উপন্যাস: নাগবন্ধন- শেষ পর্ব

এমনই কোনও প্রত্যন্ত এক গ্রামেই তো শ্রাবণ মাসে অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল। সাপে কাটা সায়ন কে অচৈতন্য অবস্থায় কোনও এক গ্রামের কুঁড়েতেই সেবা শুশ্রূষা করে ভালো করে তুলেছিল সেই মেয়ে। তার নাম মনে নেই আজ আর কিন্তু স্মৃতির ক্যানভাসে আজও তুলে ধরা আছে অনেক কিছু।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ শেষ পর্ব…
উপন্যাস: নাগবন্ধন: সপ্তম পর্ব

সে ভাবে, হয়তো সেই সন্ন্যাসীকে সিডিউস করেছিল পদ্মিনী নামের এক রূপসী কন্যা। কিংবা উল্টোটাও হতে পারে। মানে সন্ন্যাসীও পদ্মিনীর প্রেমে আকুল হয়ে তাকে হয়ত ভোগ করার লোভ সামলাতে পারেনি। সবই তো লোকায়ত ঘটনা। মানুষ নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করে আসছে।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ সপ্তম পর্ব…
উপন্যাস: নাগবন্ধন: ষষ্ঠ পর্ব

পকেটে হাত দিতেই সেই তান্ত্রিকের টকটকে লাল গ্লসি পেপারের ঝিনচ্যাক কার্ডটা বেরিয়ে আসে। খানিক কিন্তু কিন্তু করে ছিদামকে তান্ত্রিক রাজাবাবার কথাটা জিজ্ঞাসা করেই ফেলে সায়ন। ততক্ষণে সীমা মৌলীক্ষা দেবীর মন্দিরে ঢুকেছে পুজোর প্রসাদ আর প্রসাদী ফুল নিতে। এটাই সুযোগ। সীমার অনুপস্থিতিতে এসবের খোঁজ নেওয়াই ভালো। নয়তো আবার সে গোল বাধাতে পারে।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ ষষ্ঠ পর্ব…
উপন্যাস: নাগবন্ধন: পঞ্চম পর্ব

রোগ-ভোগ হলে গ্রামের মানুষের একমাত্র আশা ভরসার জায়গা হল সতীমায়ের ভর, জলপড়া, তাবিচ, কবচ, মাদুলি, মানসিক আর মানিকপীরের ঝেড়ে দেওয়া অথবা নদীতে স্নান করে ভিজে কাপড়ে দণ্ডি কাটা। এই স্কুলের চাকরিটা পাওয়ার আগে হন্যে হয়ে সায়নকে ঘুরতে হত অফিসের ট্যুরে— সামান্য একটা সেলসের কাজে। সেই সূত্রেই বিহার, ওড়িশা, বাংলার জঙ্গুলে অরণ্যময়তার সঙ্গে তার পরিচয় বহুদিনের।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ পঞ্চম পর্ব…
উপন্যাস: নাগবন্ধন: চতুর্থ পর্ব

ছিদাম বাচ্চা ছেলে। বছর তেরো কী চোদ্দ হবে। সীমা আর সায়নের কথাবার্তা অত বোঝে না। তবে এটুকু বুঝতে পারে যে সেদিন সকালে সে একটা ঢোঁড়া সাপের মুখ দেখে ঘর থেকে বেরিয়েছিল। ওদের মাটির ঘরের সংলগ্ন নালাটা জলে টইটুম্বুর থাকে সবসময়। সেখানেই হঠাৎ সাপটা জলের মধ্যে থেকে বেরিয়ে ছিদামকে এক ঝলক দেখা দিয়ে আবার জলের মধ্যেই মিলিয়ে গেছিল। ছিদাম নিমের দাঁতন ঘষছিল মুখের মধ্যে।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ চতুর্থ পর্ব…
উপন্যাস: নাগবন্ধন: তৃতীয় পর্ব

১৬৯০ সালে রাজনগরের সঙ্গে নানকার রাজ্যের প্রচণ্ড যুদ্ধে নানকার রাজ্যের রাজধানী ডামরা পুরো ধ্বংস হয়ে যায়। এর প্রায় ন’বছর পর নানকার রাজারা মলুটীতে তাঁদের নতুন রাজধানী নির্মাণ শুরু করেন। নানকার রাজবংশ মলুটীতে এসে শেষ পর্যন্ত ছয় তরফে ভাগ হয়ে যায়। ওদের সবাই খুব পুজোআচ্চা করত।
উপন্যাস: নাগবন্ধন: দ্বিতীয় পর্ব

ছোটনাগপুরের নবরতনগড় থেকে নাগবংশের শাসনকার্য দেখতেন সেখানকার ৪৫তম রাজা দুর্জন শাল। এটি সাড়ে পাঁচশো বছর আগের ধ্বংসাবশেষ। ন’তলা এই দুর্গের নাম তিনি রেখেছিলেন নবরত্নগড়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৭১ সালে মানে দুর্জন শালের শাসনকালের আগেই তৈরি হয়েছিল দুর্গটি, যার মাটির উপরে ৯টি তল ছাড়াও ছিল মাটির নীচে বেশ কয়েকটি গুপ্ত কক্ষ।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ দ্বিতীয় পর্ব…
আহারেণু: শেষ পর্ব- দম পুখত আর চেট্টিনাড

দক্ষিণী আমিষের কথা মাথায় এলেই মনে পড়ে যায় হায়দ্রাবাদের মশলাদার ‘দম কা গোস্ত’ আর কেরল বা তামিলনাড়ুর ঝালঝাল, টকটক, ভুরভুরে কারিপাতার সুগন্ধে আমোদিত ‘চেট্টিনাড’ স্টাইলে আমিষের কথা। দক্ষিণের রান্নাঘর ঘুরে আহারেণুর শেষ পর্ব। ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের কলমে।