ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৬

Camp Bostir balokbela 16

‘কল্লোল’-এর গান ও সুর হেমাঙ্গ বিশ্বাসের রচনা৷ শেখর চট্টোপাধ্যায় স্মৃতিচারণায় লিখেছেন, অনন্যসাধারণ গান হেমাঙ্গ বিশ্বাসের— ‘বাজে ক্ষুব্ধ ঈশান কোণে বজ্র বিষাণ’৷ মহারাষ্ট্রের পোয়াজ আর লাউনি সুরে গান তৈরি করলেন তিনি৷ অসাধারণ সুরপ্রয়োগ৷ যেন মেহনতি মানুষের প্রাণের কথাকে সুরে তুলে ধরা৷ ব্যবহৃত হয়েছিল জার্মান, রুশ ও চিনা নৌবিদ্রোহের গান৷ সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সঙ্গীত৷

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৫

Famine on Bengal

ইতিমধ্যে বস্তির ঘর ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে শয়ে শয়ে মানুষ৷ তাদেরও দাবি, গুদাম খোলো৷ দেখব চালের বস্তা আছে কি না৷ চাল না থাকলে দরজা খুলতে ভয় কীসের? মানুষের চিৎকার ক্রমে গর্জন হয়ে ওঠে৷ খবর চলে যায় মণীশের কাছে৷ চ্যালাচামুণ্ডা নিয়ে মণীশ আসে৷ ভিড় দেখে আর ভিড়ের গর্জন শুনে কাছে আসার সাহস পায়নি৷ পুলিশ আসে৷ বিশাল ভ্যানে লোহালাগানো বুট আর বন্দুক আর লাঠির বাহিনী নিয়ে৷ জনতাকে গুদাম থেকে সরে যেতে বলে৷ জনতা পুলিশের হুকুম শুনতে নারাজ, তারা চালের গন্ধ পেয়েছে৷ ভাতের গন্ধ পেয়েছে৷

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৪

India-Pak war Refugees in kolkata

পদ্মপুকুর মাঠে ফৌজি ছাউনি সার সার৷ বাইরে ফৌজি গাড়ি৷ বালকের স্কুলে যাবার বহুদিনের চেনাজানা পথে হঠাৎ হাজির অন্য একটা দেশ৷ কেমন রহস্যময়৷ সবসময় উর্দি পরে বন্দুক হাতে খটখটিয়ে হাঁটে কিছু গাট্টাগোট্টা লোক৷ তারা হাসে না৷ মনে হয় কাছে গেলে তাড়া করবে৷ কখনও দল বেঁধে গাড়িতে উঠে টহলে বেরয়৷
লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১৪।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৩

Gobra Road

দক্ষিণে গোলামের বিশাল বস্তি৷ মসজিদের ঠিক পরেই৷ ক্রিস্টোফার রোড পর্যন্ত তার বিস্তার৷ তারপর চামড়ার হাট৷ ডানদিকে বেচুলাল রোড৷ লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১৩।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১২

Christopher Road

ভয়-পাওয়া মানুষের বুকের ভেতরটা, মাথার ভেতরটা ভাষায় ধরা কঠিন৷ সাল ১৯৬৪৷ মাস ফেব্রুয়ারি৷ ক্য়াম্পজীবনের নানা চরিত্রের কথা লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১২।

প্লাবনধারা ও ১৯৭৮

Floods of Bengal

স্বাভাবিক বর্ষায় অন্তত দশ-বারো দিন খেতে হত খিচুড়ি আর আলুসেদ্ধ দু’বেলা৷ কয়লা ঘুঁটে গুল সব ভেজা, উনুন ধরে কীভাবে! স্টোভ জ্বালিয়ে কোনওক্রমে ফুটিয়ে নেওয়া৷ লিখছেন মধুময় পাল।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১১

Refugees of the Partition

মনে আছে বেবিআন্টির চেহারা৷ বেঁটে, সাড়েচার ফুটের বেশি নয়৷ ছোট ও মোটা গলা৷ মধ্যপ্রদেশ বেজায় স্ফীত৷ স্কার্টের নীচে গোদা পা৷ রং বেশ কালো৷ ক্য়াম্পজীবনের নানা চরিত্রের কথা লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১১।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১১

Refugees of the Partition

মনে আছে বেবিআন্টির চেহারা৷ বেঁটে, সাড়েচার ফুটের বেশি নয়৷ ছোট ও মোটা গলা৷ মধ্যপ্রদেশ বেজায় স্ফীত৷ স্কার্টের নীচে গোদা পা৷ রং বেশ কালো৷ ক্য়াম্পজীবনের নানা চরিত্রের কথা লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১১।