শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৯)

শেষবারের মতো মরণ কামড় দিতে তৈরি বিশে বাগদি আর তার কয়েকজন বিশ্বস্ত স্যাঙাত। বাকি সবাই বলি হয়েছে কোম্পানির পাইক লেঠেল আর ফৌজদারদের হাতে। মারা গিয়েছে বিশের ডানহাত মেঘাও। এ বার?
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৬)

পা দিয়ে গুঁতো মেরে ঘোড়ার গতি বাড়িয়ে দিলেন ফেডি। একটু দুরেই রাস্তার দুপাশে দুটো বড় বড় গাছ। তারপরেই বাড়ি। গাছদুটোর কাছাকাছি আসতেই ওপরে ডালপালা নড়াচড়ার মৃদু খসখস শব্দ শোনা গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃদু চাঁদের আলোয় ঘাড়ের পিছনে চকচক করে উঠল কী একটা। মুহূর্তে সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল ফেডির সামনে।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৫)

সেই বল্লালগড়। রাজা বল্লাল সেনের আমলে তৈরি। এখন ভাঙ্গাচোরা একটা ঢিবিতে পরিণত। লোকে বল্লালঢিবি নামেও ডাকে। এই অবস্থায় আস্তানা গড়ার পক্ষে একদম সেরা জায়গাটা। দুদিকে কুলিয়া আর হোড়ঙ্গর জঙ্গল। জঙ্গলের গায়ে বাগদির খাল। নামে খাল হলেও আসলে ভাগীরথীর শাখানদী একটা। বর্ষায় বান ডাকে। বড় বড় নৌকা চলে। কিন্তু জঙ্গল ভেদ করে কিছুতেই চোখে পড়েনা ঢিবিটাকে। কোনও জনবসতিও নেই আশেপাশে দু-চার ক্রোশের মধ্যে।
হীরা মালিনী (শেষ পর্ব)

প্রথমবার খাঁটি এদেশীয় যাত্রার আসর দেখে ভারী আমোদ পেয়েছিলেন উইলিয়ম, পরে বাবু রাধামোহন সরকারের সঙ্গে তাঁর সখ্যও গড়ে ওঠে, যাতায়াত নিয়মিত হয়। সেই বৎসরই পৌষ মাসের শেষে রাধামোহনের বসতবাড়িতে বিদ্যাসুন্দর পালায় হীরা মালিনীর বেশে গোপালকে প্রথম দেখেছিলেন উইলিয়াম হারউড। পালার শেষে গোপালের গান আর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে তার সঙ্গে আলাপও করেছিলেন সাহেব। তারপর কেটে গেছে […]
হীরা মালিনী (পর্ব ২)

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরি নিয়ে উইলিয়ম হারউড কলকাতা পৌঁছলেন। প্রেয়সী ডোনাকে রেখে এসেছেন দেশে।
হীরা মালিনী (পর্ব ১)

রাধামোহন সরকারের বিদ্যাসুন্দর যাত্রাদলের পালার জন্য সুরেলা কন্ঠস্বর চাই। কোথা থেকে পাবেন যোগ্য অভিনেতা? ও কি? কে যেন মিষ্টি সুরে রাস্তায় কলা ফিরি করছে?
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১০)

সন্ধের মুখে দশ গাঁয়ে সাপ খেলিয়ে ফিরছিল লখাইবেদে। রাস্তাতেই ওকে ধরে ফেলেছিল বিশুর দলবল। সোজা তুলে নিয়ে গিয়েছিল পোড়াদেউলের নির্জন মাঠে। মন্দিরের দাওয়ায় বসা বিশু। পাথরের মত মুখখানা। ঠাণ্ডা চোখে তাকিয়েছিল লখাইয়ের দিকে। “কী হয়েছিল সত্যি করে বল। সত্যি কথা বললে কম কষ্টে মরবি।” কাঁপতে কাঁপতে সব খুলে বলেছিল লখাই। সেই রাতে পাঁচকড়ির টাকা খেয়ে […]
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৯)

তাহলে তুমিও একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো সর্দার। তরু একমাত্র আমার। তুমি নিজে হাতে তুলে দিতে চাইলে ভালো নইলে লাঠির দাপে ওকে তুলে নিয়ে যাবো আমি, মনে রেখো কথাটা।