উপন্যাস: আকাশপ্রদীপ: পর্ব ১৮

সন্তান হিসেবে রুণের এক ধরনের ভালবাসার দাবি রয়েছে জিনিয়ার প্রতি৷ নাকি নির্ভরতাবোধ? বিয়াট্রিসেরও এই এত বছরে এক ধরণের অধিকারবোধ জন্মেছে জিনিয়ার উপর৷ বিবাহ-বিচ্ছেদের পর থেকে অ্যালেক্সের জীবনটা আলাদা হয়ে গেছে৷ ওর নতুন জীবনযাত্রা, নতুন প্রাত্যহিক রুটিন মেরি জানে৷ অ্যালেক্সের স্ত্রী৷ বহুদিন ধরে জিনিয়ার চলার পথ আলাদা৷ সেজন্য জিনিয়ার কোনও দুঃখবোধ নেই৷
কবিতার সঙ্গে বসবাস: নাগরিক আত্মার কেন্দ্রস্থল

এই বিশেষ সন্ধ্যায় তিনি যে-বইটি থেকে কবিতা পড়লেন তার নাম ‘অটোরুট’— আগেই বলেছি। তার আগের বইটির নাম ‘কালকেতুর শহরে’। সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কবিতা নিয়ে আলোচনায় জয় গোস্বামী।
কবিতা: আদিম

ফসল নিড়ানো দেহে শুয়ে আছে পচাগলা নারী/ ঠাণ্ডা সম্পর্কের দায় আমাদের হত্যাকাণ্ডে বেঁধে রাখা।
…কুবলয় বসুর নতুন কবিতা
দুটি কবিতা

ওই সাদা হাঁস-ই ওই পুকুরের একমাত্র বন্ধু। বাকি সময়টুকুতে ওই নিস্তব্ধ পুকুর, আরও নিঃসঙ্গ হয়ে থাকে। জমে ওঠে অভিমান।… অর্ঘ্য কমল পাত্রের দুটি কবিতা
ইসমত ও অমৃতা– সমকালীন দুই ব্যতিক্রমী কণ্ঠস্বর

প্রচলিত সামাজিক অচলায়তনগুলির বিরুদ্ধাচারণের মধ্য দিয়েই মূলত অমৃতা ও ইসমতের লেখনীর বন্ধুত্ব, কিন্তু তা ছাড়া আরও একটি বৃহত্তর ক্ষেত্র আছে। নারীমনের গভীর, গোপন ও সূক্ষ্ম অনুভূতির গলিপথে অনায়াসে বিচরণ করেছেন তাঁরা দুজনেই। যে কথা কখনও বলা হয়নি, সে কথা নির্দ্বিধায় তুলে এনেছেন, যা সাহিত্যে আপাত-নিষিদ্ধ হয়ে ছিল তাকে পাঠক মননে জায়গা করে দিয়েছেন।… লিখলেন শতরূপা মুখোপাধ্যায়
উপন্যাস: আকাশপ্রদীপ: পর্ব ১৬

বৃদ্ধ মানুষটি কিছু যেন বলতে চাইছিলেন বাবার কাছে৷ দাদু তাঁর একমাত্র জীবিত ছেলের কাছে ওই অব্যক্ত চাউনি দিয়ে কী বলতে চেয়েছিলেন কে জানে? পরে ঐ দৃষ্টি মনের মধ্যে হন্ট করেছে অনেকবার৷ তার চেয়েও বেশি ওর মনে হচ্ছিল বাবার কথা৷ জ্যোতির্ময়ের দুচোখ বেয়ে জল পড়ছিল৷ আর তাঁর বাবার দুটি হাত নিজের হাতের মধ্যে জড়িয়ে ধরেছিলেন তিনি৷
…অপরাজিতা দাশগুপ্তের উপন্যাস আকাশপ্রদীপ, পর্ব ১৬
সার্কাস, ট্রেটর ও দ্রোহকাল: পর্ব ৯

তাঁর বাড়িতে প্রায়ান্ধকার ঘরে একটা টেবিলের ধারে বসে থাকেন সম্পাদক। তাঁকে সর্বশক্তিমান লাগে। তিনি নিজে লেখক হলে তো কথাই নেই। আমার কাছ থেকে জানতে চান টুকটাক, কবে থেকে লিখি, কার লেখা ভাল লাগে, এখন কী লিখছি। ক্রমে ক্রমে এক দুজন এসে পড়েন। বর্ষার বিকেলে মরা আলো নেতিয়ে যায়। যাঁরা আসেন, তাঁরা কেউ কেউ আলাপ করেন যেচে, স্নেহমিশ্রিত উপদেশ দেন। সংকোচের সঙ্গে জানাই, অন্য কাগজে অমুক লেখা লিখেছি। তাঁরা পড়বেন বলে উৎসাহ দেখান।
… শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের কলম
কবিতা: চিত্রকর

বেজে ওঠো শাঁখ। বেজে ওঠো বাঁশি। শিকারীর মুখে মুখে অর্ধমৃত শিকারের প্রার্থনার মতো। সুখ নেই, শান্তি নেই মহাকাশে কোনওদিন। এ স্রোতের ঘাট নেই। মোহানাও নেই। তোমার চোখের জল গড়িয়ে পড়েছে কবে, চোখ থেকে স্বপ্ন ঝরে পড়ে।
…হিন্দোল ভট্টাচার্যের নতুন কবিতা