ঘরে ফেরার গান

Flight Take off

বছরের এই সময়টা কলকাতা হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাদের মতো “পরিযায়ী পাখিদের”। সেমেস্টারের পড়ানো চুকিয়ে, ফাইনাল গ্রেড জমা দিয়েই প্রায় দৌড়ে প্লেনে ওঠা নান্দীকারের নাট্যমেলা ধরার জন্যে! অ্যাকাডেমি-নন্দন চত্বরে চেনা মুখ “আরে, কবে এলে? চল একদিন বসা যাক।” … ঘরে ফেরার গানের সুরে ভাসলেন ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

বাহিরে নয়, বাহিরে নয়, উপভোগের অন্দরে

Durgapujo

দুর্গাপুজো মানেই উপভোগের সময়। ভোগ অর্থে রসাস্বাদন। ভোগ অর্থে আনন্দবিলাসের একান্ত আত্মীকরণ। পুজোর এই সময়টাতেই উপভোগের জলে মুখ ডুবিয়ে বাঙালি আকণ্ঠ টেনে নেয় সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, অবসর, বিনোদন। সেই জলেই পা ছোঁয়ালেন হাত ছড়ালেন অদিতি বসু রায়।

শ্রীসদন হস্টেল – এক রহস্যময় ছাত্রীনিবাস

কে জানে কেন আমার মনে হয়েছিল, শান্তিনিকেতনে গেলে পাব অবাধ স্বাধীনতা। মায়ের শাসনমুক্ত একটা খোলা দুনিয়া। ফলে পাশ করার অন্য কোথাও অ্যাপ্লাই না করেই চোখ-কান বুজে ‘উত্তর শিক্ষা সদন’-এ ভর্তি হয়ে গেলাম। ভর্তি হয়ে গেল আমার সেই বান্ধবীটিও। দুজনেই খুব খুশী সেকারণে।

‘আড়াই’ টপকালেই দিলীপদার পরোটা-আলুরদম

হুট্ করে ক্যাম্পাস থেকে বেরতে হলে এই আড়াই ছিল ভরসা| বেশ খানিকটা হ্যাঁচর-প্যাঁচোড় করে পাঁচিলের মাথায় উঠে ধুপ করে অন্যদিকে লাফিয়ে পড়তে হত| ল্যান্ড করার পর এক মুক্ত পৃথিবী — বাঁ দিকে রাজপুর| ডান দিকে কলকাতা| নরেন্দ্রপুর তখনও শহর কলকাতার বাইরে|

মিশনের নিরামিষ থেকে স্কটিশ ডাফের আমিষ

hostel life illustration by Suvomoy Mitra

ওখানে বসে চা খেতে গিয়ে চায়ের কাপের নৃত্য দেখে ভূমিকম্প হচ্ছে ভেবে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে গিয়ে জেনেছিলাম, পাশের ট্রামলাইন দিয়ে ট্রাম গেলে ওখানকার চা নাচে।

কলকাতা ‘৭০ আর হস্টেলের গল্প

Naxalbari movement in Kolkata

অলিভ, ওয়ান আর পি জি মিলিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে শখানেক ছেলেপুলের থাকাখাওয়া, শেল্টারের ব্যবস্থা হত এই তিন ছাত্রাবাসে। এছাড়াও যেকোনও ছোটবড় গোপন গ্রুপ মিটিং-এর অন্যতম নিরাপদ ঠিকানা ছিল অলিভ, পিজি আর ওয়ান হস্টেল।