কোনও পাপ করিনি আমি শুধু সিন্দুক খুলে একটা বিপন্ন গোধূলি খুঁজেছি বাকি সোনাদানা যা ছিল সব কঙ্কাল হয়ে গেছে কবে! আমি জানি শব ছুঁয়ে থাকা বহুকালের রীতি বলা যায় না, হয়তো মহাশয় বগলে ছাতা নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন উঠোনের দিকে। আমি জানি যে কঙ্কালের গায়ে ছিল হলুদ জামা গোধূলি তার করতলে মরা ইঁদুরের […]