আমি ভয় করব না (প্রবন্ধ)

new jersey

গত দু মাসে, শুধু নিউ জার্সি রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৩১,৮৯০-এর কিছু বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৮৫৫০-এর বেশি রোগীর। মাত্র কয়েকশো রোগী দিয়ে শুরু করে সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে এখন এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা। এদেশে অর্থনীতির পতনের বিপ্রতীপে এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি। হাসপাতালের ভেতরে রোগীর সংখ্যা যত বেড়েছে, বাইরে মানুষের সংখ্যা তত কমেছে। ক্রমশ শুধু জরুরী পরিষেবার কর্মীদের রয়ে গেছে।

মহামারী ও দোষারোপ

Black Death

মহামারীর সময়ে সদ্ভাব সম্প্রীতি বিরল কেন? আসলে মহামারীর প্রকোপের সামনে মানুষ বড় অসহায়। অন্তত যতক্ষণ না বিজ্ঞান তার মোকাবিলা করতে পারছে। তাই বোধহয় ভয়, রাগ, চিন্তা সেইসময় মানুষকে –বা বলা ভালো অনেক মানুষকে – গ্রাস করে। সে একদিকে যেমন আশ্রয় খোঁজে ঈশ্বর ও অলৌকিক নানা শক্তির কাছে, অন্যদিকে শত্রু খোঁজে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্য।

ঘর (কবিতা)

Spring during corona

আসলে মেঘেদের অন্তরে জমছে বিন্দু বিন্দু কান্নার বাষ্প। পৃথিবীর অগনিত পুত্রকন্যার অসহায় কান্না।
ক্রমশ একটা আশ্চর্য ভয় আমাদের একলা করে দিচ্ছে, কুঁকড়ে দিচ্ছে ভেতরে ভেতরে
মৃত্যও আজ বড় একলা…
আজ মৃত মানে অতি দ্রুত বেড়ে ওঠা দেহের সংখ্যা মাত্র,
নেই প্রিয় মুখ, নেই শোকের অবকাশ, নেই কারও হাত ধরে বৈতরণি পার!

একটুকু ছোঁয়া লাগে (গল্প)

illustration by Upal Sengupta

কিন্তু এখন একটা অজানা টেনশন কাজ করছে লীনার মনে। কই একটু আগেও তো এমন মনে হচ্ছিল না। ফোনটা ধরল না সে। সঙ্গেসঙ্গেই কেকার ফোন। নাহ! এবার স্নানে অব্যাহতি দিতেই হবে। গা  মুছতে মুছতেই আবার দূর্বার ফোন। 

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন (প্রবন্ধ)

Pandemic in Paris

এপিডেমিক শব্দটার উত্থান ইউরোপে, গ্রিসে। এপি অর্থে উপর (upon/above) আর ডেমস অর্থে মানুষ (সেখান থেকেই ডেমক্রেসি বা গণতন্ত্র)। কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস-জনিত মারণ রোগ যখন একই দেশের অনেক মানুষকে সংক্রামিত করে, তখন তাকে এপিডেমিক বা মহামারী বলে। আবার সেই এপিডেমিক যখন এক দেশের সীমান্ত পার করে পড়শি দেশ, মহাদেশ, বা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তারই নাম হয় প্যানডেমিক বা অতিমারী।…

লকডাউনের দিনগুলো (প্রবন্ধ)

Illustration by Upal Sengupta

পরিবারের সব লোকজন আজ একঘরে। ভাবা যায়! যে বাড়ির চরম দুর্দিনেও ঘরের সব ব্যাটা একমুখো হয় না, তারা আজ এক সঙ্গে এক ভাবে এক জায়গায় ঘুম থেকে উঠছে ও ঘুমোতে যাচ্ছে। সকালের কচুরি কালচারে অভ্যস্ত ছেলেমেয়েদের শিরে সংক্রান্তি। যদিও শোনা গেল কিছু কিছু মিষ্টির দোকান এবার থেকে খোলা থাকবে।…

অপ্রতিরোধ্য বসন্তদিন

central park NYC

কে রুখবে অপ্রতিরোধ্য বসন্তের হাওয়া? চারিদিকের এই মহেঞ্জোদাড়োর শূন্যতার মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দুরন্ত ম্যাগনোলিয়া। দু’মিটারের দূরত্ব বজায় রেখে সন্তর্পণে পাড়ায় হাঁটছি আলেকজান্দ্রা প্যালেসের দিকে। মার্চের প্রথম বাসন্তী রোদ গায়ে মেখে। মনে পড়ে যাচ্ছে বোকাচ্চিওর দশ বন্ধুর কথকতা। মহামারী প্রবল অন্ধকারের বুক থেকে ড্যাফোডিল আলো ছিনিয়ে এনে হালকা হাসিতে তারা ছড়িয়ে দিয়েছে বিংশ শতাব্দির করোনার কলোনিতে। এ সময় ভয়ের। এ সময় নির্ভীকতার। এ সময় সামাজিক দূরত্বে দাঁড়াবার। এ সময় ভীতিপ্রদ রক্তচক্ষুর দিকে সরাসরি তাকিয়ে থাকবার।

লকডাউনে চাপমুক্তি

Photo by form PxHere

নিজের এলাকার একা থাকা মানুষ বা বৃদ্ধ মানুষগুলোর দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ওষুধ বিষুধ কিনে পৌঁছে দিন। অর্থ সংগ্রহ করে  হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করুন। ন্যুনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন চাল ডাল আলু কিনে দিন। তবে এসব কাজ করতে হবে সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করে। সার্জিকাল মাস্ক পরুন। বাড়ি ফিরেই ভালো করে হাত ধোন। স্বেচ্ছাসেবীরা এক কি দুজনের বেশ একসঙ্গে যাবে না। এই বিষয় গুলো একধরনের মানসিক শান্তি দেবে দু পক্ষকেই।