ছাড় বেদয়া পত্র: পর্ব ৫

radha krishna

রাগলেখা গাঢ় স্বরে বলে, এসব শেষ হয়ে গেলে, চল আমরা অন্য কোথাও চলে যাই। তোমার তো সন্তান নেই যে তার টান ছাড়তে পারবে না।

ছাড় বেদয়া পত্র: পর্ব ৪

Sebanti Ghosh novella

সেবন্তী ঘোষ তাঁর ঐতিহাসিক উপন্যাসে লিখছেন গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের উত্থানের কাহিনি। আজ চতুর্থ পর্ব।

ছাড় বেদয়া পত্র: পর্ব ২

sebanti ghosh novella image 2

হর্ষরথ পুনরায় বলতে ওঠে, ব্রহ্ম-জীবের মিলনপ্রসঙ্গ বিস্মৃত হননি নিশ্চয়? ওই যেমন বলা হয়েছে, প্রেমিকা পত্নীর দ্বারা আলিঙ্গিত হয়ে মানুষ যেমন নিজেকে ভুলে যায়, জীবের মিলন ঠিক সে ধরনের। এ তো আমার কথা নয়। উপনিষদের কথা।

ছাড় বেদয়া পত্র: পর্ব ১

radha krishna madhubani art

সুবাহু কর্ম ও জ্ঞানের সন্ধানী। তার যাত্রাপথে শিখী ছিল সঙ্গিনী মাত্র। প্রেমকে সে এ যাবৎ গুরুত্ত্ব দেয়নি কারণ মানবিক প্রেম ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষের যাবতীয় কর্মপ্রচেষ্টা।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৯)

illustration by Chiranjit Samanta

শেষবারের মতো মরণ কামড় দিতে তৈরি বিশে বাগদি আর তার কয়েকজন বিশ্বস্ত স্যাঙাত। বাকি সবাই বলি হয়েছে কোম্পানির পাইক লেঠেল আর ফৌজদারদের হাতে। মারা গিয়েছে বিশের ডানহাত মেঘাও। এ বার?

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৮)

illustration by Chiranjit Samanta

যে দুশমন ডরপোকের মত দূর থেকে লড়ে, তার সঙ্গে লাঠি চলবে না। তুই গিয়ে আমাদের তীর ধনুক জোড়া আর বন্দুকগুলো নিয়ে আয়। সঙ্গে টোটা ভর্তি একটা বাক্স। আমাদের মেঘাকে মেরেছে ওরা। মরতে যদি হয়ই তবে একটার বদলে একশটা লাশ ফেলেই মরতে হবে ঠিক?

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৩)

illustration by Chiranjit Samanta

সেদিন রাতে পচুইয়ের নেশায় বেহুঁশ হয়ে ঘুমচ্ছিল পীতাম্বর। কোনওভাবে খবরটা পেয়ে যায় পাঁচকড়ি। দলবল নিয়ে পৌঁছে যায় বড়বিলে। বুড়ির গলায় তলোয়ার ঠেকিয়ে চুপ করিয়ে রাখে সাঙ্গপাঙ্গরা। বেড়ালের মত চাল বেয়ে উঠে খড় ফাঁক করে বর্শার এক ফোঁড়ে পীতুকে গেঁথে ফেলে পাঁচু। চোখ খুললে নাকি পাঁচুর দিকে তাকিয়ে হেসেছিল পীতু।
– ঘুমন্তে মারলি?
– আমার মেগাইকে কি জীয়ন্তে ধরেছিলি?
জবাব দিয়েছিল পাঁচকড়ি।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২২)

illustration by Chiranjit Samanta

মৃদু অথচ তীক্ষ্ণ যন্ত্রণার শব্দ বেরিয়ে এল সর্দারের বুক চিরে। যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে ছিঁড়ে খাওয়ার দৃশ্যটা। এটাই হাতুড়ি মারার মোক্ষম সময়।
– মেগাইয়ের খুনের বদলা নেবে না?
পাঁচুর চোখে চোখ রেখে ঝটিতি প্রশ্ন করলেন খোদাবক্স। মুহূর্তে খালের ওপার থেকে চিতার আগুনের ঝলকটা উড়ে এসে যেন ঢুকে গেল পাঁচুর দু’চোখে।
– পীতাম্বরের রক্ত খাব আমি।
হাড়হিম করা গলায় বলে উঠল পাঁচু।