রাণুমাসির দিশিবিলিতি

রাণুমাসিরা ভাড়া থাকতেন এক বিশাল বাড়ির একটেরে কামরায়। অবস্তাও বিশেষ সচ্ছল ছিল না। কিন্তু তাঁর হাতের কাজে গোটা বাড়ি মুগ্ধ ছিল। যেমন লেস বুনন, তেমনই কয়লার আঁচে কেকবিস্কুট তৈরি। লিখছেন গোপা দত্ত ভৌমিক।
আইঢাই: হেঁশেল পোশাক

পরনের কাপড়ের খুঁটেই গলা মুখের ঘাম মোছা, বাচ্চাদের ভিজে মুখ বা হাতের তেলো মুছিয়ে দেওয়া এবং অভিমানে লুকিয়ে চোখ মোছাও। কড়ার তরকারিতে হাত ধোওয়া জল দিয়ে সে হাতও নিজের আঁচলেই মুছতেন। ডান হাতের পাঁচ আঙুলের কাজ সারা মানেই, পরনের কাপড়ে হাতখানি ডলে নেওয়া। হেঁশেলের পোশাক নিয়ে কলম ধরলেন মন্দার মুখোপাধ্য়ায়।
আইঢাই: ঝাড়া ঝুড়ি

ঝাড়াঝুড়ির এই যে পর্ব, এর শুরু হত ভাদ্র মাসে – শাল বেনারসি গালচে, সব রোদ খাওয়ানো দিয়ে। তারপর চলত সাফাই অভিযান। সেই অভিযানের ঘাঁতঘোঁত ঘুরে দেখলেন মন্দার মুখোপাধ্যায়।
আইঢাই: বাপের বাড়ি

গিন্নি যাবেন বাপের বাড়ি, সঙ্গে যাবে কে? ছেলেমেয়েরা তো বটেই, তার সঙ্গে ভাইপো ভাইঝি ভাগ্না ভাগ্নির দল ভিড় করে। কর্তার মুখে মেধ জমে। নতুন বৌমার ঘোমটার আড়ালে এক ফালি হাসি ফুটে উঠেই মিলিয়ে যায়! বাঙালিনীর বাপের বাড়ির বেত্তান্ত ব্যাখ্যানে মন্দার মুখোপাধ্যায়।
আইঢাই: সর-পর

‘সম’ বোধটা সংসারে প্রায় থাকেই না। তাই গিন্নিদের হাতের মোক্ষম অস্ত্র ছিল সর-পর। অর্থাৎ কিনা ভালোবাসা কিংবা টাকাপয়সা অনুযায়ী এক অদৃশ্য অলিখিত পক্ষপাত। তাই নিয়েই মন্দার মুখোপাধ্যায়ের এ বারের হেঁশেলিয়ানা!…