একদা তুমি প্রিয়ে: যখন ভাঙল

সম্পর্ক গড়ে, আবার ভেঙেও যায় নানা কারণে। কখনও তা ভৌগোলিক, কখনও মানসিক আবার কখনও বা নেহাতই স্বাভাবিক নিয়মে। সম্পর্কের সেই ভাঙাগড়ার আখ্যান লিখছেন মণীশ নন্দী।
বৃষ্টিযাপন (কবিতা)

যদি গল্প বলতে পারতাম গুছিয়ে
ঘটমান সত্যের কাছে অবশ্যই
নিয়ে যেতে পারতাম তোমায়।
যেখানে পাতার এক পৃষ্ঠায় থাকত
সহানুভূতির দুটো চোখ তোমার,
বিপরীত পৃষ্ঠায় তখন ছুঁয়ে যেত
অনুচ্চার সাক্ষর আমার।
স্বগত স্বীকার (কবিতা)

অসুখের ইতিহাসে নীরব কান্নার বিবরণ আছে, জেনো।
অভিমান ঘনিষ্ঠ হলে যে ব্যক্তিগত সুখ হয়
তার নীচে জমা থাকে এক-একটা এপিসোডিক বিরতি
নিশ্চিত আশ্রয় থেকে ছদ্ম-সুখে,
নিজস্ব পরিধি ছেড়ে কৌণিকবিন্দুতে-
আজ তবে শূন্যের কথা কেন?
প্রেমদিবসের আগে (গল্প)

ঠান্ডাটা যেন যেতেই চাচ্ছে না! ঠান্ডার নতুন নতুন খবরে ছেলে-বৌমা লাফিয়ে লাফিয়ে উঠছে। নিত্যি প্ল্যান ভাঁজছে, কোথায় যাওয়া যায় অন্তত দুটো দিনের জন্য! কোথায় গিয়ে মুঠোয় বরফ নিয়ে লুফোলুফি খেলা যায়! আর ওদের এই লাফালাফির সঙ্গে সঙ্গেই সুমিত্রার বুকের মধ্যে একটা বল লাফাতে থাকে! মানুষটা কী কষ্টটাই না পায় ঠান্ডায়! একটার ওপর আর একটা গরম জামা চড়িয়েও যেন সে দুর্বিপাক ঠেকানো যায় না!
যাপনকথা

সামনের বস্তির মেয়েটা রাত জেগে হ্যারিকেনের আলোয় পড়ে| দু’দিন অঙ্ক দেখিয়ে দিয়েছিলাম, বকাঝকাও কম করিনি|
দিব হৃদয়দোলায় দোলা!

আপনি কি সেই চৌকিদার যে কবির দরজার বাইরে সারারাত পাহারায় থাকেন আর ভোরবেলা ঘুমচোখে প্রথম যাকে দেখেই কবি অবাক – এ যে দেখি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে! ওকে নিমপাতার রস দাও মাটির ভাঁড়ে।
চোরাই

ধর্মাবতার, আমি কোনও পাপ করিনি আমি শুধু সিন্দুক খুলে একটা বিপন্ন গোধূলি খুঁজেছি বাকি সোনাদানা যা ছিল সব কঙ্কাল হয়ে গেছে কবে! আমি জানি শব ছুঁয়ে থাকা বহুকালের রীতি বলা যায় না, হয়তো মহাশয় বগলে ছাতা নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন উঠোনের দিকে। আমি জানি যে কঙ্কালের গায়ে ছিল হলুদ জামা গোধূলি তার করতলে মরা ইঁদুরের […]