বোধশব্দ: স্থৈর্যে অসফল এক যাত্রা (সম্পাদকীয়)

এই সময় থেকে কবিতাকেন্দ্রিক, কিন্তু বিষয়ভিত্তিক কাজই করে এসেছে ‘বোধশব্দ’। কোথাও একটা ফোকাস্ড হওয়া জরুরি মনে হয়েছিল। যে-কাজ কেউ করছে না, আদৌ করা যায় কি না তা নিয়েই হয়তো সংশয় রয়েছে, অথচ করা উচিত— সে-ধরনের কাজই করতে চাওয়া হচ্ছিল।
নকল হইতে সাবধান

নকল হইতে সাবধান। এ কথা যে কত খাঁটি, তা বাঙালি তালমিছরির বহর দেখলেই বোঝা যায়। সুতরাং সে অন্যের দেখে নিজের চরিত্র-চলন মোটেও বদলায় না।
একা কুম্ভ রক্ষা করে…

আগের কালে বিয়েবাড়ির ভাঁড়ার ঘরের এক জন জবরদস্ত ম্যানেজার থাকতেন। সাধারণত, মেসোমশাই, বয়সে অনেক বড় জামাইবাবু, সেজ কাকু, পাড়াতুতো দাদা গোছের সম্পর্করাই এই ঘনঘটার কাজটি নিখুঁত ভাবে পরিচালনা করতেন। কিন্তু এ দিকে আবার মিষ্টি এবং ফিশ ফ্রাই– এই দু’টি জিনিস ছেলেপুলেদের কাছে ছিল অর্জুনের পাখির চোখের ন্যায়। তাদের উদ্দেশ্যটি অত্যন্ত সরল। কখন কোমরে গামছা বাঁধা […]
যদি বলো গান

ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স-এ সারা রাত ক্লাসিক্যাল বাজনা বা গান শোনা ছিল শিক্ষিত ও রুচিমানের অভিজ্ঞান। বাড়িতে আনকোরা কেউ এলে দু-চার জন ওস্তাদজির নাম করে ফেলতে পারলে, অন্য পক্ষের চোখে অপার সম্ভ্রম। শিক্ষিত হওয়ার একটা লক্ষণ ছিল ক্লাসিক্যাল সংগীতের সঙ্গে একটা বন্ধুতা পাতানো।
সুরভিত স্নো-হোয়াইট

ঘুমের ঘোরে বুঝতে পারতাম আমায় ক্রিম মাখানো হচ্ছে। মা সব কাজ সেরে ঠান্ডা হাতে আমার ফাটা গালে চেপে চেপে ক্রিম মাখিয়ে দিচ্ছে। নাকের কাছটা সেই ক্রিমের গন্ধ এবং সাদা প্রলেপে প্রায় বন্ধ। কাঁইমাই করে উঠতাম ঘুম ভাঙিয়ে এই প্রবল অত্যাচারের জন্য। কিন্তু একটু পরেই চারমিস ক্রিম আর তুহিনা মাখা মায়ের গন্ধে লেপের মধ্যে আশ্চর্য উষ্ণতায় […]
যাক যা গেছে তা যাক

পুরনো দিনের মানুষরা অনেকেই অন্য নানা ব্যাপারের মতো দুর্গাপুজো নিয়েও আক্ষেপ করেন। তার মূল কথাটা হল, পুজো আর আগের মতো নেই। এই আক্ষেপের সবটাকেই নিছক অতীতচারিতা বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমাদের শারদীয় উৎসবের অনেক ভাল জিনিস সত্যিই হারিয়ে গেছে, বিশেষ করে সেই যে একটা সবাই মিলে কাজ করে পুজোর আয়োজনের রীতি ছিল সেটা এখন […]
আনন্দযজ্ঞে

বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব যে এই শরৎকালেই হয়, তার একটা বিশেষ যুক্তি আছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর নানা লেখায়, কবিতায়, নাটকে, প্রবন্ধে, গানে সে কথা বলেছেন। যেমন, তাঁর ‘শারদোৎসব’ নাটক। সেই নাটকের মধ্যে দিয়ে তিনি আমাদের বুঝিয়েছেন, প্রকৃতি নীরবে এবং নিরন্তর তার নিজের ভিতরে নিজের সম্পদ সৃষ্টি করে চলে, তার পর সেই সঞ্চয়ের ঝাঁপি সে খুলে দেয় […]