দু’টি কবিতা

এবারের কার্তিক মাস ধোয়া / নেই মোছা নেই খেজুর বাকল, তবুও চুয়ে থাকা রস/
যেন যোনি জল আরামের মালিক।… ঋভু চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।
আমাদের কবিতা, ওদের কবিতা: ৩

মেক্সিকোতে একটুকরো উত্তরবঙ্গ খুঁজে পেয়েছিলেন কলকাতার কবি। এক নদীর ধারে, গভীর রাতে, পাতার খসখস শব্দের সঙ্গে মিশে গিয়ে পদ্যের মায়াশরীর রচনা করেছিলেন। সুবোধ সরকারের কলাম।
কবিতা: দেখা হলে

ওর বিচার সভায় গেলে/আমি উপুড় করে দিতাম ধান-ভানা গান।/চোখ বন্ধ করে উড়িয়ে দেওয়াই যেত/নির্লজ্জ রাতের শরীর।/চর জাগা কামড়ের দাগ।
দু’টি কবিতা

শিউলির রঙে পিছুটান কথা বলে, / সাড়ে তিন হাত বদলে ফেলেছে রূপ… উদয়ন গোস্বামীর কবিতায় আলো-আঁধারির রূপ।
কবিতা: বাৎসরিক

ভুলে থাকা স্মৃতির সাময়িক ঝাপট/ ফিকে হয়ে আসে… শোক এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবু শোকাবহ চারপাশ আমরা কাজ করে চলেছি, নির্বাহ করে চলেছি দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। বছর ঘুরলে শোক ফিরে ফিরে আসে আর মনে করিয়ে দেয় কিছু সন মাস তারিখ। লিখছেন অন্তরা দাঁ।
কবিতা: মধুপত্রী

বৃশ্চিকচিহ্ন দাগা এ মলাট/ ধাতব গরুড়পাখি, সে-ও ওড়ে… রাতের অন্ধকারে অনিয়ন্ত্রিত গোপন আবেগের কালি তুলে আনলেন সৌমনা দাশগুপ্ত।
দু’টি কবিতা

সময় বলে কিছু হয় না। আসলে একটা অদৃশ্য নদী কিছুটা পথ পেরিয়ে পেছনে ফিরে দেখে
কচুরিপানার ডালে বসে অন্যমনস্ক তিনটে কাক। বা সাতটা আটটা দশটা… একাকিত্বের বোধ যখন বয়ে আনে মৃত্যুচেতনা, শূন্যতা, সেই ছবি আঁকলেন অভিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কবিতা: জন্ম

তারও রোপণ বাজে, উদাস, সে ফেলে যাওয়া দিকচিহ্নময়… জন্মমৃত্যুর হিসেব পদ্যে লিখলেন অমৃতা ভট্টাচার্য।