শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৮)

যে দুশমন ডরপোকের মত দূর থেকে লড়ে, তার সঙ্গে লাঠি চলবে না। তুই গিয়ে আমাদের তীর ধনুক জোড়া আর বন্দুকগুলো নিয়ে আয়। সঙ্গে টোটা ভর্তি একটা বাক্স। আমাদের মেঘাকে মেরেছে ওরা। মরতে যদি হয়ই তবে একটার বদলে একশটা লাশ ফেলেই মরতে হবে ঠিক?
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৩)

সেদিন রাতে পচুইয়ের নেশায় বেহুঁশ হয়ে ঘুমচ্ছিল পীতাম্বর। কোনওভাবে খবরটা পেয়ে যায় পাঁচকড়ি। দলবল নিয়ে পৌঁছে যায় বড়বিলে। বুড়ির গলায় তলোয়ার ঠেকিয়ে চুপ করিয়ে রাখে সাঙ্গপাঙ্গরা। বেড়ালের মত চাল বেয়ে উঠে খড় ফাঁক করে বর্শার এক ফোঁড়ে পীতুকে গেঁথে ফেলে পাঁচু। চোখ খুললে নাকি পাঁচুর দিকে তাকিয়ে হেসেছিল পীতু।
– ঘুমন্তে মারলি?
– আমার মেগাইকে কি জীয়ন্তে ধরেছিলি?
জবাব দিয়েছিল পাঁচকড়ি।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৮)

সকাল সকাল দারোগা খোদাবক্স খবর পেলেন বিশের এককালের স্যাঙাত বোদে ডাকাত বিশের হাতে মার কেয়ে শয্যাশায়ী। তাকে সুস্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন নিশি কবরেজ। বোদে সুস্থ না হলে যে মহা বিপদ! কী বিপদ? …
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৭)

সাঁইত্রিশবার দার পরিগ্রহ করা কুলীন বামুন বিনোদবিহারী মুখুজ্জে বাড়িতে থাকা দুই স্ত্রীর কোন্দল আর নির্যাতনে অতীষ্ঠ। সেই লক্ষ্মীদাসি আর গৌরবালার চুলোচুলির মাঝে এসে দাঁড়ালেন এক স্ত্রীলোক। পিছনে দুই বেহারার পালকি। কে তিনি? কার সঙ্গে এসেছেন?
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৬)

অর্জুন সিংহ বিশেকে চৌরঙ্গীবাবার খবর দিলেন। যে বাবার আশীর্বাদ পেতে আশপাশের পাঁচ গায়ের লোক হন্যে, সেই বাবা স্বয়ং নাকি দেখা করতে চান বিশেকে! কিন্তু কেন?…
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৯)

তাহলে তুমিও একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো সর্দার। তরু একমাত্র আমার। তুমি নিজে হাতে তুলে দিতে চাইলে ভালো নইলে লাঠির দাপে ওকে তুলে নিয়ে যাবো আমি, মনে রেখো কথাটা।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৬)

দ্যাট বিশে বাগডি। ব্লাডি ব্যান্ডিট। পুরো এলাকা জুড়ে একটা প্যারালাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রান করে লোকটা। জমিনডারস এন্ড রিচ পিপল…সবাই যমের মত ভয় পায় ওকে।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৫)

পরমুহূর্তেই “হা রে রে রে রে” ভয়ঙ্কর বজ্রহুঙ্কারে কেঁপে উঠলো নীলের জঙ্গল। পালকির ভিতরে ভূপতি রায়ের মনে হল গোটা জঙ্গলটাই যেন ভেঙে পড়ছে মাথার ওপর। কুলকুলি শোনামাত্র গাছ থেকে লাফিয়ে মাটিতে নেমে পড়েছে দলের ছেলেরা। ভোজপুরি সেপাইরা তো আগেই ফৌত হয়ে গেছিল। বাকি চল্লিশজনের লেঠেল ফৌজ খড়কুটোর মত উড়ে গেল বিশ্বনাথের দলবলের সামনে।