শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২১)

পরদিন মাঝরাতে আটঘড়ার জমিদার বাড়ি ঘিরে ফেলল এক-দেড়শো জনের বিশাল ডাকাতদল। সদর দরজায় বসে ঝিমোতে থাকা কোম্পানির দুই তেলেগু সেপাই, কাঁধ থেকে বন্দুক নামানোর আগেই গুলি খেয়ে লটকে পড়ল মাটিতে। প্রাসাদের মধ্যে থাকা বিশ তিরিশজন পাইক লেঠেল বাহিনী ঝড়ের মুখে খড়কুটোর মত উড়ে গেল বিশ্বনাথের দলের সামনে।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২০)

গতরাতে আটঘড়া গ্রামে এক জমিদার বাড়িতে জনাপঞ্চাশ মিলে ডাকাতি করতে গিয়েছিল ওরা। তার আগে বিশ্বনাথের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ওখানকার বাবুদের হুমকির চিঠিও পাঠিয়েছিল। পাল্টা চিঠিতে জবাব এসছিল। একটি লাল পয়সাও দেওয়া হবেনা। যা পারো করে নাও।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৯)

ডাকাতি সেরে ফেরার পথে ঘন জঙ্গলে এক তরুণীর মৃতদেহের বুকে তার জীবীত সদ্য়োজাত শিশুকে দেখতে পায় মনোহর সর্দার। বুকে তুলে এনে একমাত্র আত্মীয়া বুড়ি পিসির হাতে দিয়ে বলেছিল, ওকে সন্তানের মতো মানুষ করব। চৌরঙ্গিবাবার আশীর্বাদ নিয়ে নামকরণ হল হারাধন। তারপর? …
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৫)

একের পর এক পারিবারিক শোক আর সহ্য করতে পারেননি ঠাকুর সাহেব। সব ছেড়েছুড়ে চলে এলেন এই পরিহারে। ফৌজদারির কাজে যা টাকাপয়সা রোজগার করেছিলেন, তাই দিয়ে কিছু জমিজমা কিনে বিঘে দশেক জুড়ে এই গড় বানালেন। সেখানেই আগমন বিশে বাগদির দলের।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৪)

বিশে বাগদীকে খতম করতেই হবে। ম্যাজিস্ট্রেট এলিয়ট সাহেবের বাংলোয় শলাপরামর্শ করতে জড় হয়েছে কোম্পানির বাঘা বাঘা সব অফিসার আর ওপরগস্তিদের দল।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৩)

বিজয়ার পাল্কি ঘিরে ধরে লুটতে গিয়েছিল বোদের দল। ছিপ নৌকোতে বোদের দলকে ঘিরে ফেলে মারতে মারতে তাকে আধমরা করে ফেলল বিশে ডাকাত। তারপর বিজয়াকে নিয়ে গেল অর্জুন সিংহের গড়ে।…
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১২)

গলুইয়ের ভেতর টিমটিমে আলোয় বসে রয়েছে বিজয়াবালা। গলায় ফিনফিনে একটা মটরমালা। কানে দুল আর দুগাছি চুড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই অঙ্গে। মাথার ঘোমটা ঈষৎ সরে গিয়ে গলুইয়ের আলো এসে পড়ছে ফরসা অপরূপ সুন্দর মুখখানায়। গভীর আয়ত একজোড়া চোখ। এই মুহূর্তে অজানা এক দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগের ছাপ সেই চোখে।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১১)

বিশে ডাকাতকে সমূলে উৎপাটন করতে ব্রিটিশ শাসকের নির্দেশ মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করলেন দারোগা খোদাবক্স খান। প্রথমেই দ্বারস্থ হলেন কাদের? কারা পারবে সর্ষের মধ্যে ভূত হয়ে ঢুকে বিশের সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে?