সায়েব ক্যালকাটার খানাপিনা (প্রবন্ধ)

illustration by Chiranjit Samanta

১৯২৭ সালে পার্ক স্ট্রিটের ঘাটে নোঙর ফেলেছিল ফ্লুরিজ। সেরা সব ফ্রুট কেক, রিচ পাম কেক, অ্যাসরটেড পেস্ট্রি, চিজ স্ট্র, ব্ল্যাক ফরেস্ট আর পাইনঅ্যাপল পুডিং-এর ডালি নিয়ে। বিশাল কাঁচের দেয়ালের পিছনে বসে কেক-প্যাটিস সহযোগে এক কাপ কফি- সে এক নেভার এন্ডিং ফেয়ারি টেল !

দূরের বন্ধু (স্মৃতিচারণ)

Poet Deepak Ray on Sambhu Rakhshit

ছয় ও সাত-এর দশকের কবিদের মধ্যে সবচেয়ে অন্যরকম কবিতা ও যাপনের কথা ভেবেছিলেন শম্ভু রক্ষিত ও অনন্য রায়। হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের একসময়ের অন্যতম মুখ হলেও প্রকৃত এক কবির জীবনই ছিল তাঁর। চলে গেলেন শুক্রবার সকালে। তাঁরই সুহৃদ কবি দীপক রায় লিখছেন তাঁকে নিয়ে।….

মান (কবিতা)

বন্ধু বদলে বদলে হেঁটে যাচ্ছে গোধূলির দিকে
ফিরে তাকাচ্ছে না তোমার অভিমান।
পুরনো প্রেমের দিকে, নতুন ওমের দিকে হেঁটে যাচ্ছে দীর্ঘ ছায়া নিয়ে

আলাপচারিতার সোপান (কবিতা)

College street

তারপর… 
ট্রাম, হাতেটানা রিকশা, সাঁতার কাটার শব্দ, প্রেমের ছোঁয়াছুঁয়ি…
দেখতে দেখতে দেখতে বইপাড়া।
ধারালো লেখার মতো দুপুর, পুরনো মলাট বিকেল
দুটো হাতের ছোঁয়ার লালন

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১)

illustration by Chiranjit Samanta

রাত আর ঠাণ্ডা দু’টোই বাড়ছে জঙ্গলে। হাতের চিমটে দিয়ে যজ্ঞকুণ্ডের আগুনটাকে ফের একবার খুঁচিয়ে দিলেন জঙ্গলগিরি। করোটিপাত্র থেকে একচুমুক কারণ পান করলেন। চৌরঙ্গা আলখাল্লাটাকে টেনে নিলেন বুকের কাছে। এই চার রঙের আলখাল্লার জন্যই ভক্তদের অনেকে চৌরঙ্গিবাবা নামেও ডাকে ওঁকে। আর সেই থেকেই এই জঙ্গলের নাম হয়েছে নাকি চৌরঙ্গির জঙ্গল। অবিশ্বাসীরা ফুট কাটে ফের। চৌরঙ্গা কম্বল না ছাই। আসলে জঙ্গলের মাঝখানে মেঠো চৌরাস্তার একটা মোড় রয়েছে। সেই থেকেই চৌরঙ্গি। ভক্তদের মুখে এসব শুনে হাসেন জঙ্গলগিরি।

সোনার শহর কলকাতা

ভিক্টোরিয়াতে যাই চলো, বলায় রাজি হল। তাজমহলের ডুপলি না ওটা? খবর রাখে। ট্র্যাভেল গাইড হওয়া সহজ নয়, বুঝতে পারছিলাম। নিজের শহরেই হিমশিম খেতে হবে সেটাও টের পেলাম । ভেতরে ঢুকে মস্ত ডোমের ঠিক তলায় পৌঁছে এই প্রথম মোবাইল ফোন বের করল বৌদি। সেলফি তুলল না, মেঝেতে সাদা কালো পাথরের তারার মত নকশাটা দেখতে লাগল ঘুরে ফিরে। বললো, কলকা টা ভালোই করসে। শাড়ি করাব একটা।