ইউ-শিলং দেবীর নামে শহরের নাম হল শিলং — জোয়াই (পর্ব ৮)

Shillong old photo courtesy The Adventures of Mr Biped

ব্রিটেন থেকে সদ্য আগত যুবক প্রশাসকদের কাছে শিলং হয়ে গেল আদর্শ এবং আকর্ষণীয় কর্মস্থল। দেশের রাজধানী কলকাতা থেকে বেশ দূর। ঢাকা বা গুয়াহাটির মতো নিত্যকার সমস্যা শিলংয়ে অনুপস্থিত। সবচেয়ে বড় কথা কাজ কম, অবসর বেশি। শিলং-কে ‘প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড’ আখ্যা দিয়ে তারা দেশে চিঠি পাঠায়।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৯)

illustration by Chiranjit Samanta

তাহলে তুমিও একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো সর্দার। তরু একমাত্র আমার। তুমি নিজে হাতে তুলে দিতে চাইলে ভালো নইলে লাঠির দাপে ওকে তুলে নিয়ে যাবো আমি, মনে রেখো কথাটা।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৩)

illustration by Chiranjit Samanta

ধীর পায়ে খাজাঞ্চিখানা থেকে বেরিয়ে দোতলার সিঁড়ি ভেঙে অন্দরমহলের দিকে পা বাড়ালেন ভূপতি রায়। একটা চাপা খুশির ছাপ চোখেমুখে। আদায় পত্তর ভালোই হয়েছে এবার। কেষ্টনগরে কোম্পানির ঘরে খাজনাটাও পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে সময়মতো। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, ঠারেঠোরে খবর পাচ্ছেন ছোট তরফের ওই নেপোটা, সে ব্যাটার নাকি হাঁড়ির হাল এবার। খাজনার টাকা দিতে পারবে না শোনা যাচ্ছে। তা পারবে কী করে? জুয়ো আর মদ-মাগীতে টাকা উড়িয়ে দেউলে একেবারে।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২)

illustration by Chiranjit Samanta

লোকের মুখে খবর পাচ্ছি আপনার সাতটা গাঁয়ের মধ্যে নসিবপুর মৌজাটা নাকি ওই নীলকর ফেডি সায়েবের কাছে দাদন দেয়ার বন্দোবস্ত করছেন আপনি। এ কাজটা করবেন না। আপনি অত্যাচারী ঠিকই, কিন্তু এই নীলকর সায়েবরা নরপিশাচ একেবারে। বাপঠাকুরদার আমলের প্রজাদের মানুষখেকোদের হাতে তুলে দেবেন না, দোহাই আপনার।